jugantor
তেজগাঁও সড়ক পার্কিংমুক্ত ঘোষণা

  ঢাকা  

১০ ডিসেম্বর ২০১৫, ২১:১০:৩৯  | 

অবৈধভাবে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের দখলে রাখা রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সড়কটি পার্কিংমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তেজগাঁও অবৈধ দখলে থাকা সড়কে ডিএনসিসি আয়োজিত ‘তেজগাঁও শিল্প এলাকা, মহাখালী বাস-টার্মিনাল এবং তেজগাঁও ট্রাকটার্মিনাল সংলগ্ন সড়ক পার্কিংমুক্ত ঘোষণা’ অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি এবং পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এ ঘোষণা দেন। এ সময় সব সংস্থা এবং সংগঠনের কর্ণধাররা উপস্থিত ছিলেন। ডিএনসিসির পক্ষ থেকে দুই বছরের মধ্যে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের আদর্শ ট্রাকটার্মিনাল তৈরির ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে তেজগাঁও ট্রাকটার্মিনাল সংলগ্ন সড়টি লোকেলোকারণ্য হয়ে যায়। ‘ক্লিন ঢাকা, গ্রিণ ঢাকা এবং যানজটমুক্ত ঢাকা চাই; মেয়র তোমার ভয় নাই-আমরা আছি তোমার সাথে’-ইত্যাদী শ্লোগানে দলে দলে মানুষ উপস্থিত হয় তেজগাঁও সড়কে।
পরিবহন শ্রমিক মালিক-নেতা এবং কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে এসব মিছিল আসে অনুষ্ঠানস্থল। প্রায় ১০ হাজার লোকের উপস্থিতি ছিল অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকদের বেশির ভাগই ছিল পরিবহন শ্রমিক ও মালিক পক্ষের লোকজন। এর বাইরে ছিল-স্থানীয় জনসাধারণ।
তেজগাঁওয়ের সড়কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দিন ডিএনসিসি মেয়রকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনার জন্য শ্রমিক-মালিক নেতাদের দুঃখ প্রকাশ করে দেয়া বক্তব্যকে তাদের উচ্চস্বরে সমর্থন করতে দেখা যায়। একই সঙ্গে পরিবহন রাখার জন্য আর্দশ টার্মিনাল করে দেয়ারও দাবি জানান তারা।
ডিএনসিসি মেয়র আনিসুল হক তার বক্তব্যে বলেন, আমাকে আপনারা ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করেছেন। আপনারা সহযোগীতা না করলে কোনো ভাবেই আমি একা কিছু করতে পারবো না।
তিনি বলেন, তেজগাঁও মহাখালী এলাকার সড়কের পার্কিং অপসারণ হল, এটা আপনাদের সহযোগীতায় সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতে পরিবেশ বান্ধব-যানজটমুক্ত-সবুজ ঢাকা গড়তে পরিবহন মালিক এবং শ্রমিকদের সহযোগীতা করার অনুরোধ জানান মেয়র।
তেজগাঁওয়ের সড়কের অবৈধ স্থাপনা অপসারণের দিনের অপ্রীতিকর ঘটনার কথা উল্লেখ্য করে আনিসুল হক বলেন, ওইদিন শ্রমিকদের সঙ্গে আমাদের কোনো স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় ছিল না, আমরা মালিকদের অবৈধ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান সড়ক থেকে সরাতে এসেছিলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ঢাকাকে যানজটমুক্ত করার জন্য দুই মেয়র আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২৯ নভেম্বর তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যানড অন্যত্র সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় ডিএনসিসি মেয়র। তিনি তেজগাঁওয়ে একটি আধুনিক ট্রাকস্ট্যান্ড তৈরি করবেন। আমিও তার কাছে এই আহ্বান জানাচ্ছি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আগে এ সড়কটি সারাদিন ট্রাকে ভর্তি থাকতো এবং সন্ধ্যায় দীর্ঘ যানজট থাকতো। আর রাতে এই সড়কে গাড়ি চলতে পারতো না। তবে বর্তমানে সড়কটি খালি করে দেয়া হয়েছে। আমরা যানজটমুক্ত রাজধানী চাই। অবৈধ স্থাপনা ও ট্রাকগুলো সরানোর পাশাপাশি সেগুলো যাতে নিরাপদে থাকে সে দিকেও নজর দিতে হবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসি মেয়র আনিসুল হক। অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন এবং সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি কর্নেল (অব.) ফারুক খান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ড ভ্যান এবং ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক রুস্তম আলী খান প্রমুখ।

সাবমিট

তেজগাঁও সড়ক পার্কিংমুক্ত ঘোষণা

 ঢাকা 
১০ ডিসেম্বর ২০১৫, ০৯:১০ পিএম  | 

অবৈধভাবে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের দখলে রাখা রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সড়কটি পার্কিংমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তেজগাঁও অবৈধ দখলে থাকা সড়কে ডিএনসিসি আয়োজিত ‘তেজগাঁও শিল্প এলাকা, মহাখালী বাস-টার্মিনাল এবং তেজগাঁও ট্রাকটার্মিনাল সংলগ্ন সড়ক পার্কিংমুক্ত ঘোষণা’ অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি এবং পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এ ঘোষণা দেন। এ সময় সব সংস্থা এবং সংগঠনের কর্ণধাররা উপস্থিত ছিলেন। ডিএনসিসির পক্ষ থেকে দুই বছরের মধ্যে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের আদর্শ ট্রাকটার্মিনাল তৈরির ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে তেজগাঁও ট্রাকটার্মিনাল সংলগ্ন সড়টি লোকেলোকারণ্য হয়ে যায়। ‘ক্লিন ঢাকা, গ্রিণ ঢাকা এবং যানজটমুক্ত ঢাকা চাই; মেয়র তোমার ভয় নাই-আমরা আছি তোমার সাথে’-ইত্যাদী শ্লোগানে দলে দলে মানুষ উপস্থিত হয় তেজগাঁও সড়কে।
পরিবহন শ্রমিক মালিক-নেতা এবং কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে এসব মিছিল আসে অনুষ্ঠানস্থল। প্রায় ১০ হাজার লোকের উপস্থিতি ছিল অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকদের বেশির ভাগই ছিল পরিবহন শ্রমিক ও মালিক পক্ষের লোকজন। এর বাইরে ছিল-স্থানীয় জনসাধারণ।
তেজগাঁওয়ের সড়কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দিন ডিএনসিসি মেয়রকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনার জন্য শ্রমিক-মালিক নেতাদের দুঃখ প্রকাশ করে দেয়া বক্তব্যকে তাদের উচ্চস্বরে সমর্থন করতে দেখা যায়। একই সঙ্গে পরিবহন রাখার জন্য আর্দশ টার্মিনাল করে দেয়ারও দাবি জানান তারা।
ডিএনসিসি মেয়র আনিসুল হক তার বক্তব্যে বলেন, আমাকে আপনারা ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করেছেন। আপনারা সহযোগীতা না করলে কোনো ভাবেই আমি একা কিছু করতে পারবো না।
তিনি বলেন, তেজগাঁও মহাখালী এলাকার সড়কের পার্কিং অপসারণ হল, এটা আপনাদের সহযোগীতায় সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতে পরিবেশ বান্ধব-যানজটমুক্ত-সবুজ ঢাকা গড়তে পরিবহন মালিক এবং শ্রমিকদের সহযোগীতা করার অনুরোধ জানান মেয়র।
তেজগাঁওয়ের সড়কের অবৈধ স্থাপনা অপসারণের দিনের অপ্রীতিকর ঘটনার কথা উল্লেখ্য করে আনিসুল হক বলেন, ওইদিন শ্রমিকদের সঙ্গে আমাদের কোনো স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় ছিল না, আমরা মালিকদের অবৈধ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান সড়ক থেকে সরাতে এসেছিলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ঢাকাকে যানজটমুক্ত করার জন্য দুই মেয়র আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২৯ নভেম্বর তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যানড অন্যত্র সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় ডিএনসিসি মেয়র। তিনি তেজগাঁওয়ে একটি আধুনিক ট্রাকস্ট্যান্ড তৈরি করবেন। আমিও তার কাছে এই আহ্বান জানাচ্ছি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আগে এ সড়কটি সারাদিন ট্রাকে ভর্তি থাকতো এবং সন্ধ্যায় দীর্ঘ যানজট থাকতো। আর রাতে এই সড়কে গাড়ি চলতে পারতো না। তবে বর্তমানে সড়কটি খালি করে দেয়া হয়েছে। আমরা যানজটমুক্ত রাজধানী চাই। অবৈধ স্থাপনা ও ট্রাকগুলো সরানোর পাশাপাশি সেগুলো যাতে নিরাপদে থাকে সে দিকেও নজর দিতে হবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসি মেয়র আনিসুল হক। অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন এবং সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি কর্নেল (অব.) ফারুক খান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ড ভ্যান এবং ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক রুস্তম আলী খান প্রমুখ।

 
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র