jugantor
অনুমোদনের অপেক্ষায় ৮২৭ কোটি টাকার রাইট শেয়ার
অনুমোদনের ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের

  মনির হোসেন  

২০ ডিসেম্বর ২০১৫, ০০:০০:০০  | 

অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে ৬ কোম্পানির ৮২৭ কোটি টাকার রাইট শেয়ার। এরমধ্যে ২৯৪ কোটি টাকা প্রিমিয়াম। অন্যদিকে চলতি বছরে আরও ৯টি কোম্পানির রাইট শেয়ারের আবেদন নাকোচ করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রকসংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। অর্থনীতিবিদ বলছেন, মন্দা বাজারে শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানোর আগে বিএসইসি চিন্তা করতে হবে। আর কোনো কোম্পানির রাইট শেয়ার অনুমোদনের আগে এসব কোম্পানিগুলোর পেছনের রেকর্ড দেখতে হবে। অন্যদিকে গত অর্থবছরে ৫টি কোম্পানি রাইট শেয়ার দিয়ে বাজার থেকে ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা নিয়েছিল।

রাইট শেয়ারের আবেদন : জানা গেছে মূলধন বাড়াতে কোম্পানিগুলো বর্তমান শেয়ার হোল্ডারদের মধ্যে যে শেয়ার বিক্রি করে তাকে রাইট শেয়ার বলে। আর চলতি বছরে খাদ্য ও সমজাতীয় খাতের কোম্পানি বঙ্গজ ১টি শেয়ারের বিপরীতে ৩টি শেয়ার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো প্রিমিয়াম প্রস্তাব করা হয়নি। অভিহিত মূল্যে এসব শেয়ারের দাম ১৬ কোটি টাকা। এছাড়া ৭৮ কোটি টাকা প্রিমিয়ামসহ ১৩০ কোটি সংগ্রহের ঘোষণা দিয়েছে বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম। ঢাকা ডাইং বাজার থেকে ১১৮ কোটি টাকা নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়াও ৭৪ কোটি প্রিমিয়ামসহ ২৬১ কোটি টাকা নেবে জিপিএইচ ইস্পাত, ১২৫ কোটি টাকা প্রিমিয়ামসহ ১৫১ কোটি টাকা নেবে আইডিএলসি ফাইন্যান্স এবং ১৭ কোটি টাকা প্রিমিয়ামসহ ৫১ কোটি টাকা নেবে সামিট এলায়েন্স পোর্ট। অন্যদিকে ৯টি কোম্পানি রাইট শেয়ারের আবেদন করলেও মৌল ভিত্তি দুর্বল হওয়ায় তা নকোচ করে দেয় বিএসইসি। কোম্পানিগুলো হল- বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম, বিচ হ্যাচারি, সেন্ট্রাল ফার্মা, দেশবন্ধু পলিমার, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স, গোল্ডেন সন, জেএমআই সিরিঞ্জ, ম্যাকসন্স স্পিনিং, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স এবং সাফকো স্পিনিং।

সামগ্রিক মূলধন সংগ্রহ : সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে ৬ প্রতিষ্ঠান ২৪ কোটি ৩৯ লাখ শেয়ার ছেড়ে ২৮৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা নিয়েছে। তবে অভিহিত মূল্যে এর পরিমাণ ২৪৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। ২০১০ সালে ২৪টি কোম্পানি ১৭৫ কোটি ২০ লাখ শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে ২ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা নিয়েছে। অভিহিত মূল্যে এর পরিমাণ ১ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। ২০১১ সালে ২১টি প্রতিষ্ঠান ১১৬ কোটি ৯৯ লাখ শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে ২ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা নিয়েছে। অভিহিত মূল্যে যা ১ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকা। ২০১২ সালে ৯টি প্রতিষ্ঠান ৪৯ কোটি ৭৯ লাখ শেয়ার ছেড়ে ৮৬৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা নিয়েছে। অভিহিত মূল্যে যা ৪৯৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। ২০১৩ সালে ৮টি প্রতিষ্ঠান ১৮ কোটি শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে ১৮০ কোটি ২৯ লাখ টাকা নিয়েছে। সর্বশেষ ২০১৪ সালে ৯টি প্রতিষ্ঠান প্রিমিয়ামসহ ২ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা নিয়েছে। এরমধ্যে প্রিমিয়াম ১ হাজার ২২৭ কোটি টাকা।

কেলেংকারি : রাইট শেয়ারের মাধ্যমে বাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করতে ২০১২ সালে আরএন স্পিনিংকে অনুমোদন দেয় বিএসইসি। এ প্রক্রিয়ায় কোম্পানিটি ১৩ কোটি ৯১ লাখ শেয়ারের বিপরীতে বাজার থেকে ২৭৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা নেয়ার অনুমোদন পায়। কিন্তু সাধারণ বিনিয়োগকারীরা টাকা জমা দিলেও কোম্পানির পরিচালকরা টাকা জমা দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ আসায় তদন্ত কমিটি গঠন করে বিএসইসি। কমিটি ব্যাপক অনিয়মসহ কোম্পানির উদ্যোক্তাদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পায়। কোম্পানির ইস্যু করা প্রায় ২৭৮ কোটি টাকার রাইট শেয়ারের মধ্যে ১৮০ কোটি টাকা ব্যাংক হিসাবে জমা হয়নি। এর অধিকাংশই ছিল কোম্পানির পরিচালকদের। ফলে কোম্পানির পরিচালকদের প্রত্যেক ৫০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। তবে ওই জরিমানা এখনও দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন।

নীতিমালা সংশোধন : ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে রাইট শেয়ার নীতিমালায় পরিবর্তন এনেছে বিএসইসি। নতুন নিয়মে কোনো কোম্পানিকে প্রিমিয়ামসহ রাইট ইস্যু করতে হলে তার বিগত ৩ বছরের মুনাফার রেকর্ড এবং ক্রেডিট রেটিং তথ্য থাকতে হবে। এছাড়া রাইট অফারের তথ্য বিএসইসি ও দুই স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি কোম্পানি ও ইস্যু ম্যানেজারের ওয়েবসাইটে দিতে হবে। অনুমোদনের তিন কার্যদিবসের মধ্যে এই ঘোষণা ওয়েবসাইটে দেয়া এবং সাবস্ক্রিপশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এটি ওয়েবসাইটে রাখা বাধ্যতামূলক। এছাড়াও রাইট শেয়ারের টাকা আলাদা অ্যাকাউন্টে রেখে তা নির্দিষ্ট খাতে খরচ করতে হবে।

বিশ্লেষকদের বক্তব্য : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, রাইট শেয়ারের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করতে আইনগত বাধা নেই। তবে কোম্পানি কোনো খাতের টাকা কোনো খাতে খরচ করে তা বিএসইসিকে নজরদারি করতে হবে। কোনো কোম্পানি অনিয়ম করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ডিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট রকিবুর রহমান বলেন, কোম্পানিগুলো মূলধন সংগ্রহ করে তার প্রবৃদ্ধি বাড়াবে। এতে বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তা উভয় লাভবান হবে। কিন্তু কোম্পানি টাকা নিয়ে অনিয়ম করলে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত করার দায়িত্ব বিএসইসির।


 

সাবমিট

অনুমোদনের অপেক্ষায় ৮২৭ কোটি টাকার রাইট শেয়ার

অনুমোদনের ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের
 মনির হোসেন 
২০ ডিসেম্বর ২০১৫, ১২:০০ এএম  | 

অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে ৬ কোম্পানির ৮২৭ কোটি টাকার রাইট শেয়ার। এরমধ্যে ২৯৪ কোটি টাকা প্রিমিয়াম। অন্যদিকে চলতি বছরে আরও ৯টি কোম্পানির রাইট শেয়ারের আবেদন নাকোচ করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রকসংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। অর্থনীতিবিদ বলছেন, মন্দা বাজারে শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানোর আগে বিএসইসি চিন্তা করতে হবে। আর কোনো কোম্পানির রাইট শেয়ার অনুমোদনের আগে এসব কোম্পানিগুলোর পেছনের রেকর্ড দেখতে হবে। অন্যদিকে গত অর্থবছরে ৫টি কোম্পানি রাইট শেয়ার দিয়ে বাজার থেকে ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা নিয়েছিল।

রাইট শেয়ারের আবেদন : জানা গেছে মূলধন বাড়াতে কোম্পানিগুলো বর্তমান শেয়ার হোল্ডারদের মধ্যে যে শেয়ার বিক্রি করে তাকে রাইট শেয়ার বলে। আর চলতি বছরে খাদ্য ও সমজাতীয় খাতের কোম্পানি বঙ্গজ ১টি শেয়ারের বিপরীতে ৩টি শেয়ার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো প্রিমিয়াম প্রস্তাব করা হয়নি। অভিহিত মূল্যে এসব শেয়ারের দাম ১৬ কোটি টাকা। এছাড়া ৭৮ কোটি টাকা প্রিমিয়ামসহ ১৩০ কোটি সংগ্রহের ঘোষণা দিয়েছে বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম। ঢাকা ডাইং বাজার থেকে ১১৮ কোটি টাকা নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়াও ৭৪ কোটি প্রিমিয়ামসহ ২৬১ কোটি টাকা নেবে জিপিএইচ ইস্পাত, ১২৫ কোটি টাকা প্রিমিয়ামসহ ১৫১ কোটি টাকা নেবে আইডিএলসি ফাইন্যান্স এবং ১৭ কোটি টাকা প্রিমিয়ামসহ ৫১ কোটি টাকা নেবে সামিট এলায়েন্স পোর্ট। অন্যদিকে ৯টি কোম্পানি রাইট শেয়ারের আবেদন করলেও মৌল ভিত্তি দুর্বল হওয়ায় তা নকোচ করে দেয় বিএসইসি। কোম্পানিগুলো হল- বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম, বিচ হ্যাচারি, সেন্ট্রাল ফার্মা, দেশবন্ধু পলিমার, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স, গোল্ডেন সন, জেএমআই সিরিঞ্জ, ম্যাকসন্স স্পিনিং, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স এবং সাফকো স্পিনিং।

সামগ্রিক মূলধন সংগ্রহ : সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে ৬ প্রতিষ্ঠান ২৪ কোটি ৩৯ লাখ শেয়ার ছেড়ে ২৮৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা নিয়েছে। তবে অভিহিত মূল্যে এর পরিমাণ ২৪৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। ২০১০ সালে ২৪টি কোম্পানি ১৭৫ কোটি ২০ লাখ শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে ২ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা নিয়েছে। অভিহিত মূল্যে এর পরিমাণ ১ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। ২০১১ সালে ২১টি প্রতিষ্ঠান ১১৬ কোটি ৯৯ লাখ শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে ২ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা নিয়েছে। অভিহিত মূল্যে যা ১ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকা। ২০১২ সালে ৯টি প্রতিষ্ঠান ৪৯ কোটি ৭৯ লাখ শেয়ার ছেড়ে ৮৬৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা নিয়েছে। অভিহিত মূল্যে যা ৪৯৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। ২০১৩ সালে ৮টি প্রতিষ্ঠান ১৮ কোটি শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে ১৮০ কোটি ২৯ লাখ টাকা নিয়েছে। সর্বশেষ ২০১৪ সালে ৯টি প্রতিষ্ঠান প্রিমিয়ামসহ ২ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা নিয়েছে। এরমধ্যে প্রিমিয়াম ১ হাজার ২২৭ কোটি টাকা।

কেলেংকারি : রাইট শেয়ারের মাধ্যমে বাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করতে ২০১২ সালে আরএন স্পিনিংকে অনুমোদন দেয় বিএসইসি। এ প্রক্রিয়ায় কোম্পানিটি ১৩ কোটি ৯১ লাখ শেয়ারের বিপরীতে বাজার থেকে ২৭৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা নেয়ার অনুমোদন পায়। কিন্তু সাধারণ বিনিয়োগকারীরা টাকা জমা দিলেও কোম্পানির পরিচালকরা টাকা জমা দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ আসায় তদন্ত কমিটি গঠন করে বিএসইসি। কমিটি ব্যাপক অনিয়মসহ কোম্পানির উদ্যোক্তাদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পায়। কোম্পানির ইস্যু করা প্রায় ২৭৮ কোটি টাকার রাইট শেয়ারের মধ্যে ১৮০ কোটি টাকা ব্যাংক হিসাবে জমা হয়নি। এর অধিকাংশই ছিল কোম্পানির পরিচালকদের। ফলে কোম্পানির পরিচালকদের প্রত্যেক ৫০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। তবে ওই জরিমানা এখনও দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন।

নীতিমালা সংশোধন : ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে রাইট শেয়ার নীতিমালায় পরিবর্তন এনেছে বিএসইসি। নতুন নিয়মে কোনো কোম্পানিকে প্রিমিয়ামসহ রাইট ইস্যু করতে হলে তার বিগত ৩ বছরের মুনাফার রেকর্ড এবং ক্রেডিট রেটিং তথ্য থাকতে হবে। এছাড়া রাইট অফারের তথ্য বিএসইসি ও দুই স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি কোম্পানি ও ইস্যু ম্যানেজারের ওয়েবসাইটে দিতে হবে। অনুমোদনের তিন কার্যদিবসের মধ্যে এই ঘোষণা ওয়েবসাইটে দেয়া এবং সাবস্ক্রিপশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এটি ওয়েবসাইটে রাখা বাধ্যতামূলক। এছাড়াও রাইট শেয়ারের টাকা আলাদা অ্যাকাউন্টে রেখে তা নির্দিষ্ট খাতে খরচ করতে হবে।

বিশ্লেষকদের বক্তব্য : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, রাইট শেয়ারের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করতে আইনগত বাধা নেই। তবে কোম্পানি কোনো খাতের টাকা কোনো খাতে খরচ করে তা বিএসইসিকে নজরদারি করতে হবে। কোনো কোম্পানি অনিয়ম করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ডিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট রকিবুর রহমান বলেন, কোম্পানিগুলো মূলধন সংগ্রহ করে তার প্রবৃদ্ধি বাড়াবে। এতে বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তা উভয় লাভবান হবে। কিন্তু কোম্পানি টাকা নিয়ে অনিয়ম করলে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত করার দায়িত্ব বিএসইসির।


 

 
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র