দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে ৭০ আসনের ৬৭টিতেই অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির (এএপি) জয়লাভের ঘটনাটি বিস্ময়কর। কিছুদিন আগে লোকসভা নির্বাচনে যে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বিপুল বিজয় নিয়ে কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেছে, দিল্লি বিধানসভায় তারা পেয়েছে মাত্র তিনটি আসন। কংগ্রেস একটি আসনও পায়নি। নয়াদিল্লি ভারতের রাজধানী। স্বভাবতই এ বিধানসভা নির্বাচনের গুরুত্ব অনেক বেশি। সেখানে বড় দুই দলকে বাদ দিয়ে মানুষ নতুন একটি দলকে কেন এমন একচেটিয়া সমর্থন দিল, তা শুধু ভারতে নয়, প্রতিবেশী দেশগুলোর মানুষের কাছেও কৌতূহলের বিষয়।
কেজরিওয়াল যে এবারই প্রথম নির্বাচিত হলেন তা নয়। দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে গত বছর তিনি প্রথমবারের মতো সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কিন্তু লোকসভায় একটি বিল পাসকে কেন্দ্র করে ক্ষমতায় আসার মাত্র ৪৯ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেন তিনি। এক্ষেত্রে দুর্নীতির কাছে মাথানত না করে তিনি যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন, তা তার জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে নিঃসন্দেহে। সেই পদত্যাগের জন্য তিনি জনতার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবারের নির্বাচনী প্রচারণায়। নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রভাবশালী বিজেপি নেত্রী কিরণ বেদী নানা ভাষায় কেজরিওয়ালের সমালোচনা করেছেন। কিন্তু কেজরিওয়াল কারও প্রতি বিষোদ্গার করেননি। তার মন্তব্য ও বক্তৃতায় কোনো ধরনের ঔদ্ধত্য প্রকাশ পায়নি। ভদ্রতার জন্য কেজরিওয়াল সব মহলেই হয়েছেন প্রশংসিত। অর্থাৎ এএপির জয়ের পেছনে তার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তির একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। এটি শিক্ষণীয় অবশ্যই। তবে শাসকগোষ্ঠীর দুই প্রধান দলের বিপরীতে নতুন একটি দলের প্রতি মানুষের আস্থা আরও যে বার্তাটি দেয় তা হল, দিল্লির মানুষ পরিবর্তন চায়। দুর্নীতি ও অপশাসনের অবসান চায়।
কেজরিওয়াল কি পারবেন এ ব্যাপারে তার প্রতিশ্র“তি রক্ষা করে রাজ্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং মানুষের জীবনমান উন্নত করতে? বস্তুত এর ওপরই নির্ভর করছে তার সাফল্য। কেন্দ্রের সহায়তা ছাড়া কাজটি যে কঠিন তা বলাই বাহুল্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অবশ্য কেজরিওয়ালকে অভিনন্দন জানিয়ে তাকে সবরকম সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন। কেজরিওয়ালকে দেখা হচ্ছে প্রকৃত সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে। তিনি যদি রাজ্য পরিচালনায় সফল হন, তাহলে তা শুধু ভারতে নয়, দুর্নীতি ও অপশাসনকবলিত সব দেশের জন্যই দৃষ্টান্ত হবে। এ উদাহরণ থেকে বিকল্পের সন্ধান করবে মানুষ। মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলো ও নেতারাও তখন এ থেকে শিক্ষা নেবেন, আশা করা যায়।
কেজরিওয়াল যে এবারই প্রথম নির্বাচিত হলেন তা নয়। দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে গত বছর তিনি প্রথমবারের মতো সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কিন্তু লোকসভায় একটি বিল পাসকে কেন্দ্র করে ক্ষমতায় আসার মাত্র ৪৯ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেন তিনি। এক্ষেত্রে দুর্নীতির কাছে মাথানত না করে তিনি যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন, তা তার জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে নিঃসন্দেহে। সেই পদত্যাগের জন্য তিনি জনতার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবারের নির্বাচনী প্রচারণায়। নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রভাবশালী বিজেপি নেত্রী কিরণ বেদী নানা ভাষায় কেজরিওয়ালের সমালোচনা করেছেন। কিন্তু কেজরিওয়াল কারও প্রতি বিষোদ্গার করেননি। তার মন্তব্য ও বক্তৃতায় কোনো ধরনের ঔদ্ধত্য প্রকাশ পায়নি। ভদ্রতার জন্য কেজরিওয়াল সব মহলেই হয়েছেন প্রশংসিত। অর্থাৎ এএপির জয়ের পেছনে তার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তির একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। এটি শিক্ষণীয় অবশ্যই। তবে শাসকগোষ্ঠীর দুই প্রধান দলের বিপরীতে নতুন একটি দলের প্রতি মানুষের আস্থা আরও যে বার্তাটি দেয় তা হল, দিল্লির মানুষ পরিবর্তন চায়। দুর্নীতি ও অপশাসনের অবসান চায়।
কেজরিওয়াল কি পারবেন এ ব্যাপারে তার প্রতিশ্র“তি রক্ষা করে রাজ্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং মানুষের জীবনমান উন্নত করতে? বস্তুত এর ওপরই নির্ভর করছে তার সাফল্য। কেন্দ্রের সহায়তা ছাড়া কাজটি যে কঠিন তা বলাই বাহুল্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অবশ্য কেজরিওয়ালকে অভিনন্দন জানিয়ে তাকে সবরকম সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন। কেজরিওয়ালকে দেখা হচ্ছে প্রকৃত সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে। তিনি যদি রাজ্য পরিচালনায় সফল হন, তাহলে তা শুধু ভারতে নয়, দুর্নীতি ও অপশাসনকবলিত সব দেশের জন্যই দৃষ্টান্ত হবে। এ উদাহরণ থেকে বিকল্পের সন্ধান করবে মানুষ। মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলো ও নেতারাও তখন এ থেকে শিক্ষা নেবেন, আশা করা যায়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
দিল্লিতে কেজরিওয়ালের চমক
বার্তাটি তাৎপর্যপূর্ণ
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ১২:০০ এএম |
দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে ৭০ আসনের ৬৭টিতেই অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির (এএপি) জয়লাভের ঘটনাটি বিস্ময়কর। কিছুদিন আগে লোকসভা নির্বাচনে যে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বিপুল বিজয় নিয়ে কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেছে, দিল্লি বিধানসভায় তারা পেয়েছে মাত্র তিনটি আসন। কংগ্রেস একটি আসনও পায়নি। নয়াদিল্লি ভারতের রাজধানী। স্বভাবতই এ বিধানসভা নির্বাচনের গুরুত্ব অনেক বেশি। সেখানে বড় দুই দলকে বাদ দিয়ে মানুষ নতুন একটি দলকে কেন এমন একচেটিয়া সমর্থন দিল, তা শুধু ভারতে নয়, প্রতিবেশী দেশগুলোর মানুষের কাছেও কৌতূহলের বিষয়।
কেজরিওয়াল যে এবারই প্রথম নির্বাচিত হলেন তা নয়। দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে গত বছর তিনি প্রথমবারের মতো সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কিন্তু লোকসভায় একটি বিল পাসকে কেন্দ্র করে ক্ষমতায় আসার মাত্র ৪৯ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেন তিনি। এক্ষেত্রে দুর্নীতির কাছে মাথানত না করে তিনি যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন, তা তার জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে নিঃসন্দেহে। সেই পদত্যাগের জন্য তিনি জনতার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবারের নির্বাচনী প্রচারণায়। নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রভাবশালী বিজেপি নেত্রী কিরণ বেদী নানা ভাষায় কেজরিওয়ালের সমালোচনা করেছেন। কিন্তু কেজরিওয়াল কারও প্রতি বিষোদ্গার করেননি। তার মন্তব্য ও বক্তৃতায় কোনো ধরনের ঔদ্ধত্য প্রকাশ পায়নি। ভদ্রতার জন্য কেজরিওয়াল সব মহলেই হয়েছেন প্রশংসিত। অর্থাৎ এএপির জয়ের পেছনে তার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তির একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। এটি শিক্ষণীয় অবশ্যই। তবে শাসকগোষ্ঠীর দুই প্রধান দলের বিপরীতে নতুন একটি দলের প্রতি মানুষের আস্থা আরও যে বার্তাটি দেয় তা হল, দিল্লির মানুষ পরিবর্তন চায়। দুর্নীতি ও অপশাসনের অবসান চায়।
কেজরিওয়াল কি পারবেন এ ব্যাপারে তার প্রতিশ্র“তি রক্ষা করে রাজ্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং মানুষের জীবনমান উন্নত করতে? বস্তুত এর ওপরই নির্ভর করছে তার সাফল্য। কেন্দ্রের সহায়তা ছাড়া কাজটি যে কঠিন তা বলাই বাহুল্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অবশ্য কেজরিওয়ালকে অভিনন্দন জানিয়ে তাকে সবরকম সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন। কেজরিওয়ালকে দেখা হচ্ছে প্রকৃত সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে। তিনি যদি রাজ্য পরিচালনায় সফল হন, তাহলে তা শুধু ভারতে নয়, দুর্নীতি ও অপশাসনকবলিত সব দেশের জন্যই দৃষ্টান্ত হবে। এ উদাহরণ থেকে বিকল্পের সন্ধান করবে মানুষ। মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলো ও নেতারাও তখন এ থেকে শিক্ষা নেবেন, আশা করা যায়।
কেজরিওয়াল যে এবারই প্রথম নির্বাচিত হলেন তা নয়। দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে গত বছর তিনি প্রথমবারের মতো সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কিন্তু লোকসভায় একটি বিল পাসকে কেন্দ্র করে ক্ষমতায় আসার মাত্র ৪৯ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেন তিনি। এক্ষেত্রে দুর্নীতির কাছে মাথানত না করে তিনি যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন, তা তার জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে নিঃসন্দেহে। সেই পদত্যাগের জন্য তিনি জনতার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবারের নির্বাচনী প্রচারণায়। নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রভাবশালী বিজেপি নেত্রী কিরণ বেদী নানা ভাষায় কেজরিওয়ালের সমালোচনা করেছেন। কিন্তু কেজরিওয়াল কারও প্রতি বিষোদ্গার করেননি। তার মন্তব্য ও বক্তৃতায় কোনো ধরনের ঔদ্ধত্য প্রকাশ পায়নি। ভদ্রতার জন্য কেজরিওয়াল সব মহলেই হয়েছেন প্রশংসিত। অর্থাৎ এএপির জয়ের পেছনে তার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তির একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। এটি শিক্ষণীয় অবশ্যই। তবে শাসকগোষ্ঠীর দুই প্রধান দলের বিপরীতে নতুন একটি দলের প্রতি মানুষের আস্থা আরও যে বার্তাটি দেয় তা হল, দিল্লির মানুষ পরিবর্তন চায়। দুর্নীতি ও অপশাসনের অবসান চায়।
কেজরিওয়াল কি পারবেন এ ব্যাপারে তার প্রতিশ্র“তি রক্ষা করে রাজ্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং মানুষের জীবনমান উন্নত করতে? বস্তুত এর ওপরই নির্ভর করছে তার সাফল্য। কেন্দ্রের সহায়তা ছাড়া কাজটি যে কঠিন তা বলাই বাহুল্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অবশ্য কেজরিওয়ালকে অভিনন্দন জানিয়ে তাকে সবরকম সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন। কেজরিওয়ালকে দেখা হচ্ছে প্রকৃত সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে। তিনি যদি রাজ্য পরিচালনায় সফল হন, তাহলে তা শুধু ভারতে নয়, দুর্নীতি ও অপশাসনকবলিত সব দেশের জন্যই দৃষ্টান্ত হবে। এ উদাহরণ থেকে বিকল্পের সন্ধান করবে মানুষ। মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলো ও নেতারাও তখন এ থেকে শিক্ষা নেবেন, আশা করা যায়।