কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অসন্তোষ
ঋণ জালিয়াতিতে জড়িয়ে পড়ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান
যুগান্তর রিপোর্ট
২১ ডিসেম্বর ২০১৫, ০০:০০:০০ |
নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নানা ধরনের ঋণ কেলেংকারিতে জড়িয়ে পড়ছে। এ ঘটনায় চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। তিনি বলেন, একটি প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন চেয়ারম্যান নিজ নামে এবং স্ত্রী, কন্যা, তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মনোনীত ব্যক্তি ও প্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করেছেন, যার বর্তমান স্থিতি সাতশ’ কোটি টাকার বেশি। রোববার আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীরা ছাড়াও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে সাড়ে পাঁচশ’ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় জুলাইতে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস লিমিটেডের পাঁচ পরিচালককে অপসারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গভর্নর বলেন, শুধু ঋণ কেলেংকারি নয়, ওই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কতিপয় ঋণ হিসাবকে সিএল বিবরণীতে অন্তর্ভুক্ত না করা, বিরূপ শ্রেণীকৃত ঋণকে অশ্রেণীকৃত হিসেবে দেখানো, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অনেক ঋণ হিসাবকে সিআইবিতে রিপোর্ট না করা, বিভিন্ন গ্রাহকের অগোচরে তাদের ঋণ হিসাবের বিপরীতে শ্যাডো অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে পরিচালকরা কর্তৃক অবৈধভাবে অর্থ উত্তোলনের মতো গুরুতর অনিয়ম উদ্ঘাটিত হয়েছে। এমনকি স্বীয় প্রভাব খাটানোর স্বার্থে ওই ব্যক্তি কর্তৃক তার মালিকানাধীন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট লোকজনের সমন্বয়ে পর্ষদ গঠনের বিষয়টিও প্রমাণিত হয়েছে। এসব অনিয়ম উদ্ঘাটিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিতে সুশাসন আনয়নের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত পরিচালকদের অপসারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গভর্নর আরও বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানের পর্ষদসহ আরেকটি পর্ষদেও বাংলাদেশ ব্যাংক দু’জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, অপসারিত পরিচালকরা হলেন- আরেফিন সামসুল আলামিন, মতিউর রহমান, খবির উদ্দিন মিয়া, নার্গিস আলামিন ও হুমায়রা আলামিন। ১৩ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক মাহাবুবা খাতুন স্বাক্ষরিত চিঠিতে পিপলস লিজিংয়ের বর্তমান ও সাবেক এ পাঁচ কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
সভায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীরা ছাড়াও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে সাড়ে পাঁচশ’ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় জুলাইতে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস লিমিটেডের পাঁচ পরিচালককে অপসারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গভর্নর বলেন, শুধু ঋণ কেলেংকারি নয়, ওই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কতিপয় ঋণ হিসাবকে সিএল বিবরণীতে অন্তর্ভুক্ত না করা, বিরূপ শ্রেণীকৃত ঋণকে অশ্রেণীকৃত হিসেবে দেখানো, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অনেক ঋণ হিসাবকে সিআইবিতে রিপোর্ট না করা, বিভিন্ন গ্রাহকের অগোচরে তাদের ঋণ হিসাবের বিপরীতে শ্যাডো অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে পরিচালকরা কর্তৃক অবৈধভাবে অর্থ উত্তোলনের মতো গুরুতর অনিয়ম উদ্ঘাটিত হয়েছে। এমনকি স্বীয় প্রভাব খাটানোর স্বার্থে ওই ব্যক্তি কর্তৃক তার মালিকানাধীন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট লোকজনের সমন্বয়ে পর্ষদ গঠনের বিষয়টিও প্রমাণিত হয়েছে। এসব অনিয়ম উদ্ঘাটিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিতে সুশাসন আনয়নের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত পরিচালকদের অপসারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গভর্নর আরও বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানের পর্ষদসহ আরেকটি পর্ষদেও বাংলাদেশ ব্যাংক দু’জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, অপসারিত পরিচালকরা হলেন- আরেফিন সামসুল আলামিন, মতিউর রহমান, খবির উদ্দিন মিয়া, নার্গিস আলামিন ও হুমায়রা আলামিন। ১৩ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক মাহাবুবা খাতুন স্বাক্ষরিত চিঠিতে পিপলস লিজিংয়ের বর্তমান ও সাবেক এ পাঁচ কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অসন্তোষ
ঋণ জালিয়াতিতে জড়িয়ে পড়ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান
যুগান্তর রিপোর্ট
২১ ডিসেম্বর ২০১৫, ১২:০০ এএম |
নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নানা ধরনের ঋণ কেলেংকারিতে জড়িয়ে পড়ছে। এ ঘটনায় চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। তিনি বলেন, একটি প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন চেয়ারম্যান নিজ নামে এবং স্ত্রী, কন্যা, তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মনোনীত ব্যক্তি ও প্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করেছেন, যার বর্তমান স্থিতি সাতশ’ কোটি টাকার বেশি। রোববার আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীরা ছাড়াও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে সাড়ে পাঁচশ’ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় জুলাইতে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস লিমিটেডের পাঁচ পরিচালককে অপসারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গভর্নর বলেন, শুধু ঋণ কেলেংকারি নয়, ওই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কতিপয় ঋণ হিসাবকে সিএল বিবরণীতে অন্তর্ভুক্ত না করা, বিরূপ শ্রেণীকৃত ঋণকে অশ্রেণীকৃত হিসেবে দেখানো, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অনেক ঋণ হিসাবকে সিআইবিতে রিপোর্ট না করা, বিভিন্ন গ্রাহকের অগোচরে তাদের ঋণ হিসাবের বিপরীতে শ্যাডো অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে পরিচালকরা কর্তৃক অবৈধভাবে অর্থ উত্তোলনের মতো গুরুতর অনিয়ম উদ্ঘাটিত হয়েছে। এমনকি স্বীয় প্রভাব খাটানোর স্বার্থে ওই ব্যক্তি কর্তৃক তার মালিকানাধীন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট লোকজনের সমন্বয়ে পর্ষদ গঠনের বিষয়টিও প্রমাণিত হয়েছে। এসব অনিয়ম উদ্ঘাটিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিতে সুশাসন আনয়নের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত পরিচালকদের অপসারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গভর্নর আরও বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানের পর্ষদসহ আরেকটি পর্ষদেও বাংলাদেশ ব্যাংক দু’জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, অপসারিত পরিচালকরা হলেন- আরেফিন সামসুল আলামিন, মতিউর রহমান, খবির উদ্দিন মিয়া, নার্গিস আলামিন ও হুমায়রা আলামিন। ১৩ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক মাহাবুবা খাতুন স্বাক্ষরিত চিঠিতে পিপলস লিজিংয়ের বর্তমান ও সাবেক এ পাঁচ কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
সভায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীরা ছাড়াও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে সাড়ে পাঁচশ’ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় জুলাইতে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস লিমিটেডের পাঁচ পরিচালককে অপসারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গভর্নর বলেন, শুধু ঋণ কেলেংকারি নয়, ওই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কতিপয় ঋণ হিসাবকে সিএল বিবরণীতে অন্তর্ভুক্ত না করা, বিরূপ শ্রেণীকৃত ঋণকে অশ্রেণীকৃত হিসেবে দেখানো, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অনেক ঋণ হিসাবকে সিআইবিতে রিপোর্ট না করা, বিভিন্ন গ্রাহকের অগোচরে তাদের ঋণ হিসাবের বিপরীতে শ্যাডো অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে পরিচালকরা কর্তৃক অবৈধভাবে অর্থ উত্তোলনের মতো গুরুতর অনিয়ম উদ্ঘাটিত হয়েছে। এমনকি স্বীয় প্রভাব খাটানোর স্বার্থে ওই ব্যক্তি কর্তৃক তার মালিকানাধীন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট লোকজনের সমন্বয়ে পর্ষদ গঠনের বিষয়টিও প্রমাণিত হয়েছে। এসব অনিয়ম উদ্ঘাটিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিতে সুশাসন আনয়নের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত পরিচালকদের অপসারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গভর্নর আরও বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানের পর্ষদসহ আরেকটি পর্ষদেও বাংলাদেশ ব্যাংক দু’জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, অপসারিত পরিচালকরা হলেন- আরেফিন সামসুল আলামিন, মতিউর রহমান, খবির উদ্দিন মিয়া, নার্গিস আলামিন ও হুমায়রা আলামিন। ১৩ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক মাহাবুবা খাতুন স্বাক্ষরিত চিঠিতে পিপলস লিজিংয়ের বর্তমান ও সাবেক এ পাঁচ কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।