পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় সিন্ধু প্রদেশে তীব্র তাপদাহে আরো ৩০৯ জন মারা গেছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৭০০ জনে। এ অবস্থায় জরুরি অবস্থা ঘোষণার পাশাপাশি রাজ্যটির সব স্কুল, কলেজ ও সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। খবর বিবিসি, ডননিউজ ও খালিজ টাইমসের।
শহরটিতে গত কয়েক দিনের মধ্যে সবোর্চ্চ ৪৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। প্রদেশটিতে তাপমাত্রা কিছুটা কমে গেলেও মঙ্গলবার তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে। তাপদাহের পাশাপাশি লোডশেডিংয়ের কারণে অবস্থা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। পাকিস্তানে তীব্র গরমের মাঝে বিদ্যুত বিভ্রাটের কারণে করাচীর রাস্তায় বিক্ষোভ করেন ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা।
পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের তরফ থেকে তারা জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ পেয়েছেন। হিট স্ট্রোক কেন্দ্র খোলার জন্য সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করবে সেনাবাহিনী।
প্রচণ্ড গরমে যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই বয়স্ক এবং দরিদ্র পরিবারের সদস্য। বিভিন্ন হাসপাতালে তাপদাহের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়া লোকজনের চিকিৎসা চলছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, করাচী শহরেই প্রাণহানির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, গ্রীষ্মে পাকিস্তানে তাপদাহ খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। তবে এ বছর ব্যাপক হারে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে বিষয়টি মারাত্মক রূপ নিয়েছে।
যদিও বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটবে না বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ, তবে সে আশ্বাস যে পূরণ হয়নি। বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে মৃত্যুর সংখ্যা কমানো যেত বলে দাবি করছেন স্থানীয় অনেক বাসিন্দা।
তাপদাহ অব্যাহত থাকায় প্রদেশের সব হাসপাতালে জরুরি অবস্থা জারি করে সিন্ধ প্রশাসন। হাসপাতালগুলোর সব চিকিৎসক ও কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সরঞ্জামের মজুদ বাড়ানো হচ্ছে।
তীব্র গরমের মধ্যে বার বার বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ নেয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ রমজান মাসের এ সময়ে বিদ্যুৎ চলে যাওয়াকে কোনভাবেই তিনি বরদাশত করবেন না বলে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানীসমূহকে সতর্ক করেছেন।
এর আগে ১৯৭৯ সালে এ নগরীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিলো।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
তাপদাহে পাকিস্তানে মৃত ৭০০: জরুরি অবস্থা জারি
পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় সিন্ধু প্রদেশে তীব্র তাপদাহে আরো ৩০৯ জন মারা গেছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৭০০ জনে। এ অবস্থায় জরুরি অবস্থা ঘোষণার পাশাপাশি রাজ্যটির সব স্কুল, কলেজ ও সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। খবর বিবিসি, ডননিউজ ও খালিজ টাইমসের।
শহরটিতে গত কয়েক দিনের মধ্যে সবোর্চ্চ ৪৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। প্রদেশটিতে তাপমাত্রা কিছুটা কমে গেলেও মঙ্গলবার তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে। তাপদাহের পাশাপাশি লোডশেডিংয়ের কারণে অবস্থা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। পাকিস্তানে তীব্র গরমের মাঝে বিদ্যুত বিভ্রাটের কারণে করাচীর রাস্তায় বিক্ষোভ করেন ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা।
পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের তরফ থেকে তারা জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ পেয়েছেন। হিট স্ট্রোক কেন্দ্র খোলার জন্য সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করবে সেনাবাহিনী।
প্রচণ্ড গরমে যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই বয়স্ক এবং দরিদ্র পরিবারের সদস্য। বিভিন্ন হাসপাতালে তাপদাহের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়া লোকজনের চিকিৎসা চলছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, করাচী শহরেই প্রাণহানির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, গ্রীষ্মে পাকিস্তানে তাপদাহ খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। তবে এ বছর ব্যাপক হারে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে বিষয়টি মারাত্মক রূপ নিয়েছে।
যদিও বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটবে না বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ, তবে সে আশ্বাস যে পূরণ হয়নি। বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে মৃত্যুর সংখ্যা কমানো যেত বলে দাবি করছেন স্থানীয় অনেক বাসিন্দা।
তাপদাহ অব্যাহত থাকায় প্রদেশের সব হাসপাতালে জরুরি অবস্থা জারি করে সিন্ধ প্রশাসন। হাসপাতালগুলোর সব চিকিৎসক ও কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সরঞ্জামের মজুদ বাড়ানো হচ্ছে।
তীব্র গরমের মধ্যে বার বার বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ নেয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ রমজান মাসের এ সময়ে বিদ্যুৎ চলে যাওয়াকে কোনভাবেই তিনি বরদাশত করবেন না বলে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানীসমূহকে সতর্ক করেছেন।
এর আগে ১৯৭৯ সালে এ নগরীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিলো।