দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। প্রথমবারের মতো দেশীয় হ্যাকারদের সঙ্গে একযোগে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে আইসিটি মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে প্রাথমিক অবস্থায় সাইবার-৭১ টিমের সঙ্গে কথা বলেছেন সরকারের শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তারা। সাইবার নিরাপত্তায় বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি এর আগে সরকারের বিভিন্ন প্রশাসনিক উইং, বিভিন্ন দফতরের আইটি বিভাগের কর্মকর্তাদের ইথিক্যাল হ্যাকিংয়ের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল। আর এবারই প্রথম বাংলাদেশী হ্যাকারদের নিজেদের সাইবার নিরাপত্তায় কাজে লাগাতে যাচ্ছে সরকার।
গত ১ মার্চ সরকারের লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এলআইসিটি) বাংলাদেশের হ্যাকার গ্রুপ সাইবার-৭১-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠক করে। আর এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে সাইবার নিরাপত্তায় প্রথম সরকারি কোনো উদ্যোগে হ্যাকারদের কাজে লাগোনোর প্রক্রিয়া শুরু হল। এলআইসিটি প্রকল্পের কম্পোনেন্ট টিম লিডার ফখরুজ জামান জানান, দেশের সাইবার নিরাপত্তায় এর আগে সরকারের বিভিন্ন সংস্থাসহ আইটি বিভাগের অনেককেই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এবার ইথিক্যাল হ্যাকিংয়ে দেশীয় মেধা কাজে লাগাচ্ছি আমরা। বাংলাদেশী হ্যাকার গ্রুপ সাইবার-৭১-এর সঙ্গে বৈঠকের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে তাদের ন্যাশনাল ওয়েব পোর্টালের সিকিউরিটি বাগ খোঁজার কথা বলা হয়েছে। সরকারি উৎসাহে দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত তানজিম আল ফাহিম জানান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে আমাদের বিশেষ এক বৈঠকের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সাইবার-৭১ দেশের জন্য কাজ করে সরকারি কর্মকর্তাদের এমন মনোভাবের কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, কোনো পারিশ্রমিক ছাড়াই শুধু দেশের সাইবার স্পেসের নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। হ্যাকার গ্রুপটির দুই প্রতিনিধি জানান, প্রাথমিকভাবে জাতীয় ওয়েব পোর্টাল নিয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে আমাদের। এদিকে ‘সাইবার-৭১’ নামে এই হ্যাকার টিম সোমবার তৃতীয় বছরে পদার্পণ করেছে। উই হ্যাক টু প্রটেক্ট বাংলাদেশ স্লোগান নিয়ে তারা যাত্রা শুরু করে। বাংলাদেশী হ্যাকার গ্র“প সাইবার-৭১ তাদের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ফেলানী হত্যা মামলার রায়ের প্রতিবাদে ভারতীয় পুলিশের ওয়েবসাইট, ভারতীয় দূতাবাস এবং ভারতীয় বিপুলসংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফেলানীর ছবি দিয়ে হ্যাক করে শুধু বাংলাদেশ আর ভারত নয়, বরং সমগ্র বিশ্ববাসীকে তাদের সম্পর্কে জানান দেয়। তৃতীয় বছরে পদার্পণ উপলক্ষে ফেসবুকে "সাইবার-৭১-এর প্রধান নির্বাহী তানজিম আল ফাহিম লিখেছেন, যেখানে দুর্নীতি, কোন্দল, অশ্লীলতা, অনিয়ম সেখানেই প্রতিবাদে সাইবার-৭১। প্রতিষ্ঠার তৃতীয় বছরে এসেও পা দিয়েও প্রতিবাদের কণ্ঠ কমেনি, বরং বহুগুণে বেড়েছে তার প্রমাণ কাজের মাধ্যমেই দিয়ে গেছে সাইবার-৭১। ফেলানী হত্যা মামলার আসামির মুক্তির প্রতিবাদে ভারতীয় রাজ ভবন/ সরকারি বেসরকারি ওয়েবসাইটসহ শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের ওয়েবসাইটে প্রতিবাদে ভারতীয় প্রশাসনের কাছে আতংকের এক নাম হয়ে দাঁড়ায় গ্র“পটি। ভারতের পুলিশ হুমকি দিলেও থেমে থাকেনি তাদের কাজ, বরং পাল্টা আক্রমণে তাদের ওয়েবসাইট হ্যাক করে জানিয়ে দেয় যে, সত্যের পক্ষে যারা থাকে তারা কখনোই ভয় পায় না। -এম. মিজানুর রহমান সোহেল
গত ১ মার্চ সরকারের লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এলআইসিটি) বাংলাদেশের হ্যাকার গ্রুপ সাইবার-৭১-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠক করে। আর এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে সাইবার নিরাপত্তায় প্রথম সরকারি কোনো উদ্যোগে হ্যাকারদের কাজে লাগোনোর প্রক্রিয়া শুরু হল। এলআইসিটি প্রকল্পের কম্পোনেন্ট টিম লিডার ফখরুজ জামান জানান, দেশের সাইবার নিরাপত্তায় এর আগে সরকারের বিভিন্ন সংস্থাসহ আইটি বিভাগের অনেককেই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এবার ইথিক্যাল হ্যাকিংয়ে দেশীয় মেধা কাজে লাগাচ্ছি আমরা। বাংলাদেশী হ্যাকার গ্রুপ সাইবার-৭১-এর সঙ্গে বৈঠকের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে তাদের ন্যাশনাল ওয়েব পোর্টালের সিকিউরিটি বাগ খোঁজার কথা বলা হয়েছে। সরকারি উৎসাহে দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত তানজিম আল ফাহিম জানান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে আমাদের বিশেষ এক বৈঠকের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সাইবার-৭১ দেশের জন্য কাজ করে সরকারি কর্মকর্তাদের এমন মনোভাবের কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, কোনো পারিশ্রমিক ছাড়াই শুধু দেশের সাইবার স্পেসের নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। হ্যাকার গ্রুপটির দুই প্রতিনিধি জানান, প্রাথমিকভাবে জাতীয় ওয়েব পোর্টাল নিয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে আমাদের। এদিকে ‘সাইবার-৭১’ নামে এই হ্যাকার টিম সোমবার তৃতীয় বছরে পদার্পণ করেছে। উই হ্যাক টু প্রটেক্ট বাংলাদেশ স্লোগান নিয়ে তারা যাত্রা শুরু করে। বাংলাদেশী হ্যাকার গ্র“প সাইবার-৭১ তাদের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ফেলানী হত্যা মামলার রায়ের প্রতিবাদে ভারতীয় পুলিশের ওয়েবসাইট, ভারতীয় দূতাবাস এবং ভারতীয় বিপুলসংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফেলানীর ছবি দিয়ে হ্যাক করে শুধু বাংলাদেশ আর ভারত নয়, বরং সমগ্র বিশ্ববাসীকে তাদের সম্পর্কে জানান দেয়। তৃতীয় বছরে পদার্পণ উপলক্ষে ফেসবুকে "সাইবার-৭১-এর প্রধান নির্বাহী তানজিম আল ফাহিম লিখেছেন, যেখানে দুর্নীতি, কোন্দল, অশ্লীলতা, অনিয়ম সেখানেই প্রতিবাদে সাইবার-৭১। প্রতিষ্ঠার তৃতীয় বছরে এসেও পা দিয়েও প্রতিবাদের কণ্ঠ কমেনি, বরং বহুগুণে বেড়েছে তার প্রমাণ কাজের মাধ্যমেই দিয়ে গেছে সাইবার-৭১। ফেলানী হত্যা মামলার আসামির মুক্তির প্রতিবাদে ভারতীয় রাজ ভবন/ সরকারি বেসরকারি ওয়েবসাইটসহ শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের ওয়েবসাইটে প্রতিবাদে ভারতীয় প্রশাসনের কাছে আতংকের এক নাম হয়ে দাঁড়ায় গ্র“পটি। ভারতের পুলিশ হুমকি দিলেও থেমে থাকেনি তাদের কাজ, বরং পাল্টা আক্রমণে তাদের ওয়েবসাইট হ্যাক করে জানিয়ে দেয় যে, সত্যের পক্ষে যারা থাকে তারা কখনোই ভয় পায় না। -এম. মিজানুর রহমান সোহেল
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
হ্যাকারদের সঙ্গে কাজ শুরু করছে সরকার
১০ মার্চ ২০১৫, ১২:০০ এএম |
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। প্রথমবারের মতো দেশীয় হ্যাকারদের সঙ্গে একযোগে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে আইসিটি মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে প্রাথমিক অবস্থায় সাইবার-৭১ টিমের সঙ্গে কথা বলেছেন সরকারের শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তারা। সাইবার নিরাপত্তায় বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি এর আগে সরকারের বিভিন্ন প্রশাসনিক উইং, বিভিন্ন দফতরের আইটি বিভাগের কর্মকর্তাদের ইথিক্যাল হ্যাকিংয়ের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল। আর এবারই প্রথম বাংলাদেশী হ্যাকারদের নিজেদের সাইবার নিরাপত্তায় কাজে লাগাতে যাচ্ছে সরকার।
গত ১ মার্চ সরকারের লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এলআইসিটি) বাংলাদেশের হ্যাকার গ্রুপ সাইবার-৭১-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠক করে। আর এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে সাইবার নিরাপত্তায় প্রথম সরকারি কোনো উদ্যোগে হ্যাকারদের কাজে লাগোনোর প্রক্রিয়া শুরু হল। এলআইসিটি প্রকল্পের কম্পোনেন্ট টিম লিডার ফখরুজ জামান জানান, দেশের সাইবার নিরাপত্তায় এর আগে সরকারের বিভিন্ন সংস্থাসহ আইটি বিভাগের অনেককেই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এবার ইথিক্যাল হ্যাকিংয়ে দেশীয় মেধা কাজে লাগাচ্ছি আমরা। বাংলাদেশী হ্যাকার গ্রুপ সাইবার-৭১-এর সঙ্গে বৈঠকের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে তাদের ন্যাশনাল ওয়েব পোর্টালের সিকিউরিটি বাগ খোঁজার কথা বলা হয়েছে। সরকারি উৎসাহে দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত তানজিম আল ফাহিম জানান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে আমাদের বিশেষ এক বৈঠকের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সাইবার-৭১ দেশের জন্য কাজ করে সরকারি কর্মকর্তাদের এমন মনোভাবের কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, কোনো পারিশ্রমিক ছাড়াই শুধু দেশের সাইবার স্পেসের নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। হ্যাকার গ্রুপটির দুই প্রতিনিধি জানান, প্রাথমিকভাবে জাতীয় ওয়েব পোর্টাল নিয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে আমাদের। এদিকে ‘সাইবার-৭১’ নামে এই হ্যাকার টিম সোমবার তৃতীয় বছরে পদার্পণ করেছে। উই হ্যাক টু প্রটেক্ট বাংলাদেশ স্লোগান নিয়ে তারা যাত্রা শুরু করে। বাংলাদেশী হ্যাকার গ্র“প সাইবার-৭১ তাদের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ফেলানী হত্যা মামলার রায়ের প্রতিবাদে ভারতীয় পুলিশের ওয়েবসাইট, ভারতীয় দূতাবাস এবং ভারতীয় বিপুলসংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফেলানীর ছবি দিয়ে হ্যাক করে শুধু বাংলাদেশ আর ভারত নয়, বরং সমগ্র বিশ্ববাসীকে তাদের সম্পর্কে জানান দেয়। তৃতীয় বছরে পদার্পণ উপলক্ষে ফেসবুকে "সাইবার-৭১-এর প্রধান নির্বাহী তানজিম আল ফাহিম লিখেছেন, যেখানে দুর্নীতি, কোন্দল, অশ্লীলতা, অনিয়ম সেখানেই প্রতিবাদে সাইবার-৭১। প্রতিষ্ঠার তৃতীয় বছরে এসেও পা দিয়েও প্রতিবাদের কণ্ঠ কমেনি, বরং বহুগুণে বেড়েছে তার প্রমাণ কাজের মাধ্যমেই দিয়ে গেছে সাইবার-৭১। ফেলানী হত্যা মামলার আসামির মুক্তির প্রতিবাদে ভারতীয় রাজ ভবন/ সরকারি বেসরকারি ওয়েবসাইটসহ শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের ওয়েবসাইটে প্রতিবাদে ভারতীয় প্রশাসনের কাছে আতংকের এক নাম হয়ে দাঁড়ায় গ্র“পটি। ভারতের পুলিশ হুমকি দিলেও থেমে থাকেনি তাদের কাজ, বরং পাল্টা আক্রমণে তাদের ওয়েবসাইট হ্যাক করে জানিয়ে দেয় যে, সত্যের পক্ষে যারা থাকে তারা কখনোই ভয় পায় না। -এম. মিজানুর রহমান সোহেল
গত ১ মার্চ সরকারের লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এলআইসিটি) বাংলাদেশের হ্যাকার গ্রুপ সাইবার-৭১-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠক করে। আর এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে সাইবার নিরাপত্তায় প্রথম সরকারি কোনো উদ্যোগে হ্যাকারদের কাজে লাগোনোর প্রক্রিয়া শুরু হল। এলআইসিটি প্রকল্পের কম্পোনেন্ট টিম লিডার ফখরুজ জামান জানান, দেশের সাইবার নিরাপত্তায় এর আগে সরকারের বিভিন্ন সংস্থাসহ আইটি বিভাগের অনেককেই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এবার ইথিক্যাল হ্যাকিংয়ে দেশীয় মেধা কাজে লাগাচ্ছি আমরা। বাংলাদেশী হ্যাকার গ্রুপ সাইবার-৭১-এর সঙ্গে বৈঠকের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে তাদের ন্যাশনাল ওয়েব পোর্টালের সিকিউরিটি বাগ খোঁজার কথা বলা হয়েছে। সরকারি উৎসাহে দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত তানজিম আল ফাহিম জানান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে আমাদের বিশেষ এক বৈঠকের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সাইবার-৭১ দেশের জন্য কাজ করে সরকারি কর্মকর্তাদের এমন মনোভাবের কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, কোনো পারিশ্রমিক ছাড়াই শুধু দেশের সাইবার স্পেসের নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। হ্যাকার গ্রুপটির দুই প্রতিনিধি জানান, প্রাথমিকভাবে জাতীয় ওয়েব পোর্টাল নিয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে আমাদের। এদিকে ‘সাইবার-৭১’ নামে এই হ্যাকার টিম সোমবার তৃতীয় বছরে পদার্পণ করেছে। উই হ্যাক টু প্রটেক্ট বাংলাদেশ স্লোগান নিয়ে তারা যাত্রা শুরু করে। বাংলাদেশী হ্যাকার গ্র“প সাইবার-৭১ তাদের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ফেলানী হত্যা মামলার রায়ের প্রতিবাদে ভারতীয় পুলিশের ওয়েবসাইট, ভারতীয় দূতাবাস এবং ভারতীয় বিপুলসংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফেলানীর ছবি দিয়ে হ্যাক করে শুধু বাংলাদেশ আর ভারত নয়, বরং সমগ্র বিশ্ববাসীকে তাদের সম্পর্কে জানান দেয়। তৃতীয় বছরে পদার্পণ উপলক্ষে ফেসবুকে "সাইবার-৭১-এর প্রধান নির্বাহী তানজিম আল ফাহিম লিখেছেন, যেখানে দুর্নীতি, কোন্দল, অশ্লীলতা, অনিয়ম সেখানেই প্রতিবাদে সাইবার-৭১। প্রতিষ্ঠার তৃতীয় বছরে এসেও পা দিয়েও প্রতিবাদের কণ্ঠ কমেনি, বরং বহুগুণে বেড়েছে তার প্রমাণ কাজের মাধ্যমেই দিয়ে গেছে সাইবার-৭১। ফেলানী হত্যা মামলার আসামির মুক্তির প্রতিবাদে ভারতীয় রাজ ভবন/ সরকারি বেসরকারি ওয়েবসাইটসহ শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের ওয়েবসাইটে প্রতিবাদে ভারতীয় প্রশাসনের কাছে আতংকের এক নাম হয়ে দাঁড়ায় গ্র“পটি। ভারতের পুলিশ হুমকি দিলেও থেমে থাকেনি তাদের কাজ, বরং পাল্টা আক্রমণে তাদের ওয়েবসাইট হ্যাক করে জানিয়ে দেয় যে, সত্যের পক্ষে যারা থাকে তারা কখনোই ভয় পায় না। -এম. মিজানুর রহমান সোহেল