ভর্তি জালিয়াতি
ছাত্রলীগ নেতার কক্ষ সিলগালা ঢাবি ছাত্রসহ আটক ৮
যুগান্তর ডেস্ক
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০০:০০:০০ |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনায় আটক ঢাবি ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোজাম্মেল হক লেনিনের রুম সিলগালা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তার রুম থেকে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত দুই বহিরাগতকেও আটক করা হয় এসময়।
পরীক্ষায় জালিয়াতির দায়ে শুক্রবার গ্রেফতার ৩৩ জনের মধ্যে ১২ জনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অন্য ২১ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভর্তি পরীক্ষার শেষ দিনে শনিবার জালিয়াতির অভিযোগে দ্বিতীয়বারের মতো ঢাবি ছাত্র, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতার ছেলেসহ ছয়জনকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার জানান, জালিয়াতির খবর জানতে পেরে শুক্রবার রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ২২১ নম্বর রুম সিলগালা করেন হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. বায়তুল্লাহ কাদেরী। এ কক্ষেই থাকতেন ছাত্রলীগ নেতা মোজাম্মেল হক লেনিন। এ সময় অবৈধভাবে অবস্থান করায় ওই রুম থেকে সাব্বির ও সাদ্দাম নামের বহিরাগত দুই শিক্ষার্থীকে আটক করে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করে হল কর্তৃপক্ষ। তারা লেনিনের এলাকার।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে নগরীর লালবাগ, রমনা, বংশাল, চকবাজার, মতিঝিল, খিলগাঁও, মিরপুর, ওয়ারী এবং মোহাম্মদপুর থানায় পৃথক পৃথক মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম আমজাদ আলী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান বাদী হয়ে এসব মামলা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লেনিনের পড়াশোনা শেষ হয়েছে প্রায় দেড় বছর আগে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পেয়ে বর্তমানে কর্মরত আছেন সোনালী ব্যাংকের কর্পোরেট শাখার সিনিয়র অফিসার হিসেবে। চাকরির কিছুদিন হলের বাইরে ছিলেন। ভর্তি পরীক্ষার আগে আবার হলে ফিরে আসেন এবং প্রশ্ন ফাঁসের বিভিন্ন চক্রের নিয়ন্ত্রণ নেন। গত বছর জালিয়াতির মাধ্যমে বেশ কয়েকজনকে ভর্তি করা হয়েছে বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তার পাশের রুমে থাকা শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রায় প্রতি রাতেই তার রুমে মদ ও জুয়ার আড্ডা বসত। হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক রুমে ২০-২৫ জন থাকলেও ওই নেতা ৩-৪ জন বহিরাগত নিয়ে হলে থাকতেন। বিষয়টি স্বীকার করেছেন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি দারুস সালাম শাকিল।
১২ জন রিমান্ডে : কোর্ট রিপোর্টার জানান, ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে জালিয়াতির অভিযোগে শুক্রবার গ্রেফতার ৩৩ জনকে শনিবার আদালতে নেয়া হয়। এর আগে এদের বিরুদ্ধে রাজধানীর মিরপুর, শেরেবাংলা নগর, রমনা, শাহবাগ, করা হয়েছিল। শনিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা প্রত্যেকের ৫ দিন করে রিমান্ড চান। আসামিদের পক্ষে রিমান্ড বাতিল করে জামিন চান তাদের আইনজীবীরা।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমান মিরপুর থানার মামলায় গ্রেফতার ১২ জনের প্রত্যেকের ১ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে অন্য থানার মামলায় ২১ জনকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
জাবির ঘটনায় গ্রেফতার ৬ : জাবি প্রতিনিধি জানান, ভর্তি পরীক্ষার শেষ দিনে জালিয়াতির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছয়জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে শনিবার। এরা হলেন- ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র জুয়েল রানা, মাগুরা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট হাসান-সিরাজ-সুজার ছেলে সিরাজুল আসেকিন সাজুক, শাহিনুর রহমান, ফিরোজ আজম, শম্পা নাজনীন ও ফরহাদ হোসেন।
এদের মধ্যে জুয়েল রানাকে শনিবার ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে ৩য় শিফটে বেলা ২টায় জাহাঙ্গীরনগর স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে ২য় দফা আটক করা হয়। এর আগে আইন অনুষদের পরীক্ষার সময় মোবাইল ফোন রাখার দায়ে তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়। তবে তখন তার প্রক্সি (অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেয়া) দেয়ার বিষয়টি বোঝা যায়নি। শনিবার সে তার ছোট ভাই জিল্লুর রহমানের নামে পরীক্ষা দেয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ফুফাতো বোন শম্পা নাজনীনকেও আটক করা হয়। এ দুটো পরীক্ষা নাজনীনের জন্যই দিয়েছিল বলে সে সাংবাদিকদের জানায়। আইন অনুষদের পরীক্ষার সময় সে ফরহাদ নাম ধারণ করে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। সিরাজুল আরেফিন সাজুককে ‘সি’ ইউনিটের প্রথম শিফটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে আটক করা হয়।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. তপন কুমার সাহা যুগান্তরকে বলেন, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
পরীক্ষায় জালিয়াতির দায়ে শুক্রবার গ্রেফতার ৩৩ জনের মধ্যে ১২ জনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অন্য ২১ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভর্তি পরীক্ষার শেষ দিনে শনিবার জালিয়াতির অভিযোগে দ্বিতীয়বারের মতো ঢাবি ছাত্র, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতার ছেলেসহ ছয়জনকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার জানান, জালিয়াতির খবর জানতে পেরে শুক্রবার রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ২২১ নম্বর রুম সিলগালা করেন হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. বায়তুল্লাহ কাদেরী। এ কক্ষেই থাকতেন ছাত্রলীগ নেতা মোজাম্মেল হক লেনিন। এ সময় অবৈধভাবে অবস্থান করায় ওই রুম থেকে সাব্বির ও সাদ্দাম নামের বহিরাগত দুই শিক্ষার্থীকে আটক করে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করে হল কর্তৃপক্ষ। তারা লেনিনের এলাকার।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে নগরীর লালবাগ, রমনা, বংশাল, চকবাজার, মতিঝিল, খিলগাঁও, মিরপুর, ওয়ারী এবং মোহাম্মদপুর থানায় পৃথক পৃথক মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম আমজাদ আলী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান বাদী হয়ে এসব মামলা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লেনিনের পড়াশোনা শেষ হয়েছে প্রায় দেড় বছর আগে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পেয়ে বর্তমানে কর্মরত আছেন সোনালী ব্যাংকের কর্পোরেট শাখার সিনিয়র অফিসার হিসেবে। চাকরির কিছুদিন হলের বাইরে ছিলেন। ভর্তি পরীক্ষার আগে আবার হলে ফিরে আসেন এবং প্রশ্ন ফাঁসের বিভিন্ন চক্রের নিয়ন্ত্রণ নেন। গত বছর জালিয়াতির মাধ্যমে বেশ কয়েকজনকে ভর্তি করা হয়েছে বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তার পাশের রুমে থাকা শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রায় প্রতি রাতেই তার রুমে মদ ও জুয়ার আড্ডা বসত। হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক রুমে ২০-২৫ জন থাকলেও ওই নেতা ৩-৪ জন বহিরাগত নিয়ে হলে থাকতেন। বিষয়টি স্বীকার করেছেন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি দারুস সালাম শাকিল।
১২ জন রিমান্ডে : কোর্ট রিপোর্টার জানান, ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে জালিয়াতির অভিযোগে শুক্রবার গ্রেফতার ৩৩ জনকে শনিবার আদালতে নেয়া হয়। এর আগে এদের বিরুদ্ধে রাজধানীর মিরপুর, শেরেবাংলা নগর, রমনা, শাহবাগ, করা হয়েছিল। শনিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা প্রত্যেকের ৫ দিন করে রিমান্ড চান। আসামিদের পক্ষে রিমান্ড বাতিল করে জামিন চান তাদের আইনজীবীরা।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমান মিরপুর থানার মামলায় গ্রেফতার ১২ জনের প্রত্যেকের ১ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে অন্য থানার মামলায় ২১ জনকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
জাবির ঘটনায় গ্রেফতার ৬ : জাবি প্রতিনিধি জানান, ভর্তি পরীক্ষার শেষ দিনে জালিয়াতির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছয়জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে শনিবার। এরা হলেন- ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র জুয়েল রানা, মাগুরা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট হাসান-সিরাজ-সুজার ছেলে সিরাজুল আসেকিন সাজুক, শাহিনুর রহমান, ফিরোজ আজম, শম্পা নাজনীন ও ফরহাদ হোসেন।
এদের মধ্যে জুয়েল রানাকে শনিবার ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে ৩য় শিফটে বেলা ২টায় জাহাঙ্গীরনগর স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে ২য় দফা আটক করা হয়। এর আগে আইন অনুষদের পরীক্ষার সময় মোবাইল ফোন রাখার দায়ে তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়। তবে তখন তার প্রক্সি (অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেয়া) দেয়ার বিষয়টি বোঝা যায়নি। শনিবার সে তার ছোট ভাই জিল্লুর রহমানের নামে পরীক্ষা দেয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ফুফাতো বোন শম্পা নাজনীনকেও আটক করা হয়। এ দুটো পরীক্ষা নাজনীনের জন্যই দিয়েছিল বলে সে সাংবাদিকদের জানায়। আইন অনুষদের পরীক্ষার সময় সে ফরহাদ নাম ধারণ করে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। সিরাজুল আরেফিন সাজুককে ‘সি’ ইউনিটের প্রথম শিফটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে আটক করা হয়।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. তপন কুমার সাহা যুগান্তরকে বলেন, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ভর্তি জালিয়াতি
ছাত্রলীগ নেতার কক্ষ সিলগালা ঢাবি ছাত্রসহ আটক ৮
যুগান্তর ডেস্ক
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ১২:০০ এএম |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনায় আটক ঢাবি ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোজাম্মেল হক লেনিনের রুম সিলগালা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তার রুম থেকে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত দুই বহিরাগতকেও আটক করা হয় এসময়।
পরীক্ষায় জালিয়াতির দায়ে শুক্রবার গ্রেফতার ৩৩ জনের মধ্যে ১২ জনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অন্য ২১ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভর্তি পরীক্ষার শেষ দিনে শনিবার জালিয়াতির অভিযোগে দ্বিতীয়বারের মতো ঢাবি ছাত্র, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতার ছেলেসহ ছয়জনকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার জানান, জালিয়াতির খবর জানতে পেরে শুক্রবার রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ২২১ নম্বর রুম সিলগালা করেন হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. বায়তুল্লাহ কাদেরী। এ কক্ষেই থাকতেন ছাত্রলীগ নেতা মোজাম্মেল হক লেনিন। এ সময় অবৈধভাবে অবস্থান করায় ওই রুম থেকে সাব্বির ও সাদ্দাম নামের বহিরাগত দুই শিক্ষার্থীকে আটক করে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করে হল কর্তৃপক্ষ। তারা লেনিনের এলাকার।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে নগরীর লালবাগ, রমনা, বংশাল, চকবাজার, মতিঝিল, খিলগাঁও, মিরপুর, ওয়ারী এবং মোহাম্মদপুর থানায় পৃথক পৃথক মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম আমজাদ আলী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান বাদী হয়ে এসব মামলা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লেনিনের পড়াশোনা শেষ হয়েছে প্রায় দেড় বছর আগে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পেয়ে বর্তমানে কর্মরত আছেন সোনালী ব্যাংকের কর্পোরেট শাখার সিনিয়র অফিসার হিসেবে। চাকরির কিছুদিন হলের বাইরে ছিলেন। ভর্তি পরীক্ষার আগে আবার হলে ফিরে আসেন এবং প্রশ্ন ফাঁসের বিভিন্ন চক্রের নিয়ন্ত্রণ নেন। গত বছর জালিয়াতির মাধ্যমে বেশ কয়েকজনকে ভর্তি করা হয়েছে বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তার পাশের রুমে থাকা শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রায় প্রতি রাতেই তার রুমে মদ ও জুয়ার আড্ডা বসত। হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক রুমে ২০-২৫ জন থাকলেও ওই নেতা ৩-৪ জন বহিরাগত নিয়ে হলে থাকতেন। বিষয়টি স্বীকার করেছেন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি দারুস সালাম শাকিল।
১২ জন রিমান্ডে : কোর্ট রিপোর্টার জানান, ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে জালিয়াতির অভিযোগে শুক্রবার গ্রেফতার ৩৩ জনকে শনিবার আদালতে নেয়া হয়। এর আগে এদের বিরুদ্ধে রাজধানীর মিরপুর, শেরেবাংলা নগর, রমনা, শাহবাগ, করা হয়েছিল। শনিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা প্রত্যেকের ৫ দিন করে রিমান্ড চান। আসামিদের পক্ষে রিমান্ড বাতিল করে জামিন চান তাদের আইনজীবীরা।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমান মিরপুর থানার মামলায় গ্রেফতার ১২ জনের প্রত্যেকের ১ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে অন্য থানার মামলায় ২১ জনকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
জাবির ঘটনায় গ্রেফতার ৬ : জাবি প্রতিনিধি জানান, ভর্তি পরীক্ষার শেষ দিনে জালিয়াতির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছয়জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে শনিবার। এরা হলেন- ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র জুয়েল রানা, মাগুরা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট হাসান-সিরাজ-সুজার ছেলে সিরাজুল আসেকিন সাজুক, শাহিনুর রহমান, ফিরোজ আজম, শম্পা নাজনীন ও ফরহাদ হোসেন।
এদের মধ্যে জুয়েল রানাকে শনিবার ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে ৩য় শিফটে বেলা ২টায় জাহাঙ্গীরনগর স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে ২য় দফা আটক করা হয়। এর আগে আইন অনুষদের পরীক্ষার সময় মোবাইল ফোন রাখার দায়ে তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়। তবে তখন তার প্রক্সি (অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেয়া) দেয়ার বিষয়টি বোঝা যায়নি। শনিবার সে তার ছোট ভাই জিল্লুর রহমানের নামে পরীক্ষা দেয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ফুফাতো বোন শম্পা নাজনীনকেও আটক করা হয়। এ দুটো পরীক্ষা নাজনীনের জন্যই দিয়েছিল বলে সে সাংবাদিকদের জানায়। আইন অনুষদের পরীক্ষার সময় সে ফরহাদ নাম ধারণ করে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। সিরাজুল আরেফিন সাজুককে ‘সি’ ইউনিটের প্রথম শিফটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে আটক করা হয়।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. তপন কুমার সাহা যুগান্তরকে বলেন, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
পরীক্ষায় জালিয়াতির দায়ে শুক্রবার গ্রেফতার ৩৩ জনের মধ্যে ১২ জনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অন্য ২১ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভর্তি পরীক্ষার শেষ দিনে শনিবার জালিয়াতির অভিযোগে দ্বিতীয়বারের মতো ঢাবি ছাত্র, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতার ছেলেসহ ছয়জনকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার জানান, জালিয়াতির খবর জানতে পেরে শুক্রবার রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ২২১ নম্বর রুম সিলগালা করেন হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. বায়তুল্লাহ কাদেরী। এ কক্ষেই থাকতেন ছাত্রলীগ নেতা মোজাম্মেল হক লেনিন। এ সময় অবৈধভাবে অবস্থান করায় ওই রুম থেকে সাব্বির ও সাদ্দাম নামের বহিরাগত দুই শিক্ষার্থীকে আটক করে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করে হল কর্তৃপক্ষ। তারা লেনিনের এলাকার।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে নগরীর লালবাগ, রমনা, বংশাল, চকবাজার, মতিঝিল, খিলগাঁও, মিরপুর, ওয়ারী এবং মোহাম্মদপুর থানায় পৃথক পৃথক মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম আমজাদ আলী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান বাদী হয়ে এসব মামলা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লেনিনের পড়াশোনা শেষ হয়েছে প্রায় দেড় বছর আগে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পেয়ে বর্তমানে কর্মরত আছেন সোনালী ব্যাংকের কর্পোরেট শাখার সিনিয়র অফিসার হিসেবে। চাকরির কিছুদিন হলের বাইরে ছিলেন। ভর্তি পরীক্ষার আগে আবার হলে ফিরে আসেন এবং প্রশ্ন ফাঁসের বিভিন্ন চক্রের নিয়ন্ত্রণ নেন। গত বছর জালিয়াতির মাধ্যমে বেশ কয়েকজনকে ভর্তি করা হয়েছে বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তার পাশের রুমে থাকা শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রায় প্রতি রাতেই তার রুমে মদ ও জুয়ার আড্ডা বসত। হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক রুমে ২০-২৫ জন থাকলেও ওই নেতা ৩-৪ জন বহিরাগত নিয়ে হলে থাকতেন। বিষয়টি স্বীকার করেছেন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি দারুস সালাম শাকিল।
১২ জন রিমান্ডে : কোর্ট রিপোর্টার জানান, ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে জালিয়াতির অভিযোগে শুক্রবার গ্রেফতার ৩৩ জনকে শনিবার আদালতে নেয়া হয়। এর আগে এদের বিরুদ্ধে রাজধানীর মিরপুর, শেরেবাংলা নগর, রমনা, শাহবাগ, করা হয়েছিল। শনিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা প্রত্যেকের ৫ দিন করে রিমান্ড চান। আসামিদের পক্ষে রিমান্ড বাতিল করে জামিন চান তাদের আইনজীবীরা।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমান মিরপুর থানার মামলায় গ্রেফতার ১২ জনের প্রত্যেকের ১ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে অন্য থানার মামলায় ২১ জনকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
জাবির ঘটনায় গ্রেফতার ৬ : জাবি প্রতিনিধি জানান, ভর্তি পরীক্ষার শেষ দিনে জালিয়াতির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছয়জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে শনিবার। এরা হলেন- ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র জুয়েল রানা, মাগুরা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট হাসান-সিরাজ-সুজার ছেলে সিরাজুল আসেকিন সাজুক, শাহিনুর রহমান, ফিরোজ আজম, শম্পা নাজনীন ও ফরহাদ হোসেন।
এদের মধ্যে জুয়েল রানাকে শনিবার ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে ৩য় শিফটে বেলা ২টায় জাহাঙ্গীরনগর স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে ২য় দফা আটক করা হয়। এর আগে আইন অনুষদের পরীক্ষার সময় মোবাইল ফোন রাখার দায়ে তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়। তবে তখন তার প্রক্সি (অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেয়া) দেয়ার বিষয়টি বোঝা যায়নি। শনিবার সে তার ছোট ভাই জিল্লুর রহমানের নামে পরীক্ষা দেয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ফুফাতো বোন শম্পা নাজনীনকেও আটক করা হয়। এ দুটো পরীক্ষা নাজনীনের জন্যই দিয়েছিল বলে সে সাংবাদিকদের জানায়। আইন অনুষদের পরীক্ষার সময় সে ফরহাদ নাম ধারণ করে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। সিরাজুল আরেফিন সাজুককে ‘সি’ ইউনিটের প্রথম শিফটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে আটক করা হয়।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. তপন কুমার সাহা যুগান্তরকে বলেন, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।