নির্বাচনে জঙ্গি হামলার আশংকা
রাজশাহীতে পুলিশের একাকী চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
জিয়াউল গনি সেলিম, রাজশাহী ব্যুরো
৩০ ডিসেম্বর ২০১৫, ০০:০০:০০ |
পৌর নির্বাচন ঘিরে রাজশাহী বিভাগে জঙ্গি হামলার আশংকার কথা জানিয়েছে খোদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে খানিকটা আতংকিত সেখানকার ভোটাররা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভোট কেন্দ্রে গোলযোগের আশংকা। এমন অবস্থায় শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিতে সব ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনীগুলোকে। এমনকি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া পুলিশ সদস্যদের একাকী চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আজ পৌরসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে। এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সম্প্রতি রাজশাহী ও বগুড়ার দুটি মসজিদে জঙ্গি হামলার ঘটনা ভাবিয়ে তুলেছে সব মহলকে। পৌর নির্বাচনে এ দুটি বিভাগে ফের জঙ্গি হামলার আশংকা করছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও। এতে আতংক দেখা দিয়েছে সাধারণ ভোটারদের মাঝে। পাশাপাশি ভোট কেন্দ্র দখলের মতো ঘটনার শংকাও তারা উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
তাহেরপুর পৌরসভার ভোটার আবদুল আলিম বলেন, যেভাবে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটছে তাতে এলাকায় নির্বিঘ্নে আর থাকা যাচ্ছে না। ভোটের দিনও কী হয় কে জানে! বাগমরার ভবানীগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দা মামুনুর রশিদ বলেন, বারবার কেন এ এলাকাতেই জঙ্গিরা আস্তানা করছে তা পুলিশ প্রশাসনের খুঁজে বের করা দরকার। তা না হলে ফের বাংলা ভাইয়ের মতো কারও উত্থান হতে পারে।
এদিকে রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার যুগান্তরকে বলেন, নির্বাচন কমিশন বলছে, ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে সবকিছুই করা হয়েছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আশংকার বিষয়টি আমলে নিয়ে বাড়তি সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে পৌর এলাকাগুলোতে। তবে জঙ্গি হামলার মতো কোনো ঘটনার আশংকা তিনি দেখছেন না বলে জানান।
পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক ইকবাল বাহার বলেন, বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করার চেষ্টা চলছে।
সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে কোনো আশংকাকেই আসলে উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। এ কারণে নির্বাচনী এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এবার নির্বাচনে বিশেষ চেক পোস্ট থাকছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তল্লাশি করা হচ্ছে। সন্ত্রাসীরা যাতে নির্বাচনী এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে বা ভেতর থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে না পারে এজন্য পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা তৎপরতাও।
রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আযাদ জানিয়েছেন, শুধু জনসাধারণের নিরাপত্তা নয় পুলিশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। কোনো পুলিশ সদস্যকে একাকী চলাফেরা করতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়াও পুলিশ সদস্যরা কোথাও চলাফেরা করতে পারবেন না।
শুক্রবার বাগমারা সৈয়দপুর আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মসজিদে জুমার নামাজ চলাকালে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অজ্ঞাতনামা এক যুবক মারা যায়। এতে নিহত হন আরও তিন মুসল্লি।
রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় এবার ৫০টি পৌরসভায় নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এসব এলাকায় ভোটার সংখ্যা ১৬ লাখ ২২ হাজার ২২২। ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৮১২টি। এর মধ্যে প্রায় আড়াইশ’ কেন্দ্রকে দেখা হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে।
আজ পৌরসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে। এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সম্প্রতি রাজশাহী ও বগুড়ার দুটি মসজিদে জঙ্গি হামলার ঘটনা ভাবিয়ে তুলেছে সব মহলকে। পৌর নির্বাচনে এ দুটি বিভাগে ফের জঙ্গি হামলার আশংকা করছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও। এতে আতংক দেখা দিয়েছে সাধারণ ভোটারদের মাঝে। পাশাপাশি ভোট কেন্দ্র দখলের মতো ঘটনার শংকাও তারা উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
তাহেরপুর পৌরসভার ভোটার আবদুল আলিম বলেন, যেভাবে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটছে তাতে এলাকায় নির্বিঘ্নে আর থাকা যাচ্ছে না। ভোটের দিনও কী হয় কে জানে! বাগমরার ভবানীগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দা মামুনুর রশিদ বলেন, বারবার কেন এ এলাকাতেই জঙ্গিরা আস্তানা করছে তা পুলিশ প্রশাসনের খুঁজে বের করা দরকার। তা না হলে ফের বাংলা ভাইয়ের মতো কারও উত্থান হতে পারে।
এদিকে রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার যুগান্তরকে বলেন, নির্বাচন কমিশন বলছে, ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে সবকিছুই করা হয়েছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আশংকার বিষয়টি আমলে নিয়ে বাড়তি সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে পৌর এলাকাগুলোতে। তবে জঙ্গি হামলার মতো কোনো ঘটনার আশংকা তিনি দেখছেন না বলে জানান।
পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক ইকবাল বাহার বলেন, বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করার চেষ্টা চলছে।
সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে কোনো আশংকাকেই আসলে উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। এ কারণে নির্বাচনী এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এবার নির্বাচনে বিশেষ চেক পোস্ট থাকছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তল্লাশি করা হচ্ছে। সন্ত্রাসীরা যাতে নির্বাচনী এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে বা ভেতর থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে না পারে এজন্য পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা তৎপরতাও।
রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আযাদ জানিয়েছেন, শুধু জনসাধারণের নিরাপত্তা নয় পুলিশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। কোনো পুলিশ সদস্যকে একাকী চলাফেরা করতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়াও পুলিশ সদস্যরা কোথাও চলাফেরা করতে পারবেন না।
শুক্রবার বাগমারা সৈয়দপুর আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মসজিদে জুমার নামাজ চলাকালে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অজ্ঞাতনামা এক যুবক মারা যায়। এতে নিহত হন আরও তিন মুসল্লি।
রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় এবার ৫০টি পৌরসভায় নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এসব এলাকায় ভোটার সংখ্যা ১৬ লাখ ২২ হাজার ২২২। ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৮১২টি। এর মধ্যে প্রায় আড়াইশ’ কেন্দ্রকে দেখা হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
নির্বাচনে জঙ্গি হামলার আশংকা
রাজশাহীতে পুলিশের একাকী চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
জিয়াউল গনি সেলিম, রাজশাহী ব্যুরো
৩০ ডিসেম্বর ২০১৫, ১২:০০ এএম |
পৌর নির্বাচন ঘিরে রাজশাহী বিভাগে জঙ্গি হামলার আশংকার কথা জানিয়েছে খোদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে খানিকটা আতংকিত সেখানকার ভোটাররা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভোট কেন্দ্রে গোলযোগের আশংকা। এমন অবস্থায় শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিতে সব ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনীগুলোকে। এমনকি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া পুলিশ সদস্যদের একাকী চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আজ পৌরসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে। এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সম্প্রতি রাজশাহী ও বগুড়ার দুটি মসজিদে জঙ্গি হামলার ঘটনা ভাবিয়ে তুলেছে সব মহলকে। পৌর নির্বাচনে এ দুটি বিভাগে ফের জঙ্গি হামলার আশংকা করছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও। এতে আতংক দেখা দিয়েছে সাধারণ ভোটারদের মাঝে। পাশাপাশি ভোট কেন্দ্র দখলের মতো ঘটনার শংকাও তারা উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
তাহেরপুর পৌরসভার ভোটার আবদুল আলিম বলেন, যেভাবে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটছে তাতে এলাকায় নির্বিঘ্নে আর থাকা যাচ্ছে না। ভোটের দিনও কী হয় কে জানে! বাগমরার ভবানীগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দা মামুনুর রশিদ বলেন, বারবার কেন এ এলাকাতেই জঙ্গিরা আস্তানা করছে তা পুলিশ প্রশাসনের খুঁজে বের করা দরকার। তা না হলে ফের বাংলা ভাইয়ের মতো কারও উত্থান হতে পারে।
এদিকে রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার যুগান্তরকে বলেন, নির্বাচন কমিশন বলছে, ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে সবকিছুই করা হয়েছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আশংকার বিষয়টি আমলে নিয়ে বাড়তি সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে পৌর এলাকাগুলোতে। তবে জঙ্গি হামলার মতো কোনো ঘটনার আশংকা তিনি দেখছেন না বলে জানান।
পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক ইকবাল বাহার বলেন, বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করার চেষ্টা চলছে।
সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে কোনো আশংকাকেই আসলে উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। এ কারণে নির্বাচনী এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এবার নির্বাচনে বিশেষ চেক পোস্ট থাকছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তল্লাশি করা হচ্ছে। সন্ত্রাসীরা যাতে নির্বাচনী এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে বা ভেতর থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে না পারে এজন্য পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা তৎপরতাও।
রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আযাদ জানিয়েছেন, শুধু জনসাধারণের নিরাপত্তা নয় পুলিশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। কোনো পুলিশ সদস্যকে একাকী চলাফেরা করতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়াও পুলিশ সদস্যরা কোথাও চলাফেরা করতে পারবেন না।
শুক্রবার বাগমারা সৈয়দপুর আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মসজিদে জুমার নামাজ চলাকালে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অজ্ঞাতনামা এক যুবক মারা যায়। এতে নিহত হন আরও তিন মুসল্লি।
রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় এবার ৫০টি পৌরসভায় নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এসব এলাকায় ভোটার সংখ্যা ১৬ লাখ ২২ হাজার ২২২। ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৮১২টি। এর মধ্যে প্রায় আড়াইশ’ কেন্দ্রকে দেখা হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে।
আজ পৌরসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে। এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সম্প্রতি রাজশাহী ও বগুড়ার দুটি মসজিদে জঙ্গি হামলার ঘটনা ভাবিয়ে তুলেছে সব মহলকে। পৌর নির্বাচনে এ দুটি বিভাগে ফের জঙ্গি হামলার আশংকা করছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও। এতে আতংক দেখা দিয়েছে সাধারণ ভোটারদের মাঝে। পাশাপাশি ভোট কেন্দ্র দখলের মতো ঘটনার শংকাও তারা উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
তাহেরপুর পৌরসভার ভোটার আবদুল আলিম বলেন, যেভাবে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটছে তাতে এলাকায় নির্বিঘ্নে আর থাকা যাচ্ছে না। ভোটের দিনও কী হয় কে জানে! বাগমরার ভবানীগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দা মামুনুর রশিদ বলেন, বারবার কেন এ এলাকাতেই জঙ্গিরা আস্তানা করছে তা পুলিশ প্রশাসনের খুঁজে বের করা দরকার। তা না হলে ফের বাংলা ভাইয়ের মতো কারও উত্থান হতে পারে।
এদিকে রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার যুগান্তরকে বলেন, নির্বাচন কমিশন বলছে, ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে সবকিছুই করা হয়েছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আশংকার বিষয়টি আমলে নিয়ে বাড়তি সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে পৌর এলাকাগুলোতে। তবে জঙ্গি হামলার মতো কোনো ঘটনার আশংকা তিনি দেখছেন না বলে জানান।
পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক ইকবাল বাহার বলেন, বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করার চেষ্টা চলছে।
সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে কোনো আশংকাকেই আসলে উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। এ কারণে নির্বাচনী এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এবার নির্বাচনে বিশেষ চেক পোস্ট থাকছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তল্লাশি করা হচ্ছে। সন্ত্রাসীরা যাতে নির্বাচনী এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে বা ভেতর থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে না পারে এজন্য পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা তৎপরতাও।
রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আযাদ জানিয়েছেন, শুধু জনসাধারণের নিরাপত্তা নয় পুলিশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। কোনো পুলিশ সদস্যকে একাকী চলাফেরা করতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়াও পুলিশ সদস্যরা কোথাও চলাফেরা করতে পারবেন না।
শুক্রবার বাগমারা সৈয়দপুর আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মসজিদে জুমার নামাজ চলাকালে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অজ্ঞাতনামা এক যুবক মারা যায়। এতে নিহত হন আরও তিন মুসল্লি।
রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় এবার ৫০টি পৌরসভায় নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এসব এলাকায় ভোটার সংখ্যা ১৬ লাখ ২২ হাজার ২২২। ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৮১২টি। এর মধ্যে প্রায় আড়াইশ’ কেন্দ্রকে দেখা হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে।