গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন এবার আওয়ামী লীগের কাছে মর্যাদার লড়াই। ১৯৯৮ সালে পৌরসভা গঠিত হওয়ার পর থেকে গোবিন্দগঞ্জের চেয়ারম্যান এবং পরবর্তী সময় মেয়র হিসেবে যারাই নির্বাচিত হয়েছেন তারা সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী। তাই এবারের নির্বাচনকে আওয়ামী লীগের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এবার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান মেয়র আতাউর রহমান সরকারের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ৬ নাশকতা এবং সন্ত্রাস মামলায় আত্মগোপনে থাকা মো. ফারুক আহমেদ। তিনি পৌর বিএনপির সভাপতি। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতাউর রহমান সরকারও সংগঠনের পৌর কমিটির সভাপতি।
পৌরসভা গঠিত হওয়ার পর প্রথম নির্বাচিত মেয়র ছিলেন আতাউর রহমান সরকার। পৌরসভা গঠিত হওয়ার আগে তার বাবা হাফিজার রহমান ছিলেন গোবিন্দগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। দ্বিতীয় দফা পৌর নির্বাচনে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন বর্তমান সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। তৃতীয়বার অর্থাৎ ২০১১ সালের নির্বাচনে আতাউর রহমান সরকার পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হন। সে সময় তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন এবারের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির মো. ফারুক আহমেদ। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর সামান্য ভোটের ব্যবধানে আতাউর মেয়র নির্বাচিত হন। তাই এবারের লড়াইও জমজমাট হবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছে। আতাউর রহমান প্রকাশ্যে প্রচারণার সুযোগ পাচ্ছেন। তার সঙ্গে রয়েছে ঐক্যবদ্ধ গোটা দল। সেই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধারাও। অন্যদিকে ফারুক আহমেদের পক্ষে প্রচারণা তেমন চোখে পড়ার মতো না হলেও জামায়াত প্রার্থী তার সমর্থনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়ায় তা প্লাস পয়েন্ট হিসেবে ফারুক আহমেদের পকেটে যাচ্ছে। ফারুক আহমেদের স্ত্রী মঞ্জুরী মোর্শেদা স্বামীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। দলের সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা এখন মাঠে কাজ করছেন। অধিকাংশ নেতা মামলার কারণে সামনে আসতে পারছেন না। তবে নীরব প্রচারণা চললেও আসন্ন নির্বাচনে ফারুক আহমেদের সঙ্গে আতাউর রহমানের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে।
পৌরসভা গঠিত হওয়ার পর প্রথম নির্বাচিত মেয়র ছিলেন আতাউর রহমান সরকার। পৌরসভা গঠিত হওয়ার আগে তার বাবা হাফিজার রহমান ছিলেন গোবিন্দগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। দ্বিতীয় দফা পৌর নির্বাচনে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন বর্তমান সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। তৃতীয়বার অর্থাৎ ২০১১ সালের নির্বাচনে আতাউর রহমান সরকার পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হন। সে সময় তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন এবারের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির মো. ফারুক আহমেদ। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর সামান্য ভোটের ব্যবধানে আতাউর মেয়র নির্বাচিত হন। তাই এবারের লড়াইও জমজমাট হবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছে। আতাউর রহমান প্রকাশ্যে প্রচারণার সুযোগ পাচ্ছেন। তার সঙ্গে রয়েছে ঐক্যবদ্ধ গোটা দল। সেই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধারাও। অন্যদিকে ফারুক আহমেদের পক্ষে প্রচারণা তেমন চোখে পড়ার মতো না হলেও জামায়াত প্রার্থী তার সমর্থনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়ায় তা প্লাস পয়েন্ট হিসেবে ফারুক আহমেদের পকেটে যাচ্ছে। ফারুক আহমেদের স্ত্রী মঞ্জুরী মোর্শেদা স্বামীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। দলের সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা এখন মাঠে কাজ করছেন। অধিকাংশ নেতা মামলার কারণে সামনে আসতে পারছেন না। তবে নীরব প্রচারণা চললেও আসন্ন নির্বাচনে ফারুক আহমেদের সঙ্গে আতাউর রহমানের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
গোবিন্দগঞ্জে আসন ধরে রাখার চেষ্টা আওয়ামী লীগের
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
৩০ ডিসেম্বর ২০১৫, ১২:০০ এএম |
গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন এবার আওয়ামী লীগের কাছে মর্যাদার লড়াই। ১৯৯৮ সালে পৌরসভা গঠিত হওয়ার পর থেকে গোবিন্দগঞ্জের চেয়ারম্যান এবং পরবর্তী সময় মেয়র হিসেবে যারাই নির্বাচিত হয়েছেন তারা সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী। তাই এবারের নির্বাচনকে আওয়ামী লীগের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এবার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান মেয়র আতাউর রহমান সরকারের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ৬ নাশকতা এবং সন্ত্রাস মামলায় আত্মগোপনে থাকা মো. ফারুক আহমেদ। তিনি পৌর বিএনপির সভাপতি। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতাউর রহমান সরকারও সংগঠনের পৌর কমিটির সভাপতি।
পৌরসভা গঠিত হওয়ার পর প্রথম নির্বাচিত মেয়র ছিলেন আতাউর রহমান সরকার। পৌরসভা গঠিত হওয়ার আগে তার বাবা হাফিজার রহমান ছিলেন গোবিন্দগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। দ্বিতীয় দফা পৌর নির্বাচনে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন বর্তমান সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। তৃতীয়বার অর্থাৎ ২০১১ সালের নির্বাচনে আতাউর রহমান সরকার পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হন। সে সময় তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন এবারের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির মো. ফারুক আহমেদ। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর সামান্য ভোটের ব্যবধানে আতাউর মেয়র নির্বাচিত হন। তাই এবারের লড়াইও জমজমাট হবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছে। আতাউর রহমান প্রকাশ্যে প্রচারণার সুযোগ পাচ্ছেন। তার সঙ্গে রয়েছে ঐক্যবদ্ধ গোটা দল। সেই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধারাও। অন্যদিকে ফারুক আহমেদের পক্ষে প্রচারণা তেমন চোখে পড়ার মতো না হলেও জামায়াত প্রার্থী তার সমর্থনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়ায় তা প্লাস পয়েন্ট হিসেবে ফারুক আহমেদের পকেটে যাচ্ছে। ফারুক আহমেদের স্ত্রী মঞ্জুরী মোর্শেদা স্বামীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। দলের সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা এখন মাঠে কাজ করছেন। অধিকাংশ নেতা মামলার কারণে সামনে আসতে পারছেন না। তবে নীরব প্রচারণা চললেও আসন্ন নির্বাচনে ফারুক আহমেদের সঙ্গে আতাউর রহমানের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে।
পৌরসভা গঠিত হওয়ার পর প্রথম নির্বাচিত মেয়র ছিলেন আতাউর রহমান সরকার। পৌরসভা গঠিত হওয়ার আগে তার বাবা হাফিজার রহমান ছিলেন গোবিন্দগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। দ্বিতীয় দফা পৌর নির্বাচনে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন বর্তমান সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। তৃতীয়বার অর্থাৎ ২০১১ সালের নির্বাচনে আতাউর রহমান সরকার পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হন। সে সময় তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন এবারের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির মো. ফারুক আহমেদ। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর সামান্য ভোটের ব্যবধানে আতাউর মেয়র নির্বাচিত হন। তাই এবারের লড়াইও জমজমাট হবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছে। আতাউর রহমান প্রকাশ্যে প্রচারণার সুযোগ পাচ্ছেন। তার সঙ্গে রয়েছে ঐক্যবদ্ধ গোটা দল। সেই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধারাও। অন্যদিকে ফারুক আহমেদের পক্ষে প্রচারণা তেমন চোখে পড়ার মতো না হলেও জামায়াত প্রার্থী তার সমর্থনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়ায় তা প্লাস পয়েন্ট হিসেবে ফারুক আহমেদের পকেটে যাচ্ছে। ফারুক আহমেদের স্ত্রী মঞ্জুরী মোর্শেদা স্বামীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। দলের সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা এখন মাঠে কাজ করছেন। অধিকাংশ নেতা মামলার কারণে সামনে আসতে পারছেন না। তবে নীরব প্রচারণা চললেও আসন্ন নির্বাচনে ফারুক আহমেদের সঙ্গে আতাউর রহমানের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে।