মাসও নয়, মাত্র কয়েক দিনের জন্য এমপি হতে মাঠে নেমেছে বরগুনা-২ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন প্রার্থীরা। আগামী ৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য এই উপ-নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেনা বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দল। হাইকোর্টের রায়ের কারণে জামায়াতে ইসলামীও দিতে পারছেনা প্রার্থী। ফলে নির্বাচন যা হওয়ার হবে অনেকটা একতরফা। অবশ্য সাবেক এমপি গোলাম সরোয়ার হিরু প্রার্থী হতে পারেন চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে। সে ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতার স্বাদ পাবে সেখানকার মানুষ। এ পরিস্থিতিতে এখন সবচেয়ে জরুরি আলোচনার বিষয় হল, কে হচ্ছেন এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। এ পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন প্রার্থী হিসেবে ডজনখানেক নেতার নাম শোনা গেলেও তাদের অধিকাংশকেই নির্ভরযোগ্য বলে মনে করছে না ওই এলাকার মানুষ। ক্লিন ইমেজের কেউও নেই সেখানে। এদিকে এসব কিছু ছাপিয়ে গত ক’দিন ধরে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে সদ্য প্রয়াত এমপি গোলাম সবুর টুলুর স্ত্রী সুলতানা নাদিরার নাম। টুলুর মৃত্যুর কারণে শূন্য হওয়া এই আসনে তাকেই প্রার্থী করা হতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে। সে ক্ষেত্রে মনোনয়ন নিয়ে চলা দ্বন্দ্বের অবসান হওয়ার পাশাপাশি সমবেদনার সূত্রে এখানে সহজেই আবার আওয়ামী লীগ জিততে পারবে বলে বিশ্বাস তাদের। মরহুম টুলুর ছোট ভাই গোলাম নাসিরও বলেছেন একই কথা। যুগান্তরকে তিনি বলেন, ‘ভাবী (সুলতানা নাদিরা) প্রার্থী হোক এটা আমরাও চাই। তিনি প্রার্থী হলে আমাদের পরিবারের কারো কোনো আপত্তি নেই। আমরা সে ক্ষেত্রে সর্বশক্তি দিয়ে তার নির্বাচন করবো।’ গত ২৬ জুলাই নির্বাচনী এলাকা পাথরঘাটা থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে ভাঙ্গা এলাকার চুমোদিতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান জনপ্রিয় এমপি আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম সবুর টুলু। তার মৃত্যুতে শূন্য ঘোষিত হওয়া বরগুনা-২ আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের তফসিল ঘোষিত হয় রোববার। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ওই তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। মনোনয়ন দাখিলের শেষদিন আগামী ৫ সেপ্টেম্বর। উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব পাওয়া রিটার্নিং অফিসার মোস্তফা ফারুকের দেয়া তথ্যানুযায়ী, ‘এখানে মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৩১ হাজার। নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিও চলছে পুরোদমে।’ বর্তমানে বিরাজমান নবম জাতীয় সংসদের মেয়াদ এখন শেষের পথে। সেপ্টেম্বরের সংসদ অধিবেশনকেই বর্তমান মেয়াদের শেষ অধিবেশন বলে মনে করছেন অনেকে। সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে এ পর্যন্ত যে আভাস পাওয়া গেছে তাতে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে ভেঙে দেয়া হতে পারে সংসদ। সে অনুযায়ী ৩ অক্টোবর নির্বাচন হলে হয়তো সংসদের কোনো অধিবেশনে যোগ দেয়ার সুযোগ পাবে না বরগুনা-২ এর উপনির্বাচনে নির্বাচিত এমপি। তারপরও চলছে মনোনয়নের লড়াই। আর এই লড়াইয়ে নেমেছেন কেবল আওয়ামী লীগের নেতারা। প্রয়াত সংসদ সদস্য টুলুর মৃত্যুকে পুঁজি করে নিজেদের ভাগ্য গড়ার চেষ্টা করছেন তারা। এই তালিকায় এখন পর্যন্ত যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন মরহুম টুলুর বড় ভাই অ্যাডভোকেট গোলাম কবির, পাথরঘাটা উপজেলার চেয়ারম্যান শওকত হাসানুর রহমান রিমন, যুবলীগের কেন্দ ীয় নেতা সুভাষ চন্দ হাওলাদার, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট হারুন অর রশিদ, অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যালয়ের ভিসি ড. মোঃ আবুল হোসেন সিকদার, সাবেক এমএলএ শাহজাদা আবদুল মালেক খানের পুত্র মালিক এ ফিদা খান, তার চাচা ফারুক খান, আমেরিকা প্রবাসী মাহবুবুর রহমান টুকু এবং বামনা উপজেলা চেয়ারম্যান মানজুর রব মর্তুজা। এদের সবাইকে-ই যে যোগ্য হিসেবে ভাবা হচ্ছে তা নয়। নির্বাচনে নেমে একাধিকবার হেরে যাওয়ার রেকর্ড রয়েছে গোলাম কবিরের। নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে দোষ-গুণ বিতর্কে আছেন রিমন এবং মর্তুজা। এছাড়া এলাকার সঙ্গে তেমন যোগাযোগ না থাকাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য, মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরীহ লোকজনকে হয়রানি, সালিশির নামে অর্থ আÍসাৎ এবং নারী কেলেঙ্কারির দুর্নাম আছে বাকিদের দু-একজনের বিরুদ্ধে। হঠাৎ এসে মাঠ দখলের চেষ্টাও করছেন কেউ কেউ। ফলে এক কথায় বলা যায় যে নির্ভরযোগ্য প্রার্থী প্রশ্নে সত্যিকার অর্থেই ঝামেলায় আছে বরগুনা-২ এর আওয়ামী লীগ। আর এই ঝামেলা থেকেই আলোচনার কেন্দে এসেছে প্রয়াত এমপি টুলু পরিবারের কাউকে প্রার্থী করার বিষয়টি। সামনে এসেছে তার স্ত্রী মধুমতি টাইলস’র বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুলতানা নাদিরার নাম। তাকে প্রার্থী করা হলে যোগ্যতা অযোগ্যতা এড়িয়ে দলের সবাই এক হয়ে মাঠে নামবে বলে বিশ্বাস সবার। এমপি টুলুর মৃত্যুতে চলমান শোক আর সহানুভূতিও কাজে লাগানো যাবে এক্ষেত্রে। কেননা বিএনপি এবং জামায়াত অনুপস্থিত থাকলেও এখানে আওয়ামী লীগের সামনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছেন সাবেক এমপি একসময়ের আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম সরোয়ার হিরু। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে এরই মধ্যে তিনি নেমে পড়েছেন নির্বাচনী মাঠে। যাচ্ছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। তার এ নির্বাচনী লড়াইয়ের সঙ্গে যদি যোগ হয় বিএনপি-জামায়াতের সমর্থন তাহলে বিরোধী দলবিহীন এই নির্বাচনও অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে আওয়ামী লীগের জন্য। আর এসব বিবেচনাতেই প্রার্থী নির্বাচনে সতর্ক এখন আওয়ামী লীগ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়েছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা। যতদূর জানা গেছে, এ সভাতেই চূড়ান্ত হওয়ার কথা বরগুনা-২ এর দলীয় মনোনয়নের বিষয়টি। এখন শেষ পর্যন্ত কার ভাগ্যে সিকে ছিঁড়বে সেটাই দেখার প্রতিক্ষায় বামনা-পাথরঘাটা আর বেতাগীর মানুষ।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বরগুনা উপনির্বাচনে আলোচনায় টুলুর স্ত্রী সুলতানা নাদিরা
বরিশাল ব্যুরো
২৭ আগস্ট ২০১৩, ১২:০০ এএম |
মাসও নয়, মাত্র কয়েক দিনের জন্য এমপি হতে মাঠে নেমেছে বরগুনা-২ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন প্রার্থীরা। আগামী ৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য এই উপ-নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেনা বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দল। হাইকোর্টের রায়ের কারণে জামায়াতে ইসলামীও দিতে পারছেনা প্রার্থী। ফলে নির্বাচন যা হওয়ার হবে অনেকটা একতরফা। অবশ্য সাবেক এমপি গোলাম সরোয়ার হিরু প্রার্থী হতে পারেন চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে। সে ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতার স্বাদ পাবে সেখানকার মানুষ। এ পরিস্থিতিতে এখন সবচেয়ে জরুরি আলোচনার বিষয় হল, কে হচ্ছেন এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। এ পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন প্রার্থী হিসেবে ডজনখানেক নেতার নাম শোনা গেলেও তাদের অধিকাংশকেই নির্ভরযোগ্য বলে মনে করছে না ওই এলাকার মানুষ। ক্লিন ইমেজের কেউও নেই সেখানে। এদিকে এসব কিছু ছাপিয়ে গত ক’দিন ধরে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে সদ্য প্রয়াত এমপি গোলাম সবুর টুলুর স্ত্রী সুলতানা নাদিরার নাম। টুলুর মৃত্যুর কারণে শূন্য হওয়া এই আসনে তাকেই প্রার্থী করা হতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে। সে ক্ষেত্রে মনোনয়ন নিয়ে চলা দ্বন্দ্বের অবসান হওয়ার পাশাপাশি সমবেদনার সূত্রে এখানে সহজেই আবার আওয়ামী লীগ জিততে পারবে বলে বিশ্বাস তাদের। মরহুম টুলুর ছোট ভাই গোলাম নাসিরও বলেছেন একই কথা। যুগান্তরকে তিনি বলেন, ‘ভাবী (সুলতানা নাদিরা) প্রার্থী হোক এটা আমরাও চাই। তিনি প্রার্থী হলে আমাদের পরিবারের কারো কোনো আপত্তি নেই। আমরা সে ক্ষেত্রে সর্বশক্তি দিয়ে তার নির্বাচন করবো।’ গত ২৬ জুলাই নির্বাচনী এলাকা পাথরঘাটা থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে ভাঙ্গা এলাকার চুমোদিতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান জনপ্রিয় এমপি আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম সবুর টুলু। তার মৃত্যুতে শূন্য ঘোষিত হওয়া বরগুনা-২ আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের তফসিল ঘোষিত হয় রোববার। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ওই তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। মনোনয়ন দাখিলের শেষদিন আগামী ৫ সেপ্টেম্বর। উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব পাওয়া রিটার্নিং অফিসার মোস্তফা ফারুকের দেয়া তথ্যানুযায়ী, ‘এখানে মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৩১ হাজার। নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিও চলছে পুরোদমে।’ বর্তমানে বিরাজমান নবম জাতীয় সংসদের মেয়াদ এখন শেষের পথে। সেপ্টেম্বরের সংসদ অধিবেশনকেই বর্তমান মেয়াদের শেষ অধিবেশন বলে মনে করছেন অনেকে। সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে এ পর্যন্ত যে আভাস পাওয়া গেছে তাতে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে ভেঙে দেয়া হতে পারে সংসদ। সে অনুযায়ী ৩ অক্টোবর নির্বাচন হলে হয়তো সংসদের কোনো অধিবেশনে যোগ দেয়ার সুযোগ পাবে না বরগুনা-২ এর উপনির্বাচনে নির্বাচিত এমপি। তারপরও চলছে মনোনয়নের লড়াই। আর এই লড়াইয়ে নেমেছেন কেবল আওয়ামী লীগের নেতারা। প্রয়াত সংসদ সদস্য টুলুর মৃত্যুকে পুঁজি করে নিজেদের ভাগ্য গড়ার চেষ্টা করছেন তারা। এই তালিকায় এখন পর্যন্ত যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন মরহুম টুলুর বড় ভাই অ্যাডভোকেট গোলাম কবির, পাথরঘাটা উপজেলার চেয়ারম্যান শওকত হাসানুর রহমান রিমন, যুবলীগের কেন্দ ীয় নেতা সুভাষ চন্দ হাওলাদার, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট হারুন অর রশিদ, অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যালয়ের ভিসি ড. মোঃ আবুল হোসেন সিকদার, সাবেক এমএলএ শাহজাদা আবদুল মালেক খানের পুত্র মালিক এ ফিদা খান, তার চাচা ফারুক খান, আমেরিকা প্রবাসী মাহবুবুর রহমান টুকু এবং বামনা উপজেলা চেয়ারম্যান মানজুর রব মর্তুজা। এদের সবাইকে-ই যে যোগ্য হিসেবে ভাবা হচ্ছে তা নয়। নির্বাচনে নেমে একাধিকবার হেরে যাওয়ার রেকর্ড রয়েছে গোলাম কবিরের। নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে দোষ-গুণ বিতর্কে আছেন রিমন এবং মর্তুজা। এছাড়া এলাকার সঙ্গে তেমন যোগাযোগ না থাকাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য, মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরীহ লোকজনকে হয়রানি, সালিশির নামে অর্থ আÍসাৎ এবং নারী কেলেঙ্কারির দুর্নাম আছে বাকিদের দু-একজনের বিরুদ্ধে। হঠাৎ এসে মাঠ দখলের চেষ্টাও করছেন কেউ কেউ। ফলে এক কথায় বলা যায় যে নির্ভরযোগ্য প্রার্থী প্রশ্নে সত্যিকার অর্থেই ঝামেলায় আছে বরগুনা-২ এর আওয়ামী লীগ। আর এই ঝামেলা থেকেই আলোচনার কেন্দে এসেছে প্রয়াত এমপি টুলু পরিবারের কাউকে প্রার্থী করার বিষয়টি। সামনে এসেছে তার স্ত্রী মধুমতি টাইলস’র বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুলতানা নাদিরার নাম। তাকে প্রার্থী করা হলে যোগ্যতা অযোগ্যতা এড়িয়ে দলের সবাই এক হয়ে মাঠে নামবে বলে বিশ্বাস সবার। এমপি টুলুর মৃত্যুতে চলমান শোক আর সহানুভূতিও কাজে লাগানো যাবে এক্ষেত্রে। কেননা বিএনপি এবং জামায়াত অনুপস্থিত থাকলেও এখানে আওয়ামী লীগের সামনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছেন সাবেক এমপি একসময়ের আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম সরোয়ার হিরু। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে এরই মধ্যে তিনি নেমে পড়েছেন নির্বাচনী মাঠে। যাচ্ছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। তার এ নির্বাচনী লড়াইয়ের সঙ্গে যদি যোগ হয় বিএনপি-জামায়াতের সমর্থন তাহলে বিরোধী দলবিহীন এই নির্বাচনও অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে আওয়ামী লীগের জন্য। আর এসব বিবেচনাতেই প্রার্থী নির্বাচনে সতর্ক এখন আওয়ামী লীগ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়েছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা। যতদূর জানা গেছে, এ সভাতেই চূড়ান্ত হওয়ার কথা বরগুনা-২ এর দলীয় মনোনয়নের বিষয়টি। এখন শেষ পর্যন্ত কার ভাগ্যে সিকে ছিঁড়বে সেটাই দেখার প্রতিক্ষায় বামনা-পাথরঘাটা আর বেতাগীর মানুষ।