jugantor
খুলনায় আমদানি করা সারের বিশাল স্তূপ

  শেখ আবু হাসান, খুলনা থেকে  

০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:০০:০০  | 

বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের টানা অবরোধ ও হরতালে সার পরিবহনে সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে খুলনার ৭ নম্বর ঘাট (রুজভেল্ট জেটি) এলাকায় খোলা আকাশের নিচে আমদানি করা শত শত টন সার স্তূপ (ডাম্পিং) করা হচ্ছে। নৌপথে এসব সার জাহাজ-কার্গোতে এসে নগরীর রুজভেল্ট জেটিতে খালাস হচ্ছে। এই সার এখান থেকে ট্রাকে করে দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় চলে যাওয়ার কথা। কিন্তু নাশকতার ভয়ে সার পরিবহন কম হচ্ছে। তবে খুলনা জেলায় সারের কোনো সংকট নেই বলে জেলা প্রশাসন ও সারের ডিলাররা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক (খুলনার দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. শাহাদৎ হোসেন বাদশা যুগান্তরকে বলেন, খুলনাসহ সারা দেশে এ মুহূর্তে সারের সংকট নেই। সার পাননি- এ ধরনের কোনো অভিযোগ কৃষকদের কাছ থেকে আমরা পাইনি। খুলনা জেলায় ইরি-বোরো-আউশ ও আমন মৌসুমে সারের চাহিদা ২৮ হাজার টন। ইতিমধ্যে ২০ হাজার টন অতিরিক্ত বরাদ্দসহ ইউরিয়া সার পাওয়া গেছে। বর্ধিত আরও ৪ হাজার টন ইউরিয়া সারের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। তিনি বলেন, অবরোধ-হরতালের কারণে সার পরিবহনের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। নাশকতার ভয়ে পরিবহনের জন্য ট্রাক কমে যাওয়ায় নগরীর রুজভেল্ট জেটি ও ৭ নম্বর ঘাট এলাকায় ইউরিয়া সার ডাম্পিং (স্তূপ) করে রাখা হচ্ছে। এসব সার উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হওয়ার কথা। পরিবহন সংকটে সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় পরিবহনের জন্য ডিলারদের বর্ধিত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। তা সত্ত্বেও সার ব্যবসায়ীরা নিজের অর্থ সমন্বয় করে সরকারের নির্ধারিত মূল্যে এখনও পর্যন্ত কৃষকের কাছে সার পৌঁছে দিচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, অবরোধ ও হরতাল আরও দীর্ঘায়িত হলে ওই সব জেলাগুলোতে সারের সংকট দেখা দিতে পারে। এর ফলে কৃষকদের ফসল উৎপাদন ব্যাহত হবে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) যুগ্ম পরিচালক (সার) মোস্তাক আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, নৌপথে একেকটি জাহাজ-কার্গোতে একবারে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টন সার খুলনার ৭ নম্বর ঘাটে আসছে। পরিবহন সংকটের কারণে প্রতি দিন ৪-৫শ’ টন, আবার কোনো কোনো দিন এক হাজার টন সার এখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা যাচ্ছে। বর্তমানে প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে স্থানীয় ডিলাররা সার নিয়ে যাচ্ছেন। তুলনামূলক কম সার নেয়ায় কিছুটা বাড়তি স্তূপ হচ্ছে। খুলনা জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামাল জানান, পরিবহন ও সারসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ১৮ জানুয়ারি জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), খুলনার সব উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তা, জেলা বীজের উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক, যুগ্ম পরিচালকসহ (সার) সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভা করা হয়। সভায় জেলার বিভিন্ন স্থানে সার পরিবহনে প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বর্তমানে আইনশৃংখলা বাহিনীর সহযোগিতায় সার পরিবহন করা হচ্ছে।



সাবমিট

খুলনায় আমদানি করা সারের বিশাল স্তূপ

 শেখ আবু হাসান, খুলনা থেকে 
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ১২:০০ এএম  | 
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের টানা অবরোধ ও হরতালে সার পরিবহনে সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে খুলনার ৭ নম্বর ঘাট (রুজভেল্ট জেটি) এলাকায় খোলা আকাশের নিচে আমদানি করা শত শত টন সার স্তূপ (ডাম্পিং) করা হচ্ছে। নৌপথে এসব সার জাহাজ-কার্গোতে এসে নগরীর রুজভেল্ট জেটিতে খালাস হচ্ছে। এই সার এখান থেকে ট্রাকে করে দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় চলে যাওয়ার কথা। কিন্তু নাশকতার ভয়ে সার পরিবহন কম হচ্ছে। তবে খুলনা জেলায় সারের কোনো সংকট নেই বলে জেলা প্রশাসন ও সারের ডিলাররা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক (খুলনার দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. শাহাদৎ হোসেন বাদশা যুগান্তরকে বলেন, খুলনাসহ সারা দেশে এ মুহূর্তে সারের সংকট নেই। সার পাননি- এ ধরনের কোনো অভিযোগ কৃষকদের কাছ থেকে আমরা পাইনি। খুলনা জেলায় ইরি-বোরো-আউশ ও আমন মৌসুমে সারের চাহিদা ২৮ হাজার টন। ইতিমধ্যে ২০ হাজার টন অতিরিক্ত বরাদ্দসহ ইউরিয়া সার পাওয়া গেছে। বর্ধিত আরও ৪ হাজার টন ইউরিয়া সারের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। তিনি বলেন, অবরোধ-হরতালের কারণে সার পরিবহনের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। নাশকতার ভয়ে পরিবহনের জন্য ট্রাক কমে যাওয়ায় নগরীর রুজভেল্ট জেটি ও ৭ নম্বর ঘাট এলাকায় ইউরিয়া সার ডাম্পিং (স্তূপ) করে রাখা হচ্ছে। এসব সার উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হওয়ার কথা। পরিবহন সংকটে সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় পরিবহনের জন্য ডিলারদের বর্ধিত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। তা সত্ত্বেও সার ব্যবসায়ীরা নিজের অর্থ সমন্বয় করে সরকারের নির্ধারিত মূল্যে এখনও পর্যন্ত কৃষকের কাছে সার পৌঁছে দিচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, অবরোধ ও হরতাল আরও দীর্ঘায়িত হলে ওই সব জেলাগুলোতে সারের সংকট দেখা দিতে পারে। এর ফলে কৃষকদের ফসল উৎপাদন ব্যাহত হবে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) যুগ্ম পরিচালক (সার) মোস্তাক আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, নৌপথে একেকটি জাহাজ-কার্গোতে একবারে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টন সার খুলনার ৭ নম্বর ঘাটে আসছে। পরিবহন সংকটের কারণে প্রতি দিন ৪-৫শ’ টন, আবার কোনো কোনো দিন এক হাজার টন সার এখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা যাচ্ছে। বর্তমানে প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে স্থানীয় ডিলাররা সার নিয়ে যাচ্ছেন। তুলনামূলক কম সার নেয়ায় কিছুটা বাড়তি স্তূপ হচ্ছে। খুলনা জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামাল জানান, পরিবহন ও সারসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ১৮ জানুয়ারি জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), খুলনার সব উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তা, জেলা বীজের উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক, যুগ্ম পরিচালকসহ (সার) সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভা করা হয়। সভায় জেলার বিভিন্ন স্থানে সার পরিবহনে প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বর্তমানে আইনশৃংখলা বাহিনীর সহযোগিতায় সার পরিবহন করা হচ্ছে।



 
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র