jugantor
হরতাল-অবরোধে ছুটির দিনেও পর্যটকশূন্য কক্সবাজার
লোকসানে ব্যবসায়ীরা

  কক্সবাজার প্রতিনিধি  

২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:০০:০০  | 

হরতাল-অবরোধে পেট্রলবোমা আতংকে ছুটির দিনেও পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে কক্সবাজার। সাপ্তাহিক ও একুশে ফেব্র“য়ারির ছুটির দিনেও পর্যটকের দেখা না পেয়ে হতাশার মাত্রা আরও বেড়ে গেছে ব্যবসায়ীদের। হরতাল-অবরোধে ইতিমধ্যে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শতাধিক হোটেল-মোটেল ও রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। আর বেকার হয়ে পড়েছে ২০ হাজারের মতো শ্রমিক। এদের মধ্যে অনেককে আবার পাঠানো হয়েছে বাধ্যতামূলক ছুটিতে। ভরা মৌসুমেও পর্যটকের দেখা না পাওযায় বিপর্যয় নেমে এসেছে পর্যটন শিল্পে। জানা গেছে, যেসব পর্যটক অগ্রিম বুকিং দিয়েছিল তারাও বুকিং বাতিল করে দিয়েছেন।

শুধু হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস-রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী নন, অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অল্প পুঁজি নিয়ে ক্ষুদ্র শামুক-ঝিনুক, কিটকট চেয়ার, ডাব-ডিম বিক্রেতা থেকে শুরু করে রিক্ষা-টমটম ও সিএনজি চালকরাও পড়েছেন লোকসানে।

অন্যদিকে, পর্যটকদের আকর্ষণীয় বার্মিজ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা অনেকটা অলস সময় কাটাচ্ছেন। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, ভর পর্যটন মৌসুমে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ছুটিতেও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পর্যটকের অভাবে খা-খা করছে। জেলার পর্যটনের দর্শনীয় স্থান মহেশখালী আদিনাথ মন্দির, নবনির্মিত রামুর বৌদ্ধ বিহার, হিমছড়ি, দরিয়ানগর, প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন, ইনানী সৈকতেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। টানা হরতাল-অবরোধে এখানকার ব্যবসায়ীদেরও করুণ দশা।

তারকা হোটেল কক্স-টুডের জিএম এইচএম সাহাবুদ্দিন যুগান্তরকে জানান, পর্যটকের আগমন না ঘটায় ব্যবসায় লোকসান চলছে। হোটেলে তাদের মোট কক্ষ রয়েছে ২৭৬টি। এর মধ্যে শনিবার বুকিং হয়েছে মাত্র ১২টি। এভাবে চললে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে পড়বে বলে জানান তিনি।



সাবমিট

হরতাল-অবরোধে ছুটির দিনেও পর্যটকশূন্য কক্সবাজার

লোকসানে ব্যবসায়ীরা
 কক্সবাজার প্রতিনিধি 
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ১২:০০ এএম  | 
হরতাল-অবরোধে পেট্রলবোমা আতংকে ছুটির দিনেও পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে কক্সবাজার। সাপ্তাহিক ও একুশে ফেব্র“য়ারির ছুটির দিনেও পর্যটকের দেখা না পেয়ে হতাশার মাত্রা আরও বেড়ে গেছে ব্যবসায়ীদের। হরতাল-অবরোধে ইতিমধ্যে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শতাধিক হোটেল-মোটেল ও রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। আর বেকার হয়ে পড়েছে ২০ হাজারের মতো শ্রমিক। এদের মধ্যে অনেককে আবার পাঠানো হয়েছে বাধ্যতামূলক ছুটিতে। ভরা মৌসুমেও পর্যটকের দেখা না পাওযায় বিপর্যয় নেমে এসেছে পর্যটন শিল্পে। জানা গেছে, যেসব পর্যটক অগ্রিম বুকিং দিয়েছিল তারাও বুকিং বাতিল করে দিয়েছেন।

শুধু হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস-রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী নন, অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অল্প পুঁজি নিয়ে ক্ষুদ্র শামুক-ঝিনুক, কিটকট চেয়ার, ডাব-ডিম বিক্রেতা থেকে শুরু করে রিক্ষা-টমটম ও সিএনজি চালকরাও পড়েছেন লোকসানে।

অন্যদিকে, পর্যটকদের আকর্ষণীয় বার্মিজ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা অনেকটা অলস সময় কাটাচ্ছেন। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, ভর পর্যটন মৌসুমে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ছুটিতেও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পর্যটকের অভাবে খা-খা করছে। জেলার পর্যটনের দর্শনীয় স্থান মহেশখালী আদিনাথ মন্দির, নবনির্মিত রামুর বৌদ্ধ বিহার, হিমছড়ি, দরিয়ানগর, প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন, ইনানী সৈকতেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। টানা হরতাল-অবরোধে এখানকার ব্যবসায়ীদেরও করুণ দশা।

তারকা হোটেল কক্স-টুডের জিএম এইচএম সাহাবুদ্দিন যুগান্তরকে জানান, পর্যটকের আগমন না ঘটায় ব্যবসায় লোকসান চলছে। হোটেলে তাদের মোট কক্ষ রয়েছে ২৭৬টি। এর মধ্যে শনিবার বুকিং হয়েছে মাত্র ১২টি। এভাবে চললে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে পড়বে বলে জানান তিনি।



 
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র