নরসিংদীতে পৃথক স্থান থেকে ছাত্রদল কর্মী ও প্রকৌশলীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার দিগদা থেকে ছাত্রদল নেতা ও সিএনজি অটোরিকশা চালক রফিকুল ইসলাম এবং সদর উপজেলার পাঁচদোনা থেকে প্রকৌশলী নাদিয়া ইসলামের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘোড়াশাল পৌরসভার পাইকসা এলাকার মোস্তফা মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম পৌর ছাত্রদলের সদস্য। রাজনীতির পাশাপাশি ভাড়ায় সিএনজি অটোরিকশা চালাতেন তিনি। প্রতিদিনের মতো রোববার দুপুরের খাবার শেষে বাড়ি থেকে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে বের হন। এরপর থেকে তিনি আর বাড়িতে ফেরেননি।
এরই মধ্যে সোমবার সকালে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার দিগদা এলাকায় তার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। এর ১০০ গজ উত্তরে সিএনজি অটোরিকশাটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিপন আহমেদ বলেন, আমাদের ধারণা, রাজনৈতিক কারণেই পরিকল্পিতভাবে রফিকুলকে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে সদর উপজেলার পাঁচদোনা থেকে নাদিয়া ইসলামের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নাদিয়া ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার দাতিয়ারা ওয়াবদা কলোনির তাজুল ইসলামের মেয়ে। তিনি ইন্টারপুল পিকে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতেন। রোববার রাতে নাদিয়া অফিস থেকে বাসায় ফেরেন। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে না ওঠায় বাড়ির মালিক ইসমাইল মিয়া অনেক ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে থানায় খবর দিলে সকালে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে পুলিশ। ওই সময় ঘরের সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।
এরই মধ্যে সোমবার সকালে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার দিগদা এলাকায় তার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। এর ১০০ গজ উত্তরে সিএনজি অটোরিকশাটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিপন আহমেদ বলেন, আমাদের ধারণা, রাজনৈতিক কারণেই পরিকল্পিতভাবে রফিকুলকে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে সদর উপজেলার পাঁচদোনা থেকে নাদিয়া ইসলামের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নাদিয়া ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার দাতিয়ারা ওয়াবদা কলোনির তাজুল ইসলামের মেয়ে। তিনি ইন্টারপুল পিকে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতেন। রোববার রাতে নাদিয়া অফিস থেকে বাসায় ফেরেন। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে না ওঠায় বাড়ির মালিক ইসমাইল মিয়া অনেক ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে থানায় খবর দিলে সকালে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে পুলিশ। ওই সময় ঘরের সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মী ও প্রকৌশলীর লাশ উদ্ধার
নরসিংদী প্রতিনিধি
০৩ মার্চ ২০১৫, ১২:০০ এএম |
নরসিংদীতে পৃথক স্থান থেকে ছাত্রদল কর্মী ও প্রকৌশলীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার দিগদা থেকে ছাত্রদল নেতা ও সিএনজি অটোরিকশা চালক রফিকুল ইসলাম এবং সদর উপজেলার পাঁচদোনা থেকে প্রকৌশলী নাদিয়া ইসলামের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘোড়াশাল পৌরসভার পাইকসা এলাকার মোস্তফা মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম পৌর ছাত্রদলের সদস্য। রাজনীতির পাশাপাশি ভাড়ায় সিএনজি অটোরিকশা চালাতেন তিনি। প্রতিদিনের মতো রোববার দুপুরের খাবার শেষে বাড়ি থেকে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে বের হন। এরপর থেকে তিনি আর বাড়িতে ফেরেননি।
এরই মধ্যে সোমবার সকালে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার দিগদা এলাকায় তার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। এর ১০০ গজ উত্তরে সিএনজি অটোরিকশাটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিপন আহমেদ বলেন, আমাদের ধারণা, রাজনৈতিক কারণেই পরিকল্পিতভাবে রফিকুলকে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে সদর উপজেলার পাঁচদোনা থেকে নাদিয়া ইসলামের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নাদিয়া ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার দাতিয়ারা ওয়াবদা কলোনির তাজুল ইসলামের মেয়ে। তিনি ইন্টারপুল পিকে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতেন। রোববার রাতে নাদিয়া অফিস থেকে বাসায় ফেরেন। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে না ওঠায় বাড়ির মালিক ইসমাইল মিয়া অনেক ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে থানায় খবর দিলে সকালে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে পুলিশ। ওই সময় ঘরের সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।
এরই মধ্যে সোমবার সকালে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার দিগদা এলাকায় তার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। এর ১০০ গজ উত্তরে সিএনজি অটোরিকশাটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিপন আহমেদ বলেন, আমাদের ধারণা, রাজনৈতিক কারণেই পরিকল্পিতভাবে রফিকুলকে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে সদর উপজেলার পাঁচদোনা থেকে নাদিয়া ইসলামের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নাদিয়া ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার দাতিয়ারা ওয়াবদা কলোনির তাজুল ইসলামের মেয়ে। তিনি ইন্টারপুল পিকে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতেন। রোববার রাতে নাদিয়া অফিস থেকে বাসায় ফেরেন। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে না ওঠায় বাড়ির মালিক ইসমাইল মিয়া অনেক ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে থানায় খবর দিলে সকালে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে পুলিশ। ওই সময় ঘরের সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।