jugantor
পিপিপির আওতায় রেলওয়ের জমিতে ৯ প্রকল্প
সংসদে অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী

  যুগান্তর রিপোর্ট  

১০ মার্চ ২০১৫, ০০:০০:০০  | 

জাতীয় সংসদে সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেছেন, রেলওয়ের বেদখল ভূমির পরিমাণ ৪ হাজার ৩৯১ দশমিক ৩৯ একর। এর মধ্যে সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা কর্তৃক দখলীয় রেলভূমির পরিমাণ ৯২২ দশমিক ৩৪ একর, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি কর্তৃক বেদখল জমির পরিমাণ ৩ হাজার ৪২১ দশমিক ৩৯ একর এবং ধর্মীয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বেদখল জমির পরিমাণ ৯০ দশমিক ৮৩ একর। বেদখলীয় রেলভূমি জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় উচ্ছেদের মাধ্যমে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সোমবার জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে এ তথ্য জানান রেলমন্ত্রী। রেলওয়েকে বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক করার লক্ষ্যে বা রেলওয়ের জায়গা সঠিকভাবে ব্যবহারের জন্য উদ্ধার করা জায়গায় মেডিকেল কলেজ, ফাইভ স্টার হোটেল, শপিংমল নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা আছে কী- অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের এ প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় বাংলাদেশ রেলওয়ের জায়গায় মেডিকেল কলেজ, ফাইভ স্টার হোটেল ও গেস্ট হাউস কাম শপিংমল নির্মাণের জন্য ৯টি প্রকল্প কেবিনেট কমিটি ওন ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স (সিসিইএ) কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। এর মধ্যে শুধু চট্টগ্রামে ফাইভ স্টার হোটেল নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন পিপিপি অফিস থেকে ট্রানজেকশন অ্যাডভাইজর নিয়োগ করা হয়েছে। তাদের কাজ আগামী বছরের ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে সমাপ্ত হবে। এরপর ট্রানজেকশন উপদেষ্টার সুপারিশ অনুসারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বেগম আখতার জাহানের (মহিলা আসন-৫) এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, গত অর্থবছর (২০১৩-১৪) রেলের মোট আয় ৮০৭ কোটি ৮৯ লাখ ৬১ হাজার টাকা, মোট ব্যয় ১ হাজার ৭৩৪ কোটি ৩৯ হাজার টাকা এবং নিট লোকসান হয়েছে ৯২৬ কোটি ১০ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য ইতিমধ্যে ১০০টি ইঞ্জিন এবং ৭৭০টি বগি সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প গৃহীত হয়েছে। রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য এনামুল হকের এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, ২০১০ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ২৩৫টি প্রকল্প ৪টি পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এটি বাস্তবায়িত হলে আরও ১৫টি জেলা অর্থাৎ মোট ৫৯টি জেলা রেলওয়ের নেটওয়ার্কে আসবে।

ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করায় রেলের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।



সাবমিট

পিপিপির আওতায় রেলওয়ের জমিতে ৯ প্রকল্প

সংসদে অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী
 যুগান্তর রিপোর্ট 
১০ মার্চ ২০১৫, ১২:০০ এএম  | 
জাতীয় সংসদে সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেছেন, রেলওয়ের বেদখল ভূমির পরিমাণ ৪ হাজার ৩৯১ দশমিক ৩৯ একর। এর মধ্যে সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা কর্তৃক দখলীয় রেলভূমির পরিমাণ ৯২২ দশমিক ৩৪ একর, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি কর্তৃক বেদখল জমির পরিমাণ ৩ হাজার ৪২১ দশমিক ৩৯ একর এবং ধর্মীয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বেদখল জমির পরিমাণ ৯০ দশমিক ৮৩ একর। বেদখলীয় রেলভূমি জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় উচ্ছেদের মাধ্যমে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সোমবার জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে এ তথ্য জানান রেলমন্ত্রী। রেলওয়েকে বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক করার লক্ষ্যে বা রেলওয়ের জায়গা সঠিকভাবে ব্যবহারের জন্য উদ্ধার করা জায়গায় মেডিকেল কলেজ, ফাইভ স্টার হোটেল, শপিংমল নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা আছে কী- অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের এ প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় বাংলাদেশ রেলওয়ের জায়গায় মেডিকেল কলেজ, ফাইভ স্টার হোটেল ও গেস্ট হাউস কাম শপিংমল নির্মাণের জন্য ৯টি প্রকল্প কেবিনেট কমিটি ওন ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স (সিসিইএ) কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। এর মধ্যে শুধু চট্টগ্রামে ফাইভ স্টার হোটেল নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন পিপিপি অফিস থেকে ট্রানজেকশন অ্যাডভাইজর নিয়োগ করা হয়েছে। তাদের কাজ আগামী বছরের ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে সমাপ্ত হবে। এরপর ট্রানজেকশন উপদেষ্টার সুপারিশ অনুসারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বেগম আখতার জাহানের (মহিলা আসন-৫) এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, গত অর্থবছর (২০১৩-১৪) রেলের মোট আয় ৮০৭ কোটি ৮৯ লাখ ৬১ হাজার টাকা, মোট ব্যয় ১ হাজার ৭৩৪ কোটি ৩৯ হাজার টাকা এবং নিট লোকসান হয়েছে ৯২৬ কোটি ১০ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য ইতিমধ্যে ১০০টি ইঞ্জিন এবং ৭৭০টি বগি সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প গৃহীত হয়েছে। রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য এনামুল হকের এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, ২০১০ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ২৩৫টি প্রকল্প ৪টি পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এটি বাস্তবায়িত হলে আরও ১৫টি জেলা অর্থাৎ মোট ৫৯টি জেলা রেলওয়ের নেটওয়ার্কে আসবে।

ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করায় রেলের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।



 
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র