নড়িয়ার গাগড়ীজোড়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় ৭টি ঘরে ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
গাগড়ীজোড়া গ্রামের আমির হোসেন মুন্সি জানান, নড়িয়া উপজেলার গাগড়ীজোড়া গ্রামের বিএনপি সমর্থক সামসুদ্দিন সরদার ও আওয়ামী লীগের তাজুল সরদারের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার সন্ধ্যায় তাজুলের সমর্থক আলহাম মুন্সি ও জহিরুল মুন্সিকে শরীয়তপুর শহরের রাজগঞ্জ ব্রিজের নিকট গতিরোধ করে মারধর করা হয়। এ সময় আলহাম মুন্সির পায়ের রগ কেটে দেয় প্রতিপক্ষের লোকেরা। এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামী লীগ সমর্থক তাজুল গ্র“পের সমর্থকরা বিএনপির সমর্থক সামসুদ্দিন সরদারের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপির সমর্থক সামসুদ্দিন সরদারের নেতৃত্বে শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগের সমর্থক আঃ জব্বার মুন্সি, খলিল মুন্সি, হারুন সরদারের বাড়িতে ৭টি ঘরে হামলা ও লুটপাট চালায়। এ সময় তাজুল গ্র“পের আঃ জব্বার মুন্সির বসতঘরে আগুন দিয়ে পুড়ে দেয়। ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলাকালে উভয় গ্র“পের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এ সময় বিএনপির সমর্থকরা কমপক্ষে ২০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় এবং গুলি ছুড়ে। এতে লিটন মালের মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় জহির মুন্সি, কামাল মুন্সি, মনির খান, আলাল শেখ ও জহির ছৈয়াল আহত হয়। গুলিবিদ্ধ আহত লিটন মালকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নড়িয়া থানার ওসি শেখ কবীরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
গাগড়ীজোড়া গ্রামের আমির হোসেন মুন্সি জানান, নড়িয়া উপজেলার গাগড়ীজোড়া গ্রামের বিএনপি সমর্থক সামসুদ্দিন সরদার ও আওয়ামী লীগের তাজুল সরদারের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার সন্ধ্যায় তাজুলের সমর্থক আলহাম মুন্সি ও জহিরুল মুন্সিকে শরীয়তপুর শহরের রাজগঞ্জ ব্রিজের নিকট গতিরোধ করে মারধর করা হয়। এ সময় আলহাম মুন্সির পায়ের রগ কেটে দেয় প্রতিপক্ষের লোকেরা। এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামী লীগ সমর্থক তাজুল গ্র“পের সমর্থকরা বিএনপির সমর্থক সামসুদ্দিন সরদারের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপির সমর্থক সামসুদ্দিন সরদারের নেতৃত্বে শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগের সমর্থক আঃ জব্বার মুন্সি, খলিল মুন্সি, হারুন সরদারের বাড়িতে ৭টি ঘরে হামলা ও লুটপাট চালায়। এ সময় তাজুল গ্র“পের আঃ জব্বার মুন্সির বসতঘরে আগুন দিয়ে পুড়ে দেয়। ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলাকালে উভয় গ্র“পের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এ সময় বিএনপির সমর্থকরা কমপক্ষে ২০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় এবং গুলি ছুড়ে। এতে লিটন মালের মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় জহির মুন্সি, কামাল মুন্সি, মনির খান, আলাল শেখ ও জহির ছৈয়াল আহত হয়। গুলিবিদ্ধ আহত লিটন মালকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নড়িয়া থানার ওসি শেখ কবীরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
নড়িয়ায় আ’লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ : বাড়িঘরে লুটপাট
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
০৩ এপ্রিল ২০১৫, ১২:০০ এএম |
নড়িয়ার গাগড়ীজোড়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় ৭টি ঘরে ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
গাগড়ীজোড়া গ্রামের আমির হোসেন মুন্সি জানান, নড়িয়া উপজেলার গাগড়ীজোড়া গ্রামের বিএনপি সমর্থক সামসুদ্দিন সরদার ও আওয়ামী লীগের তাজুল সরদারের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার সন্ধ্যায় তাজুলের সমর্থক আলহাম মুন্সি ও জহিরুল মুন্সিকে শরীয়তপুর শহরের রাজগঞ্জ ব্রিজের নিকট গতিরোধ করে মারধর করা হয়। এ সময় আলহাম মুন্সির পায়ের রগ কেটে দেয় প্রতিপক্ষের লোকেরা। এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামী লীগ সমর্থক তাজুল গ্র“পের সমর্থকরা বিএনপির সমর্থক সামসুদ্দিন সরদারের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপির সমর্থক সামসুদ্দিন সরদারের নেতৃত্বে শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগের সমর্থক আঃ জব্বার মুন্সি, খলিল মুন্সি, হারুন সরদারের বাড়িতে ৭টি ঘরে হামলা ও লুটপাট চালায়। এ সময় তাজুল গ্র“পের আঃ জব্বার মুন্সির বসতঘরে আগুন দিয়ে পুড়ে দেয়। ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলাকালে উভয় গ্র“পের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এ সময় বিএনপির সমর্থকরা কমপক্ষে ২০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় এবং গুলি ছুড়ে। এতে লিটন মালের মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় জহির মুন্সি, কামাল মুন্সি, মনির খান, আলাল শেখ ও জহির ছৈয়াল আহত হয়। গুলিবিদ্ধ আহত লিটন মালকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নড়িয়া থানার ওসি শেখ কবীরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
গাগড়ীজোড়া গ্রামের আমির হোসেন মুন্সি জানান, নড়িয়া উপজেলার গাগড়ীজোড়া গ্রামের বিএনপি সমর্থক সামসুদ্দিন সরদার ও আওয়ামী লীগের তাজুল সরদারের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার সন্ধ্যায় তাজুলের সমর্থক আলহাম মুন্সি ও জহিরুল মুন্সিকে শরীয়তপুর শহরের রাজগঞ্জ ব্রিজের নিকট গতিরোধ করে মারধর করা হয়। এ সময় আলহাম মুন্সির পায়ের রগ কেটে দেয় প্রতিপক্ষের লোকেরা। এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামী লীগ সমর্থক তাজুল গ্র“পের সমর্থকরা বিএনপির সমর্থক সামসুদ্দিন সরদারের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপির সমর্থক সামসুদ্দিন সরদারের নেতৃত্বে শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগের সমর্থক আঃ জব্বার মুন্সি, খলিল মুন্সি, হারুন সরদারের বাড়িতে ৭টি ঘরে হামলা ও লুটপাট চালায়। এ সময় তাজুল গ্র“পের আঃ জব্বার মুন্সির বসতঘরে আগুন দিয়ে পুড়ে দেয়। ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলাকালে উভয় গ্র“পের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এ সময় বিএনপির সমর্থকরা কমপক্ষে ২০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় এবং গুলি ছুড়ে। এতে লিটন মালের মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় জহির মুন্সি, কামাল মুন্সি, মনির খান, আলাল শেখ ও জহির ছৈয়াল আহত হয়। গুলিবিদ্ধ আহত লিটন মালকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নড়িয়া থানার ওসি শেখ কবীরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।