jugantor
রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় তরুণীসহ ধর্ষিত তিন

  যুগান্তর রিপোর্ট  

২৯ নভেম্বর ২০১৫, ০০:০০:০০  | 

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ও তুরাগ থানা এলাকায় পৃথক ঘটনায় শিশু, কিশোরী ও তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। কামরাঙ্গীরচরে নয় বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে আবদুর রহিম নামে ৪৫ বছর বয়সী এক বাবুর্চিকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়া হয়েছে। শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে তুরাগে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক তরুণীকে (১৮) ধর্ষণ করা হয়েছে। ওই ঘটনায় তার প্রেমিককে আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ। এছাড়া একই এলাকায় ১৪ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তাদের দু’জনকেই শনিবার ঢামেকে নিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।

ঢামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, কামরাঙ্গীর চরে শিশুটির বাবা ১১ মাস আগে পরিবার ফেলে অন্যত্র চলে যায়। শিশুটির মা স্থানীয় চাঁনমসজিদ গলিতে একটি দর্জি দোকানে সেলাইয়ের কাজ করে। শুক্রবার সকালে শিশুটি বাসায় একা ছিল। এ সময় প্রতিবেশী আবদুর রহিম কৌশলে তাকে বাসায় ডেকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে। পরে কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। শিশুটি ভয় পেয়ে কাউকে বলেনি। রাতে ব্যথায় কান্নাকাটি করার সময় মায়ের কাছে বাবুর্চি রহিমের কথা সে জানায়। তার মা প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় রহিমকে আটক করে পুলিশে দেয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

এদিকে তুরাগ থানা এলাকায় এক তরুণীর সঙ্গে প্রেম করত হেলাল নামে এক যুবক। হেলাল তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বুধবার বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে ফেলে যায়। পরে হেলালের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে।

অপর ঘটনায় ৬-৭ দিন আগে কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় ধর্ষিত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার শিশুটির মেডিকেল চেকআপের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে বিষয়টি প্রকাশ পায়।

তুরাগ থানার ওসি মাহবুব-এ খোদা যুগান্তরকে জানান, ধর্ষক প্রেমিক হেলালকে গ্রেফতারের অভিযান চলছে। কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় আটক যুবকের নাম পাওয়া যায়নি।



সাবমিট

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় তরুণীসহ ধর্ষিত তিন

 যুগান্তর রিপোর্ট 
২৯ নভেম্বর ২০১৫, ১২:০০ এএম  | 
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ও তুরাগ থানা এলাকায় পৃথক ঘটনায় শিশু, কিশোরী ও তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। কামরাঙ্গীরচরে নয় বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে আবদুর রহিম নামে ৪৫ বছর বয়সী এক বাবুর্চিকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়া হয়েছে। শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে তুরাগে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক তরুণীকে (১৮) ধর্ষণ করা হয়েছে। ওই ঘটনায় তার প্রেমিককে আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ। এছাড়া একই এলাকায় ১৪ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তাদের দু’জনকেই শনিবার ঢামেকে নিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।

ঢামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, কামরাঙ্গীর চরে শিশুটির বাবা ১১ মাস আগে পরিবার ফেলে অন্যত্র চলে যায়। শিশুটির মা স্থানীয় চাঁনমসজিদ গলিতে একটি দর্জি দোকানে সেলাইয়ের কাজ করে। শুক্রবার সকালে শিশুটি বাসায় একা ছিল। এ সময় প্রতিবেশী আবদুর রহিম কৌশলে তাকে বাসায় ডেকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে। পরে কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। শিশুটি ভয় পেয়ে কাউকে বলেনি। রাতে ব্যথায় কান্নাকাটি করার সময় মায়ের কাছে বাবুর্চি রহিমের কথা সে জানায়। তার মা প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় রহিমকে আটক করে পুলিশে দেয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

এদিকে তুরাগ থানা এলাকায় এক তরুণীর সঙ্গে প্রেম করত হেলাল নামে এক যুবক। হেলাল তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বুধবার বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে ফেলে যায়। পরে হেলালের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে।

অপর ঘটনায় ৬-৭ দিন আগে কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় ধর্ষিত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার শিশুটির মেডিকেল চেকআপের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে বিষয়টি প্রকাশ পায়।

তুরাগ থানার ওসি মাহবুব-এ খোদা যুগান্তরকে জানান, ধর্ষক প্রেমিক হেলালকে গ্রেফতারের অভিযান চলছে। কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় আটক যুবকের নাম পাওয়া যায়নি।



 
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র