jugantor
পিরোজপুর মেয়রের বিজয় কাকতালীয় না অন্য কিছু
পর পর দু’বার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত

  আকতার ফারুক শাহিন, বরিশাল ব্যুরো  

১৯ ডিসেম্বর ২০১৫, ০০:০০:০০  | 

পর পর দু’বার পিরোজপুর সদর পৌরসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হলেন বর্তমান মেয়র আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান মালেক। বিষয়টি কি স্রেফ কাকতালীয় নাকি অন্য কিছু? এটাই এখন প্রশ্ন পিরোজপুরের সাধারণ মানুষের।

পদ-পদবি না থাকলেও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অত্যন্ত প্রভাবশালী একটি নাম মালেক। এই নিয়ে পর পর ৩ বার নির্বাচিত হলেন পিরোজপুর সদর পৌরসভার মেয়র। জোট আমলে বিএনপি প্রার্থীকে পরাজিত করে মেয়র হন মালেক। এরপর আর নির্বাচন করতে হয়নি। ভোটযুদ্ধ ছাড়াই এবার নিয়ে আরও দু’বার হলেন মেয়র। পরিবারের ইতিহাসটাও চমৎকার। বড় ভাই একেএমএ আউয়াল পিরোজপুর সদর আসনের দু’বারের এমপি। প্রথমবার এমপি হন জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে পরাজিত করে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র দাখিল করেনি কেউ। মালেকের আরেক ভাই মজিবুর রহমান খালেক পিরোজপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান। অবশ্য ওই নির্বাচন নিয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ। বিএনপির দাবি, এমপি এবং মেয়র ভাইয়ের প্রভাবে সকাল ১০টার মধ্যে নির্বাচন শেষ করেন খালেক। কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাররা দেখেন আগেভাগেই দেয়া হয়ে গেছে তাদের ভোট। এছাড়া মহিলা আওয়ামী লীগ, রেডক্রিসেন্ট, চেম্বার অব কমার্স এবং বাস মালিক সমিতিসহ পিরোজপুরের গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব সংগঠনের শীর্ষ পদে রয়েছেন এমপি আউয়াল তথা খালেক-মালেক পরিবারের সদস্যরা।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে পিরোজপুরের বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, গত দুটি পৌর নির্বাচনের একটিতেও এখানে শক্ত কোনো প্রার্থী দেয়নি বিএনপি। যাদেরকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তাদের দু’জনারই মনোনয়ন বাতিল হয়ে গেছে প্রাথমিক বাছাইয়ে। গেলবার তবু মনোনয়ন বাতিল হওয়ার বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিয়েছিলেন তখনকার দলীয় সমর্থন পাওয়া নাসিমউদ্দিন খান। কিন্তু এবার সেটুকুও করেননি দলীয় প্রার্থী আ. রাজ্জাক মুনান।

পৌর বিএনপির এক নেতা বলেন, সর্বশেষ সরকারবিরোধী আন্দোলনে এখানে বিভিন্ন মামলায় আসামি করা হয়েছে শত শত নেতাকর্মীকে। এসব মামলার একটিতেও আসামির তালিকায় নেই জেলা সভাপতি সাবেক এমপি বাবুল গাজী কিংবা সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেনের নাম। এমনকি এত আন্দোলন-সংগ্রাম আর গ্রেফতার অভিযান চললেও একদিনের জন্য হাজতে যেতে হয়নি এই দু’জনকে। তাহলে কি আমরা ধরে নিতে পারি না যে সরকারি দলের সঙ্গে তাদের গোপন সমঝোতা রয়েছে আর এ কারণেই অন্য অনেক কিছুর সঙ্গে এখানে বারবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী। বাবুল গাজী কিংবা আলমগীর অবশ্য এসব অভিযোগ স্বীকার করেননি। ক্ষমতাসীন দলের অনৈতিক প্রভাব এবং কূটকৌশলের কারণে এখানে বারবার বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল হচ্ছে বলে দাবি করেন দু’জনই। বাবুল গাজী বলেন, মনোনয়নপত্র পূরণে সামান্য ভুল আর ইনকাম ট্যাক্সের একটি জটিলতা উল্লেখ করে বাতিল করা হয় আ. রাজ্জাক মুনানের মনোনয়ন। যেসব ভুলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো মোটেই ধর্তব্য নয়। আমরা রিটার্নিং অফিসারের কাছে এ ব্যাপারে আবেদনও করেছি। কিন্তু প্রভাবের কাছে আমাদের সেই আবেদন টেকেনি। মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পর কেন আপিল করেননি জানতে চাইলে মুনান বলেন, আপিল করার জন্য কাগজপত্র নিয়ে ডিসি অফিসে লোক পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু মাঝ পথে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা সেসব কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাইয়ের এ ঘটনায় থানা পুলিশে অভিযোগ করেছেন কিনা জানতে চাইলে না সূচক উত্তর এবং কারণ সর্ম্পকে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। এর আগের পৌর নির্বাচনেও একই রকম একটি ছিনতাইয়ের কথা বলেছিলেন তখনকার বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী নাসিমউদ্দিন আকন। পর পর দু’বার বিএনপিদলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল হওয়ার ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করলে একটি বিষয় পরিষ্কার যে, অনেকটা একই সূত্রে গাঁথা এর কারণগুলো। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর দেয়া অভিযোগগুলো ঘাটলে মনে হয় যেন বাতিল হওয়া প্রার্থীরাই বলে দিয়েছে কোন কোন বিষয়ে অভিযোগ করতে হবে। মজার বিষয় হচ্ছে, এই নিয়ে পর পর দু’বার আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে জায়ান্ট কোনো নেতা প্রার্থী হননি বা করা হয়নি পিরোজপুর পৌরসভায়। অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় সব কিছুই পূর্ব পরিকল্পিত।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, ক্ষমতাসীন দলের ত্রাসের রাজত্বে বসবাস করছি আমরা। নির্বাচনে কেবল মুনান নয়, বিএনপির আরও একজন প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মনোনয়ন ক্রয়ের দিন হামলা চালিয়ে তার সহকর্মী যুবদল নেতা নান্নার পা ভেঙে দেয় ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা। তিনি বর্তমানে খুলনার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাছাড়া চলমান সন্ত্রাস আর পর পর দু’বারের ভোট ডাকাতির ইতিহাস দেখে এখন আর যোগ্য নেতারা নির্বাচনে নামতে চান না। ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সঙ্গে গোপন আঁতাতের কারণে এমনটা ঘটছে কিনা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এসব অপপ্রচার। আমাদেরকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য আওয়ামী লীগের লোকজন এসব মিথ্যা ছড়াচ্ছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজ বলেন, হামলা আর কাগজপত্র ছিনতাইয়ের যেসব কথা বলা হচ্ছে তা হাস্যকর। কেবল পিরোজপুরেই কেন এমনটা হচ্ছে তা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের খতিয়ে দেখা দরকার। প্রার্থী প্রশ্নে সবরকম যাচাই-বাছাই করে মনোনয়ন দাখিল করতে হয়। এটাই নিয়ম। সেক্ষেত্রে বিএনপির মতো একটি বড় দল একই ভুল বারবার করলে তার দায়-দায়িত্ব নিশ্চই আমরা নেব না। বিষয়টি সম্পর্কে মেয়র মালেকের বক্তব্যও বেশ স্পষ্ট। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এটা বিএনপির সমস্যা। আমার নয়।



সাবমিট

পিরোজপুর মেয়রের বিজয় কাকতালীয় না অন্য কিছু

পর পর দু’বার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
 আকতার ফারুক শাহিন, বরিশাল ব্যুরো 
১৯ ডিসেম্বর ২০১৫, ১২:০০ এএম  | 
পর পর দু’বার পিরোজপুর সদর পৌরসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হলেন বর্তমান মেয়র আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান মালেক। বিষয়টি কি স্রেফ কাকতালীয় নাকি অন্য কিছু? এটাই এখন প্রশ্ন পিরোজপুরের সাধারণ মানুষের।

পদ-পদবি না থাকলেও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অত্যন্ত প্রভাবশালী একটি নাম মালেক। এই নিয়ে পর পর ৩ বার নির্বাচিত হলেন পিরোজপুর সদর পৌরসভার মেয়র। জোট আমলে বিএনপি প্রার্থীকে পরাজিত করে মেয়র হন মালেক। এরপর আর নির্বাচন করতে হয়নি। ভোটযুদ্ধ ছাড়াই এবার নিয়ে আরও দু’বার হলেন মেয়র। পরিবারের ইতিহাসটাও চমৎকার। বড় ভাই একেএমএ আউয়াল পিরোজপুর সদর আসনের দু’বারের এমপি। প্রথমবার এমপি হন জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে পরাজিত করে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র দাখিল করেনি কেউ। মালেকের আরেক ভাই মজিবুর রহমান খালেক পিরোজপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান। অবশ্য ওই নির্বাচন নিয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ। বিএনপির দাবি, এমপি এবং মেয়র ভাইয়ের প্রভাবে সকাল ১০টার মধ্যে নির্বাচন শেষ করেন খালেক। কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাররা দেখেন আগেভাগেই দেয়া হয়ে গেছে তাদের ভোট। এছাড়া মহিলা আওয়ামী লীগ, রেডক্রিসেন্ট, চেম্বার অব কমার্স এবং বাস মালিক সমিতিসহ পিরোজপুরের গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব সংগঠনের শীর্ষ পদে রয়েছেন এমপি আউয়াল তথা খালেক-মালেক পরিবারের সদস্যরা।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে পিরোজপুরের বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, গত দুটি পৌর নির্বাচনের একটিতেও এখানে শক্ত কোনো প্রার্থী দেয়নি বিএনপি। যাদেরকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তাদের দু’জনারই মনোনয়ন বাতিল হয়ে গেছে প্রাথমিক বাছাইয়ে। গেলবার তবু মনোনয়ন বাতিল হওয়ার বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিয়েছিলেন তখনকার দলীয় সমর্থন পাওয়া নাসিমউদ্দিন খান। কিন্তু এবার সেটুকুও করেননি দলীয় প্রার্থী আ. রাজ্জাক মুনান।

পৌর বিএনপির এক নেতা বলেন, সর্বশেষ সরকারবিরোধী আন্দোলনে এখানে বিভিন্ন মামলায় আসামি করা হয়েছে শত শত নেতাকর্মীকে। এসব মামলার একটিতেও আসামির তালিকায় নেই জেলা সভাপতি সাবেক এমপি বাবুল গাজী কিংবা সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেনের নাম। এমনকি এত আন্দোলন-সংগ্রাম আর গ্রেফতার অভিযান চললেও একদিনের জন্য হাজতে যেতে হয়নি এই দু’জনকে। তাহলে কি আমরা ধরে নিতে পারি না যে সরকারি দলের সঙ্গে তাদের গোপন সমঝোতা রয়েছে আর এ কারণেই অন্য অনেক কিছুর সঙ্গে এখানে বারবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী। বাবুল গাজী কিংবা আলমগীর অবশ্য এসব অভিযোগ স্বীকার করেননি। ক্ষমতাসীন দলের অনৈতিক প্রভাব এবং কূটকৌশলের কারণে এখানে বারবার বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল হচ্ছে বলে দাবি করেন দু’জনই। বাবুল গাজী বলেন, মনোনয়নপত্র পূরণে সামান্য ভুল আর ইনকাম ট্যাক্সের একটি জটিলতা উল্লেখ করে বাতিল করা হয় আ. রাজ্জাক মুনানের মনোনয়ন। যেসব ভুলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো মোটেই ধর্তব্য নয়। আমরা রিটার্নিং অফিসারের কাছে এ ব্যাপারে আবেদনও করেছি। কিন্তু প্রভাবের কাছে আমাদের সেই আবেদন টেকেনি। মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পর কেন আপিল করেননি জানতে চাইলে মুনান বলেন, আপিল করার জন্য কাগজপত্র নিয়ে ডিসি অফিসে লোক পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু মাঝ পথে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা সেসব কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাইয়ের এ ঘটনায় থানা পুলিশে অভিযোগ করেছেন কিনা জানতে চাইলে না সূচক উত্তর এবং কারণ সর্ম্পকে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। এর আগের পৌর নির্বাচনেও একই রকম একটি ছিনতাইয়ের কথা বলেছিলেন তখনকার বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী নাসিমউদ্দিন আকন। পর পর দু’বার বিএনপিদলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল হওয়ার ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করলে একটি বিষয় পরিষ্কার যে, অনেকটা একই সূত্রে গাঁথা এর কারণগুলো। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর দেয়া অভিযোগগুলো ঘাটলে মনে হয় যেন বাতিল হওয়া প্রার্থীরাই বলে দিয়েছে কোন কোন বিষয়ে অভিযোগ করতে হবে। মজার বিষয় হচ্ছে, এই নিয়ে পর পর দু’বার আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে জায়ান্ট কোনো নেতা প্রার্থী হননি বা করা হয়নি পিরোজপুর পৌরসভায়। অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় সব কিছুই পূর্ব পরিকল্পিত।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, ক্ষমতাসীন দলের ত্রাসের রাজত্বে বসবাস করছি আমরা। নির্বাচনে কেবল মুনান নয়, বিএনপির আরও একজন প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মনোনয়ন ক্রয়ের দিন হামলা চালিয়ে তার সহকর্মী যুবদল নেতা নান্নার পা ভেঙে দেয় ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা। তিনি বর্তমানে খুলনার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাছাড়া চলমান সন্ত্রাস আর পর পর দু’বারের ভোট ডাকাতির ইতিহাস দেখে এখন আর যোগ্য নেতারা নির্বাচনে নামতে চান না। ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সঙ্গে গোপন আঁতাতের কারণে এমনটা ঘটছে কিনা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এসব অপপ্রচার। আমাদেরকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য আওয়ামী লীগের লোকজন এসব মিথ্যা ছড়াচ্ছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজ বলেন, হামলা আর কাগজপত্র ছিনতাইয়ের যেসব কথা বলা হচ্ছে তা হাস্যকর। কেবল পিরোজপুরেই কেন এমনটা হচ্ছে তা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের খতিয়ে দেখা দরকার। প্রার্থী প্রশ্নে সবরকম যাচাই-বাছাই করে মনোনয়ন দাখিল করতে হয়। এটাই নিয়ম। সেক্ষেত্রে বিএনপির মতো একটি বড় দল একই ভুল বারবার করলে তার দায়-দায়িত্ব নিশ্চই আমরা নেব না। বিষয়টি সম্পর্কে মেয়র মালেকের বক্তব্যও বেশ স্পষ্ট। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এটা বিএনপির সমস্যা। আমার নয়।



 
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র