সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ধনী দেশগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যুগান্তর রিপোর্ট
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:০০:০০ |
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহযোগিতা করার জন্য ধনী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সরকার সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সবার কাছে সমানভাবে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সম্পদের সীমাবদ্ধতা এবং আর্থিক অপ্রতুলতা প্রধান অন্তরায়। এক্ষেত্রে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও উন্নত দেশগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। বুধবার সিঙ্গাপুরে ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা : দ্য পোস্ট ২০১৫ চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের অংশ হিসেবে মন্ত্রী পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে বক্তৃতাদানকালে তিনি একথা বলেন। বৈঠকে চীন, সিঙ্গাপুর, ব্রুনাই, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালায়েশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম এবং সৌদি আরবের মন্ত্রীরা বক্তব্য রাখেন। মোহাম্মদ নাসিম বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, গ্রামের ওয়ার্ড পর্যায়ের জনগণের কাছে বিনামূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যে চালু হওয়া ১৩ হাজার ৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিকের সাফল্য আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। জাতিসংঘের মহাপরিচালকও সম্মেলনে এ কার্যক্রমকে উদাহরণ হিসেবে দেখিয়েছেন। গ্রামের প্রতি ছয় হাজার মানুষের জন্য কমিউনিটি ক্লিনিকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ দেয়া হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রামের রোগীদের জন্য রাজধানীর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ গ্রহণের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী গত সেপ্টেম্বরে গ্রামপর্যায়ে ছয় হাজার চিকিৎসক নিয়োগের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, বাংলাদেশের গ্রামে এখন ডাক্তার সংকট নেই। সম্প্রতি দেশে আরও ১১টি সরকারি মেডিকেল কলেজ কার্যক্রম শুরু করেছে। স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশের এ অর্জনকে আরও ঊর্ধ্বমুখী করতে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে হবে। কিন্তু ১৬ কোটি মানুষের সীমিত সম্পদের দেশে সবার জন্য সমান স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে উন্নত দেশগুলোর সহায়তা প্রয়োজন। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার উদ্যোগকে তাই শুধুমাত্র আলোচনায় সীমাবদ্ধ না রেখে কার্যকর সিদ্ধান্ত, কর্মকৌশল ও বাস্তবায়নে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে আরও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলনে বিশ্বের প্রায় ১৫ দেশের মন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা অংশ নিয়েছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী গত সেপ্টেম্বরে গ্রামপর্যায়ে ছয় হাজার চিকিৎসক নিয়োগের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, বাংলাদেশের গ্রামে এখন ডাক্তার সংকট নেই। সম্প্রতি দেশে আরও ১১টি সরকারি মেডিকেল কলেজ কার্যক্রম শুরু করেছে। স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশের এ অর্জনকে আরও ঊর্ধ্বমুখী করতে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে হবে। কিন্তু ১৬ কোটি মানুষের সীমিত সম্পদের দেশে সবার জন্য সমান স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে উন্নত দেশগুলোর সহায়তা প্রয়োজন। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার উদ্যোগকে তাই শুধুমাত্র আলোচনায় সীমাবদ্ধ না রেখে কার্যকর সিদ্ধান্ত, কর্মকৌশল ও বাস্তবায়নে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে আরও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলনে বিশ্বের প্রায় ১৫ দেশের মন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা অংশ নিয়েছেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ধনী দেশগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যুগান্তর রিপোর্ট
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ১২:০০ এএম |
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহযোগিতা করার জন্য ধনী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সরকার সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সবার কাছে সমানভাবে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সম্পদের সীমাবদ্ধতা এবং আর্থিক অপ্রতুলতা প্রধান অন্তরায়। এক্ষেত্রে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও উন্নত দেশগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। বুধবার সিঙ্গাপুরে ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা : দ্য পোস্ট ২০১৫ চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের অংশ হিসেবে মন্ত্রী পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে বক্তৃতাদানকালে তিনি একথা বলেন। বৈঠকে চীন, সিঙ্গাপুর, ব্রুনাই, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালায়েশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম এবং সৌদি আরবের মন্ত্রীরা বক্তব্য রাখেন। মোহাম্মদ নাসিম বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, গ্রামের ওয়ার্ড পর্যায়ের জনগণের কাছে বিনামূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যে চালু হওয়া ১৩ হাজার ৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিকের সাফল্য আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। জাতিসংঘের মহাপরিচালকও সম্মেলনে এ কার্যক্রমকে উদাহরণ হিসেবে দেখিয়েছেন। গ্রামের প্রতি ছয় হাজার মানুষের জন্য কমিউনিটি ক্লিনিকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ দেয়া হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রামের রোগীদের জন্য রাজধানীর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ গ্রহণের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী গত সেপ্টেম্বরে গ্রামপর্যায়ে ছয় হাজার চিকিৎসক নিয়োগের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, বাংলাদেশের গ্রামে এখন ডাক্তার সংকট নেই। সম্প্রতি দেশে আরও ১১টি সরকারি মেডিকেল কলেজ কার্যক্রম শুরু করেছে। স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশের এ অর্জনকে আরও ঊর্ধ্বমুখী করতে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে হবে। কিন্তু ১৬ কোটি মানুষের সীমিত সম্পদের দেশে সবার জন্য সমান স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে উন্নত দেশগুলোর সহায়তা প্রয়োজন। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার উদ্যোগকে তাই শুধুমাত্র আলোচনায় সীমাবদ্ধ না রেখে কার্যকর সিদ্ধান্ত, কর্মকৌশল ও বাস্তবায়নে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে আরও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলনে বিশ্বের প্রায় ১৫ দেশের মন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা অংশ নিয়েছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী গত সেপ্টেম্বরে গ্রামপর্যায়ে ছয় হাজার চিকিৎসক নিয়োগের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, বাংলাদেশের গ্রামে এখন ডাক্তার সংকট নেই। সম্প্রতি দেশে আরও ১১টি সরকারি মেডিকেল কলেজ কার্যক্রম শুরু করেছে। স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশের এ অর্জনকে আরও ঊর্ধ্বমুখী করতে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে হবে। কিন্তু ১৬ কোটি মানুষের সীমিত সম্পদের দেশে সবার জন্য সমান স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে উন্নত দেশগুলোর সহায়তা প্রয়োজন। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার উদ্যোগকে তাই শুধুমাত্র আলোচনায় সীমাবদ্ধ না রেখে কার্যকর সিদ্ধান্ত, কর্মকৌশল ও বাস্তবায়নে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে আরও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলনে বিশ্বের প্রায় ১৫ দেশের মন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা অংশ নিয়েছেন।