jugantor
ফতুল্লায় স্কুলছাত্র সিয়াম হত্যা মামলায় ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

  ফতুল্লা প্রতিনিধি  

২৬ মার্চ ২০১৫, ০০:০০:০০  | 

ফতুল্লার আলোচিত স্কুলছাত্র সিয়াম হত্যা মামলায় আদালতে ঘাতক ও তার মা-বাবাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে পুলিশ। নাম-ঠিকানা ও সাক্ষ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় চার্জশিট থেকে ৩ জনকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়। ২৯ জনকে সাক্ষী দেখিয়ে বুধবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বরাবর চার্জশিটটি দাখিল করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। চার্জশিটে অভিযুক্তরা হল- ঘাতক মেহেদি মণ্ডল (১৯), তার বাবা ফারুক মণ্ডল (৫০), মা মেরিনা মণ্ডল (৪০), ভ্যানচালক আসলাম (২০), হালিম (২২) ও বিপ্লব (২৭)। এদের মধ্যে চার্জশিটে হালিম ও বিপ্লবকে পলাতক দেখানো হয়েছে। এছাড়া চার্জশিটে ফারুক মণ্ডলের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় ৫টি মামলা, একটি জিডি, মেহেদী মণ্ডলের বিরুদ্ধে ১টি এবং আসলামের বিরুদ্ধে ১টি মামলা দেখানো হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই গোলাম মোস্তফা জানান, ২০১৩ সালের ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মাসদাইর পাকাপুল এলাকায় মোস্তফা মাদবরের ছেলে আদর্শ স্কুলের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র সিয়ামকে (১০) বাড়ির পাশ থেকে একই এলাকার ফারুক মণ্ডলের ছেলে মেহেদী মণ্ডল (১৯) কবুতর নেয়ার কথা বলে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর মেহেদী তাদের বাড়িতে নিয়ে সিয়ামকে পেটে ছুড়িকাঘাত করে হত্যার পর বস্তায় ভরে ভ্যান গাড়িতে করে মুক্তারপুর ব্রিজের ওপর থেকে নিচে ফেলে দেয়। হত্যাকাণ্ডের সময় মেহেদীর বাবা ফারুক মণ্ডল ও মেরিনা মণ্ডল লাশ গুমে সহযোগিতা করে। অন্যরা সঙ্গে ছিল। গ্রেফতারের পর মেহেদী ও আসলাম আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে আদালতে হত্যাকাণ্ডের কারণ জানিয়ে অন্যদের নাম প্রকাশ করে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রথমে এসআই সোহেল আলম মামলাটি তদন্ত করেন। তদন্তকালীন সময় তার অন্যত্রে বদলি হওয়ায় আমি এর দায়িত্ব গ্রহণ করে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি, ভ্যান গাড়িসহ ৬টি আলামত আদালতে জমা দিয়ে তা চার্জশিটে দেখিয়েছি।



সাবমিট

ফতুল্লায় স্কুলছাত্র সিয়াম হত্যা মামলায় ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

 ফতুল্লা প্রতিনিধি 
২৬ মার্চ ২০১৫, ১২:০০ এএম  | 
ফতুল্লার আলোচিত স্কুলছাত্র সিয়াম হত্যা মামলায় আদালতে ঘাতক ও তার মা-বাবাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে পুলিশ। নাম-ঠিকানা ও সাক্ষ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় চার্জশিট থেকে ৩ জনকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়। ২৯ জনকে সাক্ষী দেখিয়ে বুধবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বরাবর চার্জশিটটি দাখিল করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। চার্জশিটে অভিযুক্তরা হল- ঘাতক মেহেদি মণ্ডল (১৯), তার বাবা ফারুক মণ্ডল (৫০), মা মেরিনা মণ্ডল (৪০), ভ্যানচালক আসলাম (২০), হালিম (২২) ও বিপ্লব (২৭)। এদের মধ্যে চার্জশিটে হালিম ও বিপ্লবকে পলাতক দেখানো হয়েছে। এছাড়া চার্জশিটে ফারুক মণ্ডলের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় ৫টি মামলা, একটি জিডি, মেহেদী মণ্ডলের বিরুদ্ধে ১টি এবং আসলামের বিরুদ্ধে ১টি মামলা দেখানো হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই গোলাম মোস্তফা জানান, ২০১৩ সালের ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মাসদাইর পাকাপুল এলাকায় মোস্তফা মাদবরের ছেলে আদর্শ স্কুলের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র সিয়ামকে (১০) বাড়ির পাশ থেকে একই এলাকার ফারুক মণ্ডলের ছেলে মেহেদী মণ্ডল (১৯) কবুতর নেয়ার কথা বলে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর মেহেদী তাদের বাড়িতে নিয়ে সিয়ামকে পেটে ছুড়িকাঘাত করে হত্যার পর বস্তায় ভরে ভ্যান গাড়িতে করে মুক্তারপুর ব্রিজের ওপর থেকে নিচে ফেলে দেয়। হত্যাকাণ্ডের সময় মেহেদীর বাবা ফারুক মণ্ডল ও মেরিনা মণ্ডল লাশ গুমে সহযোগিতা করে। অন্যরা সঙ্গে ছিল। গ্রেফতারের পর মেহেদী ও আসলাম আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে আদালতে হত্যাকাণ্ডের কারণ জানিয়ে অন্যদের নাম প্রকাশ করে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রথমে এসআই সোহেল আলম মামলাটি তদন্ত করেন। তদন্তকালীন সময় তার অন্যত্রে বদলি হওয়ায় আমি এর দায়িত্ব গ্রহণ করে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি, ভ্যান গাড়িসহ ৬টি আলামত আদালতে জমা দিয়ে তা চার্জশিটে দেখিয়েছি।



 
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র