jugantor
ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া পাকিস্তান

   

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০০:০০:০০  | 

প্রথম ম্যাচেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে প্রতিরোধহীন হার। ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। কিন্তু ওয়াকার ইউনুস বলছেন, এক হারেই পাকিস্তানের বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যায়নি। পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ানোর প্রতিশ্র“তি দিলেন পাকিস্তান কোচ। ভারতের কাছে হারের জন্য বড় ম্যাচের চাপ সামলাতে নিজেদের ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন ওয়াকার, ‘আমরা সবাই দেখেছি ভুলটা কোথায় ছিল। আমরা ভালো খেলতে পারিনি। ভারত আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছে, বড় জুটি গড়ে ম্যাচে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। সম্ভবত আমরা একটু বেশিই চাপ নিয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু সবাইকে বুঝতে হবে এটা মাত্র শুরু, এখনও অনেক ম্যাচ বাকি আছে। পরের ম্যাচেই আমরা ঘুরে দাঁড়াব।’ প্রথম ম্যাচের ভুল শুধরে দাঁড়ানোর মিশনে এরই মধ্যে ক্রাইস্টচার্চে চলে এসেছে পাকিস্তান দল। নিউজিল্যান্ডের এ শহরেই শনিবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে তারা। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অপ্রত্যাশিত হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজও ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া। কোয়ার্টার ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে শনিবারের ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্প দেখছেন না ওয়াকার, ‘এই ম্যাচের গুরুত্ব সম্পর্কে আমরা অবগত। আমরা তাই সব ভুলে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়েই মাঠে নামার চেষ্টা করব। জানি এবার আমাদের জিততেই হবে।’ গত মাসে নিউজিল্যান্ডে উড়াল দেয়ার আগে ওয়াকার বলেছিলেন, পাকিস্তান এবার শিরোপার দাবিদার নয়। যা নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল পাকিস্তানে। কাল সেই একই কথা বললেন পাকিস্তান কোচ, ‘আগের বক্তব্য থেকে সরে আসার কোনো কারণ দেখছি না। আমরা এবার ফেভারিট নই। তাতে কোনো ক্ষতিও নেই। এতে বরং খেলোয়াড়দের ওপর থেকে চাপটা কমে যায়।’

ওয়াকারের কোচিংয়ে গত বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে উঠেছিল পাকিস্তান। সেবারও সেমিতে হারতে হয়েছিল ভারতের কাছে। এবার প্রথম ম্যাচেই হার। বিশ্বকাপ মঞ্চে ভারতের কুফা কাটাতে ব্যর্থতার জন্য বাজে ব্যাটিংকেই দায়ী করছেন ওয়াকার, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে এবারও আমাদের ব্যাটিং ক্লিক করেনি। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মাঠে ৩০০ রান খুব বড় টার্গেট নয়। এই রান তাড়া করে জেতা সম্ভব। আমরা পারিনি নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্য।’ জাভেদ মিয়াঁদাদ ও ইমরান খানের মতো সাবেকরা পাকিস্তানের যাচ্ছেতাই হারের জন্য ভুলে ভরা দল নির্বাচনকে দায়ী করেছেন। প্রথম ভুলটা ছিল ইউনুস খানকে দিয়ে ওপেন করানো।

ইউনুস খানকে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষাটা যে ব্যর্থ হয়েছে সেটা স্বীকার করলেন ওয়াকার, ‘ইউনুসকে নিয়ে জুয়াটা সফল হয়নি। একজন সিনিয়র খেলোয়াড়কে বাদ দেয়া খুব কঠিন নয়, কিন্তু বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করা উচিত। ইউনুসকে যখন আমরা তিন বা চার নম্বরে খেলিয়েছি, সে রান পায়নি। এজন্যই ওপেনার হিসেবে তাকে বাজিয়ে দেখার চেষ্টা করা হয়; কিন্তু সেটা কাজে আসেনি।’ এএফপি।



সাবমিট

ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া পাকিস্তান

  
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ১২:০০ এএম  | 
প্রথম ম্যাচেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে প্রতিরোধহীন হার। ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। কিন্তু ওয়াকার ইউনুস বলছেন, এক হারেই পাকিস্তানের বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যায়নি। পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ানোর প্রতিশ্র“তি দিলেন পাকিস্তান কোচ। ভারতের কাছে হারের জন্য বড় ম্যাচের চাপ সামলাতে নিজেদের ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন ওয়াকার, ‘আমরা সবাই দেখেছি ভুলটা কোথায় ছিল। আমরা ভালো খেলতে পারিনি। ভারত আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছে, বড় জুটি গড়ে ম্যাচে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। সম্ভবত আমরা একটু বেশিই চাপ নিয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু সবাইকে বুঝতে হবে এটা মাত্র শুরু, এখনও অনেক ম্যাচ বাকি আছে। পরের ম্যাচেই আমরা ঘুরে দাঁড়াব।’ প্রথম ম্যাচের ভুল শুধরে দাঁড়ানোর মিশনে এরই মধ্যে ক্রাইস্টচার্চে চলে এসেছে পাকিস্তান দল। নিউজিল্যান্ডের এ শহরেই শনিবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে তারা। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অপ্রত্যাশিত হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজও ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া। কোয়ার্টার ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে শনিবারের ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্প দেখছেন না ওয়াকার, ‘এই ম্যাচের গুরুত্ব সম্পর্কে আমরা অবগত। আমরা তাই সব ভুলে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়েই মাঠে নামার চেষ্টা করব। জানি এবার আমাদের জিততেই হবে।’ গত মাসে নিউজিল্যান্ডে উড়াল দেয়ার আগে ওয়াকার বলেছিলেন, পাকিস্তান এবার শিরোপার দাবিদার নয়। যা নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল পাকিস্তানে। কাল সেই একই কথা বললেন পাকিস্তান কোচ, ‘আগের বক্তব্য থেকে সরে আসার কোনো কারণ দেখছি না। আমরা এবার ফেভারিট নই। তাতে কোনো ক্ষতিও নেই। এতে বরং খেলোয়াড়দের ওপর থেকে চাপটা কমে যায়।’

ওয়াকারের কোচিংয়ে গত বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে উঠেছিল পাকিস্তান। সেবারও সেমিতে হারতে হয়েছিল ভারতের কাছে। এবার প্রথম ম্যাচেই হার। বিশ্বকাপ মঞ্চে ভারতের কুফা কাটাতে ব্যর্থতার জন্য বাজে ব্যাটিংকেই দায়ী করছেন ওয়াকার, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে এবারও আমাদের ব্যাটিং ক্লিক করেনি। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মাঠে ৩০০ রান খুব বড় টার্গেট নয়। এই রান তাড়া করে জেতা সম্ভব। আমরা পারিনি নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্য।’ জাভেদ মিয়াঁদাদ ও ইমরান খানের মতো সাবেকরা পাকিস্তানের যাচ্ছেতাই হারের জন্য ভুলে ভরা দল নির্বাচনকে দায়ী করেছেন। প্রথম ভুলটা ছিল ইউনুস খানকে দিয়ে ওপেন করানো।

ইউনুস খানকে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষাটা যে ব্যর্থ হয়েছে সেটা স্বীকার করলেন ওয়াকার, ‘ইউনুসকে নিয়ে জুয়াটা সফল হয়নি। একজন সিনিয়র খেলোয়াড়কে বাদ দেয়া খুব কঠিন নয়, কিন্তু বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করা উচিত। ইউনুসকে যখন আমরা তিন বা চার নম্বরে খেলিয়েছি, সে রান পায়নি। এজন্যই ওপেনার হিসেবে তাকে বাজিয়ে দেখার চেষ্টা করা হয়; কিন্তু সেটা কাজে আসেনি।’ এএফপি।



 
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র