৬৬ বলে অপরাজিত ১৬২। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এবি ডি ভিলিয়ার্সের দানবীয় ইনিংসটি নিয়ে মুগ্ধতার ঘোর এখনও কাটেনি ক্রিকেট রোমান্টিকদের। কিন্তু ডি ভিলিয়ার্স নিজে আছেন অন্য ঘোরের মধ্যে। হাশিম আমলাতে আচ্ছন্ন প্রোটিয়া অধিনায়ক! যতই দেখছেন, ততই মুগ্ধ হচ্ছেন। ডি ভিলিয়ার্সের চোখে আমলা হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার পাহাড়! কাল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আমলার মতো ফাফ ডু প্লেসিসও সেঞ্চুরি করেছেন। শেষদিকে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছেন রিলে রুশো ও ডেভিড মিলার। বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন তিন পেসার- কাইল অ্যাবট, ডেল স্টেইন ও মরনে মরকেল। কিন্তু অধিনায়কের মুখে শুধুই আমলা। আমলার সঙ্গে ‘খুনে ব্যাটিং’ শব্দটা একদমই যায় না। বরাবরই খেলেন বিশুদ্ধ ক্রিকেটীয় শট। তারপরও তার স্নিগ্ধ ব্যাটিং মুগ্ধতাজাগানিয়া। ১৬ চার ও চার ছক্কায় ১২৮ বলে ১৫৯ রানের যে ইনিংসটা কাল খেললেন, তাকে বলা যায় শিল্পিততাণ্ডব। ওয়ানডেতে সবচেয়ে কম ইনিংসে (১০৮) ২০তম সেঞ্চুরি করে আমলা ঢুকে গেছেন ইতিহাসে। তার রানক্ষুধা, ঝলমলে ব্যাটিং আর ধারাবাহিকতায় মুগ্ধ ডি ভিলিয়ার্স, ‘আমলা অন্য জাতের ব্যাটসম্যান। দলের পাহাড় সে। তার ব্যাটিং যেমন দৃষ্টিসুখকর, তেমনি অবিশ্বাস্য। আশা করি, বিশ্বকাপজুড়েই এমন ফর্মে থাকবে আমলা।’ যাকে নিয়ে এত কথা সেই আমলা নিজের কীর্তিকে বড় করে দেখতে নারাজ, ‘সৌভাগ্যক্রমে আমাদের শুরুটা ভালো হয়েছিল। হাতে যথেষ্ট উইকেট থাকায় এভাবে খেলার বিলাসিতা দেখাতে পেরেছি আমরা। প্রতিটি সেঞ্চুরিই সমান গুরুত্বপূর্ণ। আমি শুধু খুশি কিছু রান করতে পেরে।’ দ্বিতীয় উইকেটে আমলা ও ডু প্লেসিসের ২৪৭ রানের যুগলবন্দিই মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছিল আয়ারল্যান্ডকে। আইরিশ অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডও সেটা মেনে নিলেন। কাঁধে ৪১১ রানের বোঝা নিয়ে ২১০ রানেই থেমে যায় তাদের দৌড়। তবে ২০১ রানের বিশাল হারেও আশাহত নন পোর্টারফিল্ড। প্রথম দু’ম্যাচ জেতায় শেষ আটের দৌড়ে ভালোভাবেই আছে আইরিশরা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াতে চান পোর্টারফিল্ড। ওয়েবসাইট।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
আমলায় মুগ্ধ ডি ভিলিয়ার্স
৬৬ বলে অপরাজিত ১৬২। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এবি ডি ভিলিয়ার্সের দানবীয় ইনিংসটি নিয়ে মুগ্ধতার ঘোর এখনও কাটেনি ক্রিকেট রোমান্টিকদের। কিন্তু ডি ভিলিয়ার্স নিজে আছেন অন্য ঘোরের মধ্যে। হাশিম আমলাতে আচ্ছন্ন প্রোটিয়া অধিনায়ক! যতই দেখছেন, ততই মুগ্ধ হচ্ছেন। ডি ভিলিয়ার্সের চোখে আমলা হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার পাহাড়! কাল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আমলার মতো ফাফ ডু প্লেসিসও সেঞ্চুরি করেছেন। শেষদিকে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছেন রিলে রুশো ও ডেভিড মিলার। বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন তিন পেসার- কাইল অ্যাবট, ডেল স্টেইন ও মরনে মরকেল। কিন্তু অধিনায়কের মুখে শুধুই আমলা। আমলার সঙ্গে ‘খুনে ব্যাটিং’ শব্দটা একদমই যায় না। বরাবরই খেলেন বিশুদ্ধ ক্রিকেটীয় শট। তারপরও তার স্নিগ্ধ ব্যাটিং মুগ্ধতাজাগানিয়া। ১৬ চার ও চার ছক্কায় ১২৮ বলে ১৫৯ রানের যে ইনিংসটা কাল খেললেন, তাকে বলা যায় শিল্পিততাণ্ডব। ওয়ানডেতে সবচেয়ে কম ইনিংসে (১০৮) ২০তম সেঞ্চুরি করে আমলা ঢুকে গেছেন ইতিহাসে। তার রানক্ষুধা, ঝলমলে ব্যাটিং আর ধারাবাহিকতায় মুগ্ধ ডি ভিলিয়ার্স, ‘আমলা অন্য জাতের ব্যাটসম্যান। দলের পাহাড় সে। তার ব্যাটিং যেমন দৃষ্টিসুখকর, তেমনি অবিশ্বাস্য। আশা করি, বিশ্বকাপজুড়েই এমন ফর্মে থাকবে আমলা।’ যাকে নিয়ে এত কথা সেই আমলা নিজের কীর্তিকে বড় করে দেখতে নারাজ, ‘সৌভাগ্যক্রমে আমাদের শুরুটা ভালো হয়েছিল। হাতে যথেষ্ট উইকেট থাকায় এভাবে খেলার বিলাসিতা দেখাতে পেরেছি আমরা। প্রতিটি সেঞ্চুরিই সমান গুরুত্বপূর্ণ। আমি শুধু খুশি কিছু রান করতে পেরে।’ দ্বিতীয় উইকেটে আমলা ও ডু প্লেসিসের ২৪৭ রানের যুগলবন্দিই মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছিল আয়ারল্যান্ডকে। আইরিশ অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডও সেটা মেনে নিলেন। কাঁধে ৪১১ রানের বোঝা নিয়ে ২১০ রানেই থেমে যায় তাদের দৌড়। তবে ২০১ রানের বিশাল হারেও আশাহত নন পোর্টারফিল্ড। প্রথম দু’ম্যাচ জেতায় শেষ আটের দৌড়ে ভালোভাবেই আছে আইরিশরা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াতে চান পোর্টারফিল্ড। ওয়েবসাইট।