jugantor
এখনও নির্ঝর
গানের সঙ্গেই তার বসবাস। গান ছাড়া কিছু যেন তার চলে না। সঙ্গীতের বিশাল সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে আজমেরি নির্ঝরের। বিস্তারিত লিখেছেন

  সাদিয়া ন্যান্সি  

০৫ মার্চ ২০১৫, ০০:০০:০০  | 

নৃত্যের মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নির্ঝরের পথচলা শুরু হয়। তবে ছোটবেলা থেকেই তিনি গানের নেশায় ডুবে ছিলেন। দাদি পেয়ারা বেগমের কাছে তার গানের হাতেখড়ি হয়। তার দাদি ছিলেন একজন বেতারের শিল্পী। আর তারই গানের নিয়মিত শ্রোতা ছিলেন নির্ঝর। মাত্র পাঁচ বছর বয়স থেকেই গানের ভুবনে নির্ঝরের আনাগোনা শুরু হয়। এরপর ওস্তাদ গুলক বিহারী ও আজিজুর রহমানের কাছ থেকে তিনি সঙ্গীতে তালিম নেন। এ ছাড়াও এক বছর বাসুদেবের কাছে গানে তালিম নিয়েছেন। গানের পাশাপাশি নাচ, ছবি আঁকা, আবৃত্তি আর ব্যাডমিন্টন খেলায়ও তিনি পারদর্শী। কিন্তু গান যার রক্তে মিশে গেছে তাকে কি সঙ্গীত চর্চা থেকে দূরে রাখা সম্ভব? ২০০৩ সালে বাসুর সুর ও সঙ্গীতে নির্ঝরের প্রথম একক অ্যালবাম ‘পোড়ামুখী’ প্রকাশিত হয়। অ্যালবামের শিরোনামের গানটির পাশাপাশি ‘এখন অনেক রাত’ ও ‘শ্রাবণের রাত’ গানটির জন্য তিনি বেশ প্রশংসিত হন। এ সাফল্যের হাত ধরেই বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিল্পী বনে যান নির্ঝর। বেড়ে যায় তার গানের ব্যস্ততা। ২০০৫ সালে বাজারে আসে তার দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘সূর্যমুখী’। সেই বছরই জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক হাবিব ওয়াহিদের ‘ময়নাগো’ অ্যালবামে ‘দেয়াশলাই কাঠি জ্বালাও’ গানটি দিয়ে তিনি আলোচনার কেন্দ বিন্দু হয়ে ওঠেন। এরপর পড়াশোনার কাজে তিনি ৫ বছরের জন্য বিদেশে পাড়ি জমান। তবে মন পড়ে থাকে দেশের মাটি ও গানের প্রতি। সেখানে থাকা অবস্থায়ই তিনি ‘হৃদয় মিক্স-১’ অ্যালবামের ‘‘জানি একদিন আমি চলে যাব’ গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন। দেশে ফিরে আবারও হৃদয় খানের সুর ও সঙ্গীতে ‘হৃদয় মিক্স-২’ অ্যালবামের জন্য ‘আজকের এই নিশি ভালোবাসি ভালোবাসি’ গানটিতে কণ্ঠ দেন। দুটি গানই শ্রোতামহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। তারই সুবাদে বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলে ও প্লেব্যাকে নির্ঝর ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পড়েন। মোস্তফা সরোয়ার ফারুকীর ‘টেলিভিশন’ ছবিতে হৃদয় খানের সুর-সঙ্গীতে ‘আয়নামহল’ শিরোনামে গানটিতেও নির্ঝর কণ্ঠ দিয়েছেন। এতে তার সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠ দিয়েছেন হৃদয় খান। এরপর একে একে বের হয় নির্ঝরের আরও কয়েকটি অ্যালবাম। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন লাইভ কনসার্ট, টিভি স্টুডিও শো, করেই সময় যাচ্ছে নির্ঝরের। পাশাপাশি একটি অ্যালবাম প্রকাশ করারও কথা রয়েছে তার। এ প্রসঙ্গে নির্ঝও বলেন, ‘গানের সঙ্গে সখ্য বহুদিনের। তাই এখানে থাকতে চাই আরও অনেক সময়। নতুন নতুন গান নিয়ে শ্রোতাদের কাছে আসতে চাই। এবার যে অ্যালবামটি করব তা আসছে ঈদের জন্য। তবে এখনও সেভাবে সবকিছু চূড়ান্ত হয়নি।’ এদিকে কনসার্ট আর টিভি শো ছাড়াও সম্প্রতি রুদ্র মাহফুজের রচনা ও সাখাওয়াত মানিকের পরিচালনায় ধারাবাহিক নাটক ‘মেঘে ঢাকা শহর’ শিরোনামের একটি নাটকের সূচনা সঙ্গীতে কণ্ঠ দিয়েছেন এই সঙ্গীত তারকা। এতে আবারও জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী হাবিবের সঙ্গে জুটি হয়ে গান করেছেন নির্ঝর।


 

সাবমিট

এখনও নির্ঝর

গানের সঙ্গেই তার বসবাস। গান ছাড়া কিছু যেন তার চলে না। সঙ্গীতের বিশাল সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে আজমেরি নির্ঝরের। বিস্তারিত লিখেছেন
 সাদিয়া ন্যান্সি 
০৫ মার্চ ২০১৫, ১২:০০ এএম  | 

নৃত্যের মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নির্ঝরের পথচলা শুরু হয়। তবে ছোটবেলা থেকেই তিনি গানের নেশায় ডুবে ছিলেন। দাদি পেয়ারা বেগমের কাছে তার গানের হাতেখড়ি হয়। তার দাদি ছিলেন একজন বেতারের শিল্পী। আর তারই গানের নিয়মিত শ্রোতা ছিলেন নির্ঝর। মাত্র পাঁচ বছর বয়স থেকেই গানের ভুবনে নির্ঝরের আনাগোনা শুরু হয়। এরপর ওস্তাদ গুলক বিহারী ও আজিজুর রহমানের কাছ থেকে তিনি সঙ্গীতে তালিম নেন। এ ছাড়াও এক বছর বাসুদেবের কাছে গানে তালিম নিয়েছেন। গানের পাশাপাশি নাচ, ছবি আঁকা, আবৃত্তি আর ব্যাডমিন্টন খেলায়ও তিনি পারদর্শী। কিন্তু গান যার রক্তে মিশে গেছে তাকে কি সঙ্গীত চর্চা থেকে দূরে রাখা সম্ভব? ২০০৩ সালে বাসুর সুর ও সঙ্গীতে নির্ঝরের প্রথম একক অ্যালবাম ‘পোড়ামুখী’ প্রকাশিত হয়। অ্যালবামের শিরোনামের গানটির পাশাপাশি ‘এখন অনেক রাত’ ও ‘শ্রাবণের রাত’ গানটির জন্য তিনি বেশ প্রশংসিত হন। এ সাফল্যের হাত ধরেই বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিল্পী বনে যান নির্ঝর। বেড়ে যায় তার গানের ব্যস্ততা। ২০০৫ সালে বাজারে আসে তার দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘সূর্যমুখী’। সেই বছরই জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক হাবিব ওয়াহিদের ‘ময়নাগো’ অ্যালবামে ‘দেয়াশলাই কাঠি জ্বালাও’ গানটি দিয়ে তিনি আলোচনার কেন্দ বিন্দু হয়ে ওঠেন। এরপর পড়াশোনার কাজে তিনি ৫ বছরের জন্য বিদেশে পাড়ি জমান। তবে মন পড়ে থাকে দেশের মাটি ও গানের প্রতি। সেখানে থাকা অবস্থায়ই তিনি ‘হৃদয় মিক্স-১’ অ্যালবামের ‘‘জানি একদিন আমি চলে যাব’ গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন। দেশে ফিরে আবারও হৃদয় খানের সুর ও সঙ্গীতে ‘হৃদয় মিক্স-২’ অ্যালবামের জন্য ‘আজকের এই নিশি ভালোবাসি ভালোবাসি’ গানটিতে কণ্ঠ দেন। দুটি গানই শ্রোতামহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। তারই সুবাদে বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলে ও প্লেব্যাকে নির্ঝর ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পড়েন। মোস্তফা সরোয়ার ফারুকীর ‘টেলিভিশন’ ছবিতে হৃদয় খানের সুর-সঙ্গীতে ‘আয়নামহল’ শিরোনামে গানটিতেও নির্ঝর কণ্ঠ দিয়েছেন। এতে তার সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠ দিয়েছেন হৃদয় খান। এরপর একে একে বের হয় নির্ঝরের আরও কয়েকটি অ্যালবাম। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন লাইভ কনসার্ট, টিভি স্টুডিও শো, করেই সময় যাচ্ছে নির্ঝরের। পাশাপাশি একটি অ্যালবাম প্রকাশ করারও কথা রয়েছে তার। এ প্রসঙ্গে নির্ঝও বলেন, ‘গানের সঙ্গে সখ্য বহুদিনের। তাই এখানে থাকতে চাই আরও অনেক সময়। নতুন নতুন গান নিয়ে শ্রোতাদের কাছে আসতে চাই। এবার যে অ্যালবামটি করব তা আসছে ঈদের জন্য। তবে এখনও সেভাবে সবকিছু চূড়ান্ত হয়নি।’ এদিকে কনসার্ট আর টিভি শো ছাড়াও সম্প্রতি রুদ্র মাহফুজের রচনা ও সাখাওয়াত মানিকের পরিচালনায় ধারাবাহিক নাটক ‘মেঘে ঢাকা শহর’ শিরোনামের একটি নাটকের সূচনা সঙ্গীতে কণ্ঠ দিয়েছেন এই সঙ্গীত তারকা। এতে আবারও জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী হাবিবের সঙ্গে জুটি হয়ে গান করেছেন নির্ঝর।


 

 
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র