মূলত থিয়েটারের মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা রাখেন নাদের চৌধুরী। সেই ১৯৮৪ সাল থেকে ঢাকা পদাতিক থিয়েটার দিয়ে শুরু হয়েছে তার পথ চলা। এখনও থিয়েটার নিয়েই ব্যস্ততা রয়েছে তার। মঞ্চের জনপ্রিয় সব নাটকে অভিনয় করার পাশাপাশি নির্দেশনাও দিয়েছেন এ তারকা। থিয়েটারের কিংবদন্তি এ অভিনেতার নির্দেশনায় ঢাকা পদাতিকের হয়ে ‘জলদস্যু’ নামের নাটকটি এ পর্যন্ত ৪৩ বার প্রদর্শিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ঢাকা পদাতিকে যোগদানের সাত বছর পরেই ১৯৯১ সালে অডিশনের মাধ্যমে বিটিভির তালিকাভুক্ত শিল্পীদের তালিকায় নিজের নামটিও তুলে নেন তিনি। এরপর এ অভিনেতাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রথমদিকে বিটিভির নির্মিত কয়েকটি নাটকের ছোট ছোট কিছু চরিত্রে কাজ করলেও ১৯৯২ সালে এসে বিটিভির বহুল জনপ্রিয়তা পাওয়া নাটক ‘বারো রকম মানুষ’-এ লজিং মাস্টার চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের কাছে একজন টিভি অভিনেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। এরপর বিটিভির নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন এ শিল্পী। মূলত নিজেকে পরখ করে দেখার জন্যই রোমান্টিক এবং কমেডিসহ সব ধরনের চরিত্রেই তিনি কাজ করতেন বলে জানিয়েছেন। বিটিভির নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি থিয়েটারেও তিনি সমানভাবে অভিনয় করতে থাকেন। ফলে এক সময় ঢাকা পদাতিক নাট্যদলের নাটকের নির্দেশনার ভারও তার কাঁধে এসে পড়ে এবং এরপর থেকে থিয়েটার অঙ্গনে পর্যায়ক্রমে পঞ্চাশটিরও বেশি নাটকের নির্দেশনার কাজ করেছেন এ শিল্পী। নিজের অভিনয় এবং নির্মাণের কলাকৌশল শেখার স্কুল হিসেবে ঢাকা পদাতিককেই বেস্ট প্লাটফর্ম মনে করেন এ নাট্য নির্দেশক। মঞ্চ, টিভি এবং চলচ্চিত্র সব ক্ষেত্রেই ব্যস্ত এ অভিনেতা রাজনীতির মাঠেও নিজের প্রতিভার সাক্ষর রেখেছেন। ২০১০ সালে প্রথম নাটক লেখার কাজে হাত দেন। এ বছরই ‘দ্যা মিসিং’ নামের একটি নাটক লিখেন তিনি। নাটকটি সে বছরেই একটি চ্যানেলে প্রচারিত হয়। তিনি রচনা করেন আকাশে আকাশ নামের আরও একটি নাটক। যেখানে তার স্ত্রী শামীমা নাদের বেবি এবং একমাত্র সন্তান নকিব চৌধুরীও অভিনয় করেন। সম্প্রতি প্রথমবারের মতো নির্মাণে এলেন তিনি। নির্মাণ করলেন ‘লালচর’ নামের চলচ্চিত্রটি। ছবিটি আগামী ২৫ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন নির্মাতা। ইমদাদুল হক মিলনের ‘নদী উপাখ্যান’ উপন্যাস অবলম্বনে ‘লালচর’ চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে। সরকারি অনুদানে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটির সহপ্রযোজক হিসেবে আছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। চলচ্চিত্রটি প্রসঙ্গে নাদের চৌধুরী বলেন, ‘নির্মাতা হিসেবে যেহেতু এটা আমার প্রথম চলচ্চিত্র তাই এটি নির্মাণে আমি কোনো ছাড় দেইনি। নিজের সবটুকো দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নির্মাণ করেছি ছবিটি। তাই এটি নিয়ে একটু বেশিই প্রত্যাশা করছি। আশা করছি সিনেমাটি দর্শকদের হলমুখী করবে।’ এছাড়াও লালচরের গল্পে এমনই গাঁথুনি আছে যা দর্শকের মনকে নাড়া দিতে পারবে বলেও তিনি মনে করছেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
নাদের চৌধুরীর একাল-সেকাল
মূলত থিয়েটারের মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা রাখেন নাদের চৌধুরী। সেই ১৯৮৪ সাল থেকে ঢাকা পদাতিক থিয়েটার দিয়ে শুরু হয়েছে তার পথ চলা। এখনও থিয়েটার নিয়েই ব্যস্ততা রয়েছে তার। মঞ্চের জনপ্রিয় সব নাটকে অভিনয় করার পাশাপাশি নির্দেশনাও দিয়েছেন এ তারকা। থিয়েটারের কিংবদন্তি এ অভিনেতার নির্দেশনায় ঢাকা পদাতিকের হয়ে ‘জলদস্যু’ নামের নাটকটি এ পর্যন্ত ৪৩ বার প্রদর্শিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ঢাকা পদাতিকে যোগদানের সাত বছর পরেই ১৯৯১ সালে অডিশনের মাধ্যমে বিটিভির তালিকাভুক্ত শিল্পীদের তালিকায় নিজের নামটিও তুলে নেন তিনি। এরপর এ অভিনেতাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রথমদিকে বিটিভির নির্মিত কয়েকটি নাটকের ছোট ছোট কিছু চরিত্রে কাজ করলেও ১৯৯২ সালে এসে বিটিভির বহুল জনপ্রিয়তা পাওয়া নাটক ‘বারো রকম মানুষ’-এ লজিং মাস্টার চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের কাছে একজন টিভি অভিনেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। এরপর বিটিভির নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন এ শিল্পী। মূলত নিজেকে পরখ করে দেখার জন্যই রোমান্টিক এবং কমেডিসহ সব ধরনের চরিত্রেই তিনি কাজ করতেন বলে জানিয়েছেন। বিটিভির নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি থিয়েটারেও তিনি সমানভাবে অভিনয় করতে থাকেন। ফলে এক সময় ঢাকা পদাতিক নাট্যদলের নাটকের নির্দেশনার ভারও তার কাঁধে এসে পড়ে এবং এরপর থেকে থিয়েটার অঙ্গনে পর্যায়ক্রমে পঞ্চাশটিরও বেশি নাটকের নির্দেশনার কাজ করেছেন এ শিল্পী। নিজের অভিনয় এবং নির্মাণের কলাকৌশল শেখার স্কুল হিসেবে ঢাকা পদাতিককেই বেস্ট প্লাটফর্ম মনে করেন এ নাট্য নির্দেশক। মঞ্চ, টিভি এবং চলচ্চিত্র সব ক্ষেত্রেই ব্যস্ত এ অভিনেতা রাজনীতির মাঠেও নিজের প্রতিভার সাক্ষর রেখেছেন। ২০১০ সালে প্রথম নাটক লেখার কাজে হাত দেন। এ বছরই ‘দ্যা মিসিং’ নামের একটি নাটক লিখেন তিনি। নাটকটি সে বছরেই একটি চ্যানেলে প্রচারিত হয়। তিনি রচনা করেন আকাশে আকাশ নামের আরও একটি নাটক। যেখানে তার স্ত্রী শামীমা নাদের বেবি এবং একমাত্র সন্তান নকিব চৌধুরীও অভিনয় করেন। সম্প্রতি প্রথমবারের মতো নির্মাণে এলেন তিনি। নির্মাণ করলেন ‘লালচর’ নামের চলচ্চিত্রটি। ছবিটি আগামী ২৫ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন নির্মাতা। ইমদাদুল হক মিলনের ‘নদী উপাখ্যান’ উপন্যাস অবলম্বনে ‘লালচর’ চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে। সরকারি অনুদানে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটির সহপ্রযোজক হিসেবে আছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। চলচ্চিত্রটি প্রসঙ্গে নাদের চৌধুরী বলেন, ‘নির্মাতা হিসেবে যেহেতু এটা আমার প্রথম চলচ্চিত্র তাই এটি নির্মাণে আমি কোনো ছাড় দেইনি। নিজের সবটুকো দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নির্মাণ করেছি ছবিটি। তাই এটি নিয়ে একটু বেশিই প্রত্যাশা করছি। আশা করছি সিনেমাটি দর্শকদের হলমুখী করবে।’ এছাড়াও লালচরের গল্পে এমনই গাঁথুনি আছে যা দর্শকের মনকে নাড়া দিতে পারবে বলেও তিনি মনে করছেন।