সিউল-টোকিও ৭০ বছরের বিতর্কের অবসান
দ. কোরীয় ‘যৌনদাসীদের’ ক্ষতিপূরণ দেবে জাপান
যুগান্তর ডেস্ক
২৯ ডিসেম্বর ২০১৫, ০০:০০:০০ |
দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে এক ‘ঐতিহাসিক’ চুক্তি করে দীর্ঘদিনের (৭০ বছর) বিতর্কের অবসান ঘটাল জাপান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় দক্ষিণ কোরিয়ার যে নারীদের জাপানি সৈন্যদের জন্য ‘যৌনদাসী’ হতে বাধ্য করা হয়েছিল, তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়েছে টোকিও। জাপান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার গঠিত তহবিলে ১ বিলিয়ন ইয়েন (৮৩ লাখ ডলার) ক্ষতিপূরণ দেয়ার একটি প্রস্তাব দিয়েছে। খবর বিবিসি ও এএফপির। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কোরিয়ার মহিলাদের ‘যৌনদাসী’ হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করত জাপানের ইম্পেরিয়াল আর্মি। এদের ‘কমফর্ট উইমেন’ বলে ডাকা হতো। ধারণা করা হয়, প্রায় দুই লাখ নারীকে সে সময় যৌন দাসত্বে বাধ্য করা হয়েছিল, যাদের একটি বড় অংশ ছিলেন কোরিয়ার অধিবাসী। এ ধরনের ৪৬ জন যৌনদাসী এখনও জীবিত রয়েছেন। জাপান সেনার এ ধরনের কাজের বিরুদ্ধে বরাবরই আওয়াজ তুলে এসেছেন ওই ‘যৌনদাসীরা’। কিন্তু কোনো সুরাহাই হয়নি। দক্ষিণ কোরিয়া বরাবরই এজন্য জাপানকে ক্ষমাপ্রার্থনার দাবি জানিয়ে আসছে। সোমবার সিউলে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের পর ক্ষতিপূরণের ঐতিহাসিক এ ঘোষণা আসে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের ‘যৌনদাসীদের’ ক্ষতিপূরণের বিষয়ে ১৯৬৫ সালের পর এই প্রথম এ ধরনের কোনো চুক্তিতে আসতে রাজি হলো জাপান। বৈঠকের পর জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সাংবাদিকদের বলেন, তার দেশের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সেসব ঘটনার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, জাপান যদি সত্যিই প্রতিশ্রুতি পূরণ করে, তাহলে তারা ক্ষতিপূরণের ওই প্রস্তাব বিবেচনায় রাজি আছে। দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়াও চীন, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও তাইওয়ানের নারীরাও সে সময় একইভাবে নির্যাতিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সিউল-টোকিও ৭০ বছরের বিতর্কের অবসান
দ. কোরীয় ‘যৌনদাসীদের’ ক্ষতিপূরণ দেবে জাপান
যুগান্তর ডেস্ক
২৯ ডিসেম্বর ২০১৫, ১২:০০ এএম |
দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে এক ‘ঐতিহাসিক’ চুক্তি করে দীর্ঘদিনের (৭০ বছর) বিতর্কের অবসান ঘটাল জাপান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় দক্ষিণ কোরিয়ার যে নারীদের জাপানি সৈন্যদের জন্য ‘যৌনদাসী’ হতে বাধ্য করা হয়েছিল, তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়েছে টোকিও। জাপান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার গঠিত তহবিলে ১ বিলিয়ন ইয়েন (৮৩ লাখ ডলার) ক্ষতিপূরণ দেয়ার একটি প্রস্তাব দিয়েছে। খবর বিবিসি ও এএফপির। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কোরিয়ার মহিলাদের ‘যৌনদাসী’ হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করত জাপানের ইম্পেরিয়াল আর্মি। এদের ‘কমফর্ট উইমেন’ বলে ডাকা হতো। ধারণা করা হয়, প্রায় দুই লাখ নারীকে সে সময় যৌন দাসত্বে বাধ্য করা হয়েছিল, যাদের একটি বড় অংশ ছিলেন কোরিয়ার অধিবাসী। এ ধরনের ৪৬ জন যৌনদাসী এখনও জীবিত রয়েছেন। জাপান সেনার এ ধরনের কাজের বিরুদ্ধে বরাবরই আওয়াজ তুলে এসেছেন ওই ‘যৌনদাসীরা’। কিন্তু কোনো সুরাহাই হয়নি। দক্ষিণ কোরিয়া বরাবরই এজন্য জাপানকে ক্ষমাপ্রার্থনার দাবি জানিয়ে আসছে। সোমবার সিউলে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের পর ক্ষতিপূরণের ঐতিহাসিক এ ঘোষণা আসে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের ‘যৌনদাসীদের’ ক্ষতিপূরণের বিষয়ে ১৯৬৫ সালের পর এই প্রথম এ ধরনের কোনো চুক্তিতে আসতে রাজি হলো জাপান। বৈঠকের পর জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সাংবাদিকদের বলেন, তার দেশের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সেসব ঘটনার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, জাপান যদি সত্যিই প্রতিশ্রুতি পূরণ করে, তাহলে তারা ক্ষতিপূরণের ওই প্রস্তাব বিবেচনায় রাজি আছে। দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়াও চীন, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও তাইওয়ানের নারীরাও সে সময় একইভাবে নির্যাতিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন।