ঘর না সামলে প্রতিবেশী সামলাতে ব্যস্ত ভারত

এলাহী নেওয়াজ খান
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

বেশ কিছুদিন আগে নেপালের ওপর একটি প্রতিবেদন পড়ছিলাম। সেখানে লেখক উল্লেখ করেছেন, ভারতের গণমাধ্যমগুলো দেখলে বোঝাই যায় না, নেপালে ভারতের হস্তক্ষেপ কতটা ভয়াবহ। ঠিক একইভাবে ভারতের যুদ্ধকবলিত রাজ্যগুলোয় কী ঘটছে, তার কোনো খবর আমরা সেখানের কোনো মিডিয়ায় খুঁজে পাই না। এই যে মণিপুর, মিজোরাম, আসাম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, অরুণাচল, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, পাঞ্জাব, কাশ্মীরে কী ঘটছে, তা ভারতীয় গণমাধ্যম দেখে কেউ কিছুই বুঝতে পারবে না। যদিও সম্প্রতি একটি ইউটিউব চ্যানেলে গৌরব ঠাকুর নামে ভারতের এক সাংবাদিকের ‘ইন্ডিয়া ইজ এ্যাট ওয়ার’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনাবলি বর্ণিত হয়েছে।
তিনি তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, ভারতের ২৮টি রাজ্যের মধ্যে ১৫টিতেই যুদ্ধ চলছে। তার প্রতিবেদনে উল্লিখিত প্রায় সব রাজ্যেরই নাম উঠে এসেছে। কিন্তু ভারতের মূলধারার সব মিডিয়া এ ব্যাপারে একদম চুপ। অথচ বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারতের গণমাধ্যমগুলোর হিংস্র প্রতিক্রিয়া দেখে আমরা বুঝতে পারছি, নেপালের মতোই বাংলাদেশে ভারতের হস্তক্ষেপ কত গভীরে ছিল। দেখেশুনে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ যেন ভারতের সঙ্গে চিরকালের একটি গোলামি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়ে আছে। তবে আমরা জানি না, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সে ধরনের কোনো গোপন গোলামি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে আছে কি না।
তবে এটা বোঝা যায়, নেপাল কিংবা নিজের দেশ সম্পর্কে ভারতীয় গণমাধ্যমের একটা রাখঢাক ব্যাপার-স্যাপার থাকলেও বাংলাদেশ নিয়ে তাদের অবস্থান খুব খোলামেলা। জুলাই-আগস্ট বিপ্লব-উত্তর বাংলাদেশের ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে যেভাবে ভারত সরকার ও তার মিডিয়াগুলো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তাতে এটা পরিষ্কার হয়ে যায়, শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে ভারতের প্রতি বাংলাদেশের আনুগত্য ছিল নিরঙ্কুশ। যে কারণে শেখ হাসিনার পতনকে ভারত একদমই মেনে নিতে পারেনি। যদিও ক্ষুদ্র প্রতিবেশীরা বৃহৎ ভারতকে সমীহ করে চলার চেষ্টা করে থাকে, তথাপিও দেশটি সবসময় আগ্রাসী মনোভাব প্রদর্শন করে আসছে। যেন এসব প্রতিবেশী তার করদ রাজ্য। তবে গৌরব ঠাকুরের প্রতিবেদনটা শুনে এমন ধারণাই জন্মেছে, ভারত যতই অভ্যন্তরীণ সংকটে নিপতিত হচ্ছে; ততই প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি তার আগ্রাসি মনোভাব বেপরোয়া রূপ লাভ করছে। অপপ্রচার ও হুমকি-ধমকির ধরন দেখে মনে হচ্ছে, ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হাইব্রিড ওয়ারফেয়ার শুরু করেছে।
এদিকে গৌরব ঠাকুর উল্লেখ করেছেন, আটটি রাজ্যে ভারত সরকারের কর্তৃত্ব নেই বললেই চলে। বিশেষ করে কয়েকটি রাজ্যে তো রীতিমতো রক্তাক্ত যুদ্ধ চলছে। কাশ্মীর ও মণিপুর নিয়ে প্রতিবেদনে যে বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে, তা বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সঙ্গেই তুলনা করা যায়। প্রতিবেদনটি অনুযায়ী, মণিপুরে কুকিসহ বিভিন্ন গেরিলা সংগঠনের প্রায় ৫৫ হাজার প্রশিক্ষিত সৈন্য ভারতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে। তারা অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত। আছে স্টারলিংক কমিউনিকেশন সিস্টেম। মণিপুরের প্রায় ৬০ শতাংশ এলাকা গেরিলাদের দখলে। কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারা শুধু অত্যাধুনিক অস্ত্রই নয়, রীতিমতো আধুনিকতম ড্রোন ব্যবহার করছে। তাদের দখলে রয়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ এলাকা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নাগাল্যান্ড তো প্রায় স্বাধীন। কারণ এ রাজ্যটিতে রয়েছে নিজস্ব পার্লামেন্ট। রয়েছে অর্থ, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তারা আলাদাভাবে স্বাধীনতা দিবস পালন করে। প্রতিবেদনে উল্লিখিত অন্যান্য রাজ্যে সংঘাতের তীব্রতা কাশ্মীর ও মণিপুরের মতো না হলেও ওইসব রাজ্য ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আলাদা রাষ্ট্র করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে ছত্তিশগড়ের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ রাজ্যে চলছে মাওবাদী আন্দোলন। তারা ভারতকে একটি কমিউনিস্ট রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য সশস্ত্র লড়াই করছে। ছত্তিশগড়ে কমিউনিস্ট গরিলারা বিরাট এলাকা দখল করে শাসন করছে। সেখানে ভারত সরকারের শাসন নেই। প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাওবাদীরা বছরে ৬০০ কোটি টাকার মতো ট্যাক্স আদায় করে থাকে। তারা তাদের মতো করে জাতীয় দিবস পালন করে। এ হচ্ছে বর্তমান ভারতের অভ্যন্তরীণ চিত্র। দেশটির ৮০ শতাংশ মানুষই জানে না, তাদের দেশের অভ্যন্তরে কীভাবে রক্তাক্ত সব যুদ্ধ চলছে। মূলধারা তো দূরের কথা, কোনো মিডিয়াই এসব খবর প্রকাশ করে না। অথচ প্রতিবেশী দেশগুলোর অভ্যন্তরের মিথ্যা খবর প্রচারে ভারতীয় মিডিয়ার জুড়ি নেই সারা বিশ্বে।
এ পটভূমিতে এ সিদ্ধান্ত আসা যায়, ভারত এখন নিজের ভেতরের সংকট থেকে জনগণের দৃষ্টিকে অন্য খাতে নিবদ্ধ করার জন্য হিন্দুত্ববাদের উগ্রতাকে চরম পর্যায়ে নিয়ে গেছে। ফলে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর অত্যাচার-নিপীড়ন অতীতের সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। একই সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর বিরুদ্ধে হাইব্রিড যুদ্ধের পথকে বেছে নিয়েছে। তাই নিজের জনগণকে মুগ্ধ করতে তার সেনাবাহিনীকে এমন এক শক্তির আধার হিসাবে প্রদর্শন করতে চায়, যা মানুষের কল্পনাকে হার মানায়। অর্থাৎ পুরাণে বর্ণিত পৌরাণিক শক্তির বাস্তব রূপ নিজের মধ্যে দেখতে চায়। যাকে বলা যায়, অলীক শক্তি। চরম উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর পৌরাণিক শক্তিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার ভাবনাটা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
তাই কল্পিত শক্তিতে বিভোর ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার আজাদ কাশ্মীর দখলের হুমকি দিচ্ছে। পাকিস্তান থেকে বেলুচিস্তান বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদদ দিচ্ছে। বাংলাদেশকে কয়েক টুকরো করার কথা বলছে। বঙ্গোপসাগরের পুরো উপকূল নিজেদের বলে দাবি করছে। সম্প্রতি ভারতের একটি নিউজ পোর্টালে ভুটানকে ভারতের ২৯তম রাজ্য হিসাবে দেখানো হয়েছে। এসব প্রোপাগান্ডার মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিবেশীদের ভয় দেখানো। অথচ নিজের ঘরে জ্বলছে আগুন। দিনদিন তা আরও তীব্র হচ্ছে। গৌরব ঠাকুরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধ চলা অনেক রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসন নেই। যেমন জম্মু-কাশ্মীর, মণিপুর ও ছত্তিশগড়। কিন্তু ভারত তার প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য শক্তি প্রয়োগসহ যে কোনো পন্থা অবলম্বনে হুমকি দিয়ে আসছে। এসবই হাইব্রিড যুদ্ধের বৈশিষ্ট্য।
শুধু প্রতিবেশী দেশগুলো নয়, নিজেকে পরাশক্তি হিসাবে দেখানোর জন্য সুদূর কানাডায় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর সহযোগীরা খালিস্তানপন্থি একজন শিখ নেতাকে হত্যা করে বিশ্বে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এমনকি ‘র’-এর সহযোগীরা যুক্তরাষ্ট্রেও এ ধরনের একটা ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালিয়েছে। ঠান্ডা যুদ্ধের সময় সিআইএ এবং কেজিবির বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ উঠত। কিন্তু ‘র’-এর ওই ধরনের প্রচেষ্টা কার্যত উলটো ফল বয়ে এনেছে। কানাডা ভারতের ওপরে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছে। আমেরিকা রাগান্বিত। বিশেষ করে পঞ্চ চোখ হিসাবে খ্যাত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের সমন্বয়ে গঠিত গোয়েন্দা জোটের সঙ্গে ভারতের দূরত্ব অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
১৩ লাখের মতো বিশাল সেনাবাহিনী নিয়ে ভারতের গৌরবের কোনো শেষ নেই। বিশেষ করে ১৯৬২ সালে চীনের সঙ্গে যুদ্ধে শোচনীয় পরাজয়ের পর ১৯৭১ সালের যুদ্ধে বাংলাদেশে বিশাল বিজয়ে ভারতীয় বাহিনী আত্মবিশ্বাস ফিরে পেলেও অভ্যন্তরীণ সংকট মোকাবিলায় এবং কয়েকটি অভিযানের ব্যর্থতায় বেশ আলোচনার বিষয় হয়ে আছে। তবে ’৭১-এর বিজয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে খুব কৌশলে সিকিম দখল করার ঘটনায় ভারতের সম্প্রসারণবাদী হয়ে ওঠার বিষয়টি প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এটা আরও স্পষ্ট হয়, ১৯৮৭ সালে শ্রীলংকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর শান্তি রক্ষাকারী হিসাবে পদার্পণের মধ্য দিয়ে। যদিও ভারতীয় বাহিনীর নতুন ভূমিকা একটা বড় বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছিল।
সে সময় শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট জয়াবর্ধনের সঙ্গে একটি চুক্তির সুবাদে ভারতীয় সেনাবাহিনী শান্তি রক্ষায় শ্রীলংকায় মোতায়েন হয় এবং নিজের সৃষ্ট এলটিটি গেরিলাদের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। সে সময় কলকাতা থেকে প্রকাশিত আনন্দবাজার গ্রুপের ‘সাপ্তাহিক দেশ’ নামক ম্যাগাজিনে ‘জল-স্থল-অন্তরিক্ষে’ শীর্ষক প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গৌরবগাথা বর্ণনা করে বলা হয়েছিল, ‘নতুন ভূমিকায় ভারতীয় সেনাবাহিনী ভালোই করছে।’ কিন্তু এর কিছুদিন পর একই গ্রুপ থেকে প্রকাশিত ইংরেজি সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন সানডেতে শ্রীলংকায় ভারতীয় বাহিনীর চরম ব্যর্থতার কথা বিধৃত হয়।
ভারত সে সময় শ্রীলংকায় প্রথমে ৭০ হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছিল, যা পরবর্তীকালে এক লাখে পৌঁছায়। তবে মাত্র তিন হাজার তামিল গেরিলাদের সঙ্গে যুদ্ধে নাস্তানাবুদ হয়ে শেষ পর্যন্ত ভারতীয় বাহিনী বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী, ১০ হাজার সৈন্য হারিয়ে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করে। এর আগে ১৯৮৪ সালে আরেকটি অপারেশনে বিপুলসংখ্যক সৈন্য হারানোর বিষয়টি বেশ আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। সেটা ছিল স্বর্ণমন্দিরে ব্লুস্টার অপারেশনের ঘটনা। সেই অভিযানে ভারতীয় সেনাবাহিনী ট্যাংক, হেলিকপ্টার, আর্টিলারি এবং অন্যান্য অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। বিশাল শক্তি নিয়ে ভারতের সেনাবাহিনীর স্বর্ণমন্দির দখল করতে সময় লেগেছিল ১০ দিন। বিখ্যাত ভারতীয় সাংবাদিক কুলদীপ নায়ারের অভিযোগ অনুসারে, সেই অপারেশনে ৭০০-এর মতো ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়েছিল। আহত হয়েছিল আরও অনেক। একটা মন্দির দখলে এত সৈন্য হতাহতের ঘটনা সামরিক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বেশ বিস্ময় সৃষ্টি করেছিল।
সম্প্রতি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল অসীম মনির আবেগঘন এক ভাষণে ভারতের ১৩ লাখ সৈন্যের বিশাল বাহিনীকে তোয়াক্কা না করার ঘোষণা দিয়েছেন। সম্ভবত পাক সেনাপ্রধান এটা বুঝতে পেরেছেন, ভারতীয় বাহিনী বহু বছর ধরে গৃহযুদ্ধকবলিত রাজ্যগুলোয় গেরিলা যোদ্ধাদের মোকাবিলা করতে করতে বড় ধরনের প্রচলিত যুদ্ধের সক্ষমতা অনেকটা হারিয়ে ফেলেছে। অন্যদিকে ভারতীয় বাহিনীর একটা বিরাট অংশকে সবসময় ইনসার্জেন্সিকবলিত রাজ্যগুলোয় মোতায়েন রাখতে হবে। তাছাড়া অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বাংলাদেশ, নেপাল এমনকি মিয়ানমার সীমান্তে অধিক সৈন্য মোতায়েন রাখতে হবে। চীন সীমান্তে তো অবশ্যই। এ প্রেক্ষাপটে ভারতের সামরিক বিশেষজ্ঞরা ‘কোল্ড স্টার্ট ডক্ট্রিন’ এবং হাইব্রিড ওয়ারফেয়ার কৌশল অবলম্বন করেছে।
ভারতের ‘cold start doctrine’-এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে পাকিস্তান। পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ এড়ানোর লক্ষ্যে এ কৌশল প্রণয়ন করা হয়েছে। যার লক্ষ্য দ্রুত কার্যকর করা। আক্রমণ চালিয়ে শত্রুপক্ষের সক্ষমতাকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া। আর হাইব্রিড যুদ্ধের কৌশল হচ্ছে, নানা ধরনের অপপ্রচার চালানো, যা এখন বাংলাদেশের বৃদ্ধি করা হচ্ছে। গোয়েন্দা খবরাখবর রাখা, তথ্য, সাইবার অ্যাটাক, অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি প্রচলিত ও অপ্রচলিত সব পন্থায় শত্রুর বিরুদ্ধে বিজয়ী হওয়া। অর্থাৎ সশস্ত্র যুদ্ধ না করে জয়লাভ করা, যা বর্তমানে নেপাল ও বাংলাদেশ সঙ্গে ভারত করছে। অর্থাৎ বাংলাদেশে এখন ভারতের হাইব্রিড যুদ্ধের শিকার হয়েছে। এটাকে ‘ফিফথ জেনারেশন’ ওয়ারফেয়ার বলা হয়। এ যুদ্ধের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, জনগণের মধ্যে সন্দেহের বীজ বপন করা। সমাজে ভীতি ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা, যেটা ভারত এখন বাংলাদেশে করছে।
এলাহী নেওয়াজ খান : সিনিয়র সাংবাদিক