হালফিল বয়ান
রাজনীতিতে দাবানলের স্মৃতি মনে রাখা জরুরি

ড. মাহফুজ পারভেজ
প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ব্যক্তিজীবনে ও সমাজে যেমন, রাজনীতিতেও তেমনিভাবে দাবানলের স্মৃতি মনে রাখা জরুরি। বিশেষত দাবানল শুরুর পটভূমি কখনোই ভুলে যাওয়া উচিত নয়। মনে রাখা দরকার, যে স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল উদ্ভূত হয়েছিল, তার কথা। উনসত্তরে রাজনৈতিক দাবানল শুরুর স্পার্ক বা স্ফুলিঙ্গ ছিল আসাদের মৃত্যুর ঘটনাটি। তার রক্তমাখা শার্ট নিয়ে প্রতিবাদমুখর বাংলাদেশ একাকার হয়েছিল। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল ড. জোহার মৃত্যু এবং আরও কিছু ছোট ছোট ঘটনা, যার সম্মিলিত রূপ এক ভয়াবহ রাজনৈতিক দাবানল সৃষ্টি করে পাকিস্তানি শাসনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশের বাস্তবতাকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। বাংলাদেশের পরবর্তী রাজনীতিতে আরও অনেক দাবানলের সৃষ্টি হয়েছে ছোট একটি ঘটনা থেকে।
শেখ হাসিনা নানা কায়দায় বড় বড় আন্দোলন থামিয়ে দিয়ে দিব্যি বছরের পর বছর শাসন চালিয়ে গেছেন। শাপলা চত্বরে, পল্টনে সরকার পতনের সম্ভাবনাময় অনেক বিশাল জমায়েত ও আন্দোলন হয়েছে বটে। কিন্তু সেগুলো সফল হয়ে সরকারের পতন ঘটাতে পারেনি। সেসব আন্দোলনকে দাবানলে পরিণত করে গণ-অভ্যুত্থানের সফল ঠিকানায় নেওয়া সম্ভব হয়নি বলেই শেখ হাসিনা সুদীর্ঘ বছর একটানা ক্ষমতা দখল করে থাকতে পেরেছেন। হাসিনার ক্ষমতা যখন প্রায়-নিরঙ্কুশ ও নিশ্চিত, তখন কোটা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মতো একটি অরাজনৈতিক আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ থেকে যে দাবানলের সৃষ্টি হয়, তাতেই তিনি ক্ষমতা ছাড়েন এবং দেশ ছেড়ে পালান।
ফলে রাজনীতির ময়দানে দাবানল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এর স্মৃতি মনে রাখাও জরুরি। কেন মনে রাখতে হবে, তার কারণ দুটি : ১. ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ পাঠ হিসাবে; ২. ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করার শিক্ষা হিসাবে। আমাদের জানা নেই, রাজনীতিকরা, বিশেষত ক্ষমতাসীনরা এসব অত্যাবশ্যকীয় শিক্ষা কতটুকু গ্রহণ করেন কিংবা এসব শিক্ষার গুরুত্ব আদৌ অনুভব করেন কিনা। অতীত থেকে শিক্ষা নিলে চোখের সামনে প্রতিদিন এত এত স্ফুলিঙ্গ জ্বলজ্বল করত না এবং প্রতিনিয়ত দাবানলের আতঙ্ক তৈরি হতো না এবং ঢাকা শহরে নানা কিসিমের আন্দোলন ও বিক্ষোভের ঢেউয়ের মধ্যে বন্দি হয়ে সাধারণ নাগরিকদের প্রাত্যহিক জীবন চালাতে হতো না।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, রাজনৈতিক দাবানলের সূতিকাগার বলা যায় বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গন তথা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোকে। প্রতিটি দাবানলের স্ফুলিঙ্গ প্রজ্বলিত হয়েছিল কোনো না কোনো ক্যাম্পাসে। আন্দোলনের বীজও রোপিত হয়েছিল শিক্ষাঙ্গনেই। সর্বশেষ দৃষ্টান্ত শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পূর্বাপর ঘটনা বিশ্লেষণ করলে তা আরও স্পষ্ট হয়। কোটা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কিছুদিন আগে থেকেই আন্দোলন করছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সে আন্দোলনের দাবিদাওয়া গ্রাহ্য করার বদলে অবজ্ঞা করা হয়েছিল। এমনকি, বহু চেষ্টা করে শিক্ষকরা কর্তৃপক্ষের মনোযোগ আকর্ষণ করতেও সক্ষম হননি। বরং কোনো কোনো নেতাকে নানা পদে বসিয়ে আন্দোলনকে অকার্যকর করার চেষ্টা করে তখনকার সরকার। ফলে সরকারের নেওয়া পেনশন ও উচ্চতর গ্রেডবিষয়ক সিদ্ধান্তের প্রতি ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের কারণে ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় কর্মবিরতিতে ছিলেন তখন। ক্লাস বন্ধ থাকায় ছাত্ররা মনের আনন্দে আন্দোলনে যোগ দেওয়ার পরিস্থিতি পেয়েছিল। পুরো পরিস্থিতিই চলে গিয়েছিল সরকারের বিরুদ্ধে। বৃহত্তর মেরুকরণ হয়েছিল সরকার বনাম আন্দোলনকারীর মধ্যে, যেখানে ছাত্র-শিক্ষক সবাইকেই সচেতন বা অচেতনভাবে সরকার নিজের বিরোধী পক্ষে ঠেলে দিয়েছিল।
অথচ আন্দোলনকারী শিক্ষকদের অধিকাংশই ছিলেন আওয়ামী লীগের সমর্থক। নেতৃত্বেও ছিলেন আওয়ামী অনুসারী শিক্ষক নেতারা। তখন বিরোধী পক্ষের কেউই শিক্ষকদের কোনো ফোরামে নির্বাচিত হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেননি। তার মানে হলো, আওয়ামী লীগ নিজস্ব শিক্ষক-বুদ্ধিজীবীদের শক্তির বড় অংশকে দলের পক্ষে রাখতে পারেনি। সরকারের সেসব ব্যর্থতার মাশুল ক্ষমতা হারিয়ে দিতে হয়েছে।
বর্তমানেও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অনেক পুরোনো দাবির সুরাহা হয়নি এবং আরও অনেক নতুন ক্ষোভ সঞ্চারিত হয়েছে। সরকারকে নৈতিকভাবে সমর্থনকারী নানা দলের শিক্ষকও দলের নীতির কারণে বিভাজিত হয়ে পড়েছেন। কোথাও কোথাও উপাচার্যরা স্বৈরাচারী আচরণ করছেন এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের সঙ্গে লেনদেন ও দহরম-মহরমে লিপ্ত রয়েছেন। ফলে বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিদিনই আন্দোলন হচ্ছে। নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব শিক্ষকদের একটি পুরোনো ব্যাধি। সেটাও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। তাই, বরিশাল, ঢাকা, জগন্নাথই শুধু নয়, দেশের প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই প্রকাশ্য বা সুপ্ত ক্ষোভ বিরাজমান, যার পরিধি প্রতিদিনই বাড়তে দেখা যাচ্ছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে দৃষ্টান্ত দেওয়া যেতে পারে। আন্দোলনের নেতা এক পর্যায়ে পরিষ্কার ভাষায় বলেছিলেন, ‘আমরা এখান থেকে একচুলও সরব না। আমাদের রক্তের ওপরে প্রতিষ্ঠিত যে সরকার যদি চোখ রাঙিয়ে কথা বলে, হুমকি-ধমকি দেয়, যদি স্টিম রোলার চালানোর প্রচেষ্টা করে তাহলে সেটাকে রুখে দেব। এ আন্দোলন তখন কাকরাইল পয়েন্টে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এটা কোথায় যাবে, জানি না, এর দায়-দায়িত্ব আমরা নেব না।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘এ দেশের প্রতিটি নাগরিক তাদের অধিকার প্রত্যাশা করে। তিন দিন ধরে আমার শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে বসে দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করছে। কিন্তু এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সমাধান আসেনি। অথচ চাইলে প্রথম দিনই তার সমাধান করা যেত।’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতা আমাদের মনে রাখতে হবে এবং স্ফুলিঙ্গ থেকে যেন দাবানল সৃষ্টি হতে না পারে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
সরকারপ্রধান সব সমস্যার সমাধান দেবেন-এটাও স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী শাসকের প্রশাসনিক সংস্কৃতি। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের নীতির কারণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কাজগুলো করবে। আরও শেকড়ের দিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা সমস্যার সমাধান দেবেন। যদি শিকড় পর্যায়ে ব্যর্থতা দেখা দেয়, তাহলে ওপরের দিকে চাপ বাড়বেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা, উপাচার্য ও অধ্যক্ষরা, যদি ব্যর্থ হয়ে সব সমস্যা রাজপথে ঠেলে দেন এবং সরকারকে চাপে ফেলেন, তাহলে তারও প্রতিবিধান সরকারকেই করতে হবে। ক্ষমতা বদলের পর নানা ধরনের তদবিরে পদ বাগানো অযোগ্যদের সরিয়ে যোগ্য লোকজন দিতে হবে, যারা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম। এ শুদ্ধিকরণের কাজে সরকার যত বিলম্ব করবে, ততই নানামুখী চাপ তাকে ঘিরে ধরবে এবং বিপদের মাত্রা বাড়তে থাকবে।
এটা ঠিক যে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কিছুদিন পর থেকেই শিক্ষাঙ্গন উত্তপ্ত হচ্ছে। এতে ন্যায্য দাবির আন্দোলন যেমন আছে, সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টাও তেমনিভাবে থাকতে পারে। এজন্য শিক্ষাঙ্গন পরিচালনাকারীদের দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তার পাশাপাশি দরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ। কিন্তু পুলিশ বাহিনী হতোদ্যম হওয়ায় আইনশৃঙ্খলায় ঘাটতি এবং কোথাও কোথাও অনভিজ্ঞ শিক্ষাপ্রশাসক নিয়োগ পাওয়ায় উত্তপ্ত শিক্ষাঙ্গন শান্ত করা যাচ্ছে না। বরং সেখানে প্রতিদিনই তেজ আরও বাড়ছে। যেসব স্ফুলিঙ্গ দাবানলের কারণ হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
সরকার গঠনের প্রায় ৯ মাস হলেও শিক্ষাক্ষেত্রে সামগ্রিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে-এমনটি বলা যায় না। বরং একের পর এক অঘটন ঘটে চলেছে ক্যাম্পাসগুলোতে, যার প্রভাব বৃহত্তর সমাজ ও রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করছে। দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ নিরসন কিংবা ঢাকায় বিভিন্ন কলেজে সংঘর্ষ মোকাবিলায় সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ যেমন অপ্রতুল, তেমনই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অকার্যকর।
একপর্যায়ে শিক্ষা উপদেষ্টার পরিবর্তন হয়েছে। দায়িত্বে এসেই কয়েকটি অস্থিরতা যোগ্যতার সঙ্গে সামাল দিয়েছেন নতুন উপদেষ্টা। তিনি নিজে একজন সফল শিক্ষাবিদ। তার স্ত্রীও নামকরা শিক্ষাবিদ। তদুপরি, বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রের প্রবীণ দিকপাল ড. আশরাফ সিদ্দিকীর তিনি জামাতা। ফলে এ দেশের শিক্ষার সমস্যা ও সম্ভাবনার দিকগুলো তার খুবই স্পষ্টভাবে জানা এবং এসবের সমাধানে তিনি উদ্যোগী ও দরদি ভূমিকা রাখবেন, এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু অযোগ্য প্রশাসকরা যদি নিজেদের ব্যর্থতার মাধ্যমে তার দিকে একের পর এক চ্যালেঞ্জ আসার সুযোগ করে দিতেই থাকেন, তাহলে তিনি কত দিক সামাল দেবেন? তার চেয়ে ভালো, শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে তদবির ও নানা কৌশলে বসে থাকা অযোগ্যদের বিদায় করা। দেশ ও সরকারের স্বার্থে এবং শিক্ষাঙ্গনের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতির প্রয়োজনে এটা করতেই হবে। নইলে অযোগ্যদের কারণে সরকারের সুনাম নষ্ট হবে, ঝুঁকিও বাড়বে।
সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের ঘটনা বিশ্লেষণে এটা স্পষ্ট হয়, এতে প্রশাসনিক শৈথিল্য ছিল প্রকট। কিন্তু অযোগ্যরা নিজেদের দোষ আড়াল করতে একতরফা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব সামনে নিয়ে এসেছেন। আগেও পতিত স্বৈরাচারী সরকার ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে চেয়েছিল। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, শেষ পর্যন্ত তারা সফল হয়নি। নিজে কিছু করতে না পেরে শুধুই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচার করলে তো কাজের কাজ কিছুই হবে না। কোনটা ষড়যন্ত্র সেটা দেখিয়ে তা ব্যর্থ করে দেখানোও তো তাদের দায়িত্ব। শুধু ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বলে বলে হইচই করলে তো কাজের কাজ কিছুই হবে না। কেন এসব হচ্ছে, সেটা চিহ্নিত করে ও থামিয়ে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ রাখতে না পারলে বড় পদ থেকে তাদের বিদায় গ্রহণ করাই শ্রেয়।
সবচেয়ে বেদনার বিষয় হলো, গণ-অভ্যুত্থানের ফ্রন্টলাইনে থাকা ছাত্রনেতা খুন হওয়ার পর যথাযথ আইনি ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়ার বদলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ পর্যায় থেকে তাকে নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হয়েছে। শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ছাত্রদল শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত ধৈর্য ও সহনশীলতার পরিচয় দিয়ে আসছে। নিজেদের ছাত্রনেতা খুনের শিকার হলেও তারা এখনো কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতেই সীমাবদ্ধ থাকছে। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হত্যাকাণ্ডের পর উপাচার্য প্রত্যাশিত ভূমিকা দেখাতে পারেননি বলে এন্তার অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে সহপাঠী খুনের ঘটনায় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সামনে যে চরিত্রে উপাচার্যকে দেখা গেছে, অনেকের মতে, তা অনাকাঙ্ক্ষিত। সমালোচকরা বলছেন, শিক্ষার্থী খুনের ঘটনায় উপাচার্যের শোকাহত হওয়ার কথা ছিল; তিনি হলেন উদ্ধত। তার আচরণ ক্ষমতার দম্ভ প্রকাশ ছাড়া আর কী? এমন দম্ভের কারণে যদি দাবানলের স্ফুলিঙ্গ তৈরি হয়, তখন এর দায়দায়িত্ব কে নেবে?
দম্ভ স্বৈরাচার-ফ্যাসিবাদের অলংকার ছিল; বর্তমান আমলে তা মানায় না-সরকারের তরফে এই বার্তাটি শিক্ষাঙ্গনের কর্তাব্যক্তিদের কাছে পৌঁছানো হলে হয়তো তাদের আচরণ স্বাভাবিক হবে এবং শিক্ষাঙ্গনের অস্থিরতা হ্রাসের ক্ষেত্রে তাদের সঠিক ভূমিকা দেখতে পাওয়া যাবে।
প্রফেসর ড. মাহফুজ পারভেজ : চেয়ারম্যান, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়