পদ্মা সেতুসদৃশ ক্রিমিয়ান ব্রিজ উদ্বোধনের আদ্যোপান্ত
জাকির হোসাইন চৌধুরী, গ্রিস থেকে
২১ জুন ২০২২, ০৩:৪১:১৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০১৫ সালের ১৮ মে নবনির্মিত ক্রিমিয়ান সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
তিনি কের্চ শহরের দিকে ১৯ কিলোমিটার সেতু বরাবর ৩৫টি গাড়ির একটি কাফেলার বা বহরের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য একটি কামাজ ট্রাকের ভিতর বসে নিজেই ট্রাকটি চালিয়ে সেতু পার হন। তিনি ব্রিজ-বিল্ডিং কোম্পানির সিইও এবং এসজিএম-মোস্ট, আলেকজান্ডার অস্ট্রোভস্কিকে তার সাথে সংক্ষিপ্ত এই যাত্রার জন্য একই ট্রাকে আমন্ত্রণ জানান।
ঐতিহাসিক কর্টেজের হাইলাইট নিবন্ধন করার জন্য পুরো ১৯ কিলোমিটার যাত্রার ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছিল সেতুতে স্থাপিত সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ।
১৯ কিলোমিটার সেতুর অপর প্রান্তে ক্রিমিয়ায়, পুতিন একটি সংক্ষিপ্ত ওপেন-এয়ার শোতে অংশ নেওয়ার কথা ছিল সেদিন, তাই সেতু উদ্বোধনীর মাধ্যমে ওপারে কনসার্টে অংশগ্রহণ করেন।
ক্রিমিয়ান সেতু কের্চ পেনিনসুলাকে (ক্রিমিয়া) তামান উপদ্বীপের (ক্রাসনোদর অঞ্চল) সাথে সংযুক্ত করে, রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের ক্রিমিয়ার মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন পরিবহন যোগাযোগ নিশ্চিত করবে। সেতুটি তামান উপদ্বীপ থেকে শুরু হয়েছে, বিদ্যমান পাঁচ কিলোমিটার বাঁধ এবং তুজলা দ্বীপ বরাবর চলে গেছে এবং কের্চ প্রণালি অতিক্রম করেছে। সেতুতে মোটরওয়ের সমান্তরালে একটি রেলপথও রয়েছে, যা পরবর্তীতে ২০১৯ সালে চালু করা হয়েছে ।
ক্রিমিয়ান সেতু কোন ব্যক্তিগত বিনিয়োগ প্রকল্প নয়. সেতুটি সম্পূর্ণরূপে ফেডারেল বাজেট থেকে অর্থায়ন করা হয়, এই ধরনের ক্ষেত্রে, আইন অনুসারে দেশের জনগণের স্বার্থে সেতু পারাপারে কোন টোল আদায় বা ভ্রমণের জন্য কোন অর্থ প্রদান করা হয় না বলে নিশ্চিত করেছেন এফপিইউ "আপডর" তামানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান "রোমান নোভিকভ"।
অতএব, সব ধরনের পরিবহনের জন্য ক্রিমিয়ান সেতুতে ভ্রমণের খরচ বা টোল শূন্য। দীর্ঘ ১৯ কিলোমিটার সেতুটি পাড়ি দিতে প্রায় ১৫ মিনিট সময় লেগেছে । "ক্রিমিয়ান সেতুটি রাশিয়া এবং ক্রিমিয়ার মধ্যে ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে" - মন্তব্য করেছেন ক্রিমিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রধান "সের্গেই আকসিওনভ "।
ইউরোপীয় এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে যে, সেতুটি আজভ সাগরের ইউক্রেনীয় বন্দরে কের্চ স্ট্রেটে সব জাহাজের যাতায়াতকে সীমিত করে রেখেছে। আরো উল্লেখ করেছেন যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ক্রিমিয়া এবং সেভাস্তোপলকে রাশিয়া কর্তৃক অবৈধভাবে দখল করার নিন্দা অব্যাহত রেখেছে এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘনকে কখনই ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন স্বীকৃতি দেবে না।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পদ্মা সেতুসদৃশ ক্রিমিয়ান ব্রিজ উদ্বোধনের আদ্যোপান্ত
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০১৫ সালের ১৮ মে নবনির্মিত ক্রিমিয়ান সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
তিনি কের্চ শহরের দিকে ১৯ কিলোমিটার সেতু বরাবর ৩৫টি গাড়ির একটি কাফেলার বা বহরের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য একটি কামাজ ট্রাকের ভিতর বসে নিজেই ট্রাকটি চালিয়ে সেতু পার হন। তিনি ব্রিজ-বিল্ডিং কোম্পানির সিইও এবং এসজিএম-মোস্ট, আলেকজান্ডার অস্ট্রোভস্কিকে তার সাথে সংক্ষিপ্ত এই যাত্রার জন্য একই ট্রাকে আমন্ত্রণ জানান।
ঐতিহাসিক কর্টেজের হাইলাইট নিবন্ধন করার জন্য পুরো ১৯ কিলোমিটার যাত্রার ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছিল সেতুতে স্থাপিত সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ।
১৯ কিলোমিটার সেতুর অপর প্রান্তে ক্রিমিয়ায়, পুতিন একটি সংক্ষিপ্ত ওপেন-এয়ার শোতে অংশ নেওয়ার কথা ছিল সেদিন, তাই সেতু উদ্বোধনীর মাধ্যমে ওপারে কনসার্টে অংশগ্রহণ করেন।
ক্রিমিয়ান সেতু কের্চ পেনিনসুলাকে (ক্রিমিয়া) তামান উপদ্বীপের (ক্রাসনোদর অঞ্চল) সাথে সংযুক্ত করে, রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের ক্রিমিয়ার মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন পরিবহন যোগাযোগ নিশ্চিত করবে। সেতুটি তামান উপদ্বীপ থেকে শুরু হয়েছে, বিদ্যমান পাঁচ কিলোমিটার বাঁধ এবং তুজলা দ্বীপ বরাবর চলে গেছে এবং কের্চ প্রণালি অতিক্রম করেছে। সেতুতে মোটরওয়ের সমান্তরালে একটি রেলপথও রয়েছে, যা পরবর্তীতে ২০১৯ সালে চালু করা হয়েছে ।
ক্রিমিয়ান সেতু কোন ব্যক্তিগত বিনিয়োগ প্রকল্প নয়. সেতুটি সম্পূর্ণরূপে ফেডারেল বাজেট থেকে অর্থায়ন করা হয়, এই ধরনের ক্ষেত্রে, আইন অনুসারে দেশের জনগণের স্বার্থে সেতু পারাপারে কোন টোল আদায় বা ভ্রমণের জন্য কোন অর্থ প্রদান করা হয় না বলে নিশ্চিত করেছেন এফপিইউ "আপডর" তামানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান "রোমান নোভিকভ"।
অতএব, সব ধরনের পরিবহনের জন্য ক্রিমিয়ান সেতুতে ভ্রমণের খরচ বা টোল শূন্য। দীর্ঘ ১৯ কিলোমিটার সেতুটি পাড়ি দিতে প্রায় ১৫ মিনিট সময় লেগেছে । "ক্রিমিয়ান সেতুটি রাশিয়া এবং ক্রিমিয়ার মধ্যে ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে" - মন্তব্য করেছেন ক্রিমিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রধান "সের্গেই আকসিওনভ "।
ইউরোপীয় এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে যে, সেতুটি আজভ সাগরের ইউক্রেনীয় বন্দরে কের্চ স্ট্রেটে সব জাহাজের যাতায়াতকে সীমিত করে রেখেছে। আরো উল্লেখ করেছেন যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ক্রিমিয়া এবং সেভাস্তোপলকে রাশিয়া কর্তৃক অবৈধভাবে দখল করার নিন্দা অব্যাহত রেখেছে এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘনকে কখনই ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন স্বীকৃতি দেবে না।