শুধু বাইক নিয়ে চলল ফেরি!
পদ্মায় চলল ফেরি কুঞ্জলতা। কর্তৃপক্ষের জরুরি সিদ্ধান্তে শুধুমাত্র মোটরবাইক পারাপারের লক্ষ্যে সাময়িকভাবে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে শিমুলিয়া থেকে ফেরিটি ছাড়া হয়।
এদিকে সেতু পারাপারের নিয়ম মানাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন ও সেতু কর্তৃপক্ষ। কেউ যাতে গাড়ি থেকে সেতুতে না নামে ও ছবি না তোলে, সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে। সেতুর ওপর অনিয়ম থেকে বিরত থাকার জন্য করা হচ্ছে মাইকিং। নজরদারি রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের।
এর আগে রোববার সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হওয়ার প্রথম দিন সেতুতে মোটরবাইকের ব্যাপক আধিক্যতায় সেতুতে ঘটে নানা অনিয়ম ও দুর্ঘটনা। সেতুতে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় মোটরযানের চালক ও আরোহীসহ দুইজন। রাতেই সেতু বিভাগ তথ্য অধিদফতরের এক তথ্য বিবরণীতে পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ঘোষণা দেয়।
সোমবার সকাল থেকে সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপার বন্ধ হয়ে গেলে কিছু সংখ্যক বাইকার সেতুর টোলপ্লাজায় জড়ো হয়। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাইকারদের বুঝিয়ে ফেরি কুঞ্জলতায় পদ্মা পারাপার করা হয়।
বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ ও কাউন্টার স্টাফ রফিকুল ইসলাম জানান, জরুরি প্রয়োজনের কারণে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আপাতত সাময়িকভাকে শিমুলিয়া ৩নং ফেরিঘাট থেকে ১১৯টি মোটরসাইকেল নিয়ে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে কে-টাইপ ফেরি কুঞ্জলতা মাঝিকান্দি ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
এছাড়াও ফরিদপুর নামে আরও একটি ফেরি ঘাটেই উপস্থিত রয়েছে। পর্যাপ্ত মোটরযান থাকলে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী এটিও ছাড়া হতে পারে। তবে মাঝিকান্দি ঘাট থেকে বেলা সোয়া ১টা পর্যন্ত কোনো ফেরি ছাড়া হয়নি বলে তারা নিশ্চিত করেছেন।
পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব রক্ষার্থে ব্যবহারকারীদের জন্য কিছু নির্দেশনা গত ২৩ জুন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে। এতে বলা হয়েছে- পদ্মা সেতুর ওপর অনুমোদিত গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। পদ্মা সেতুর ওপর যে কোনো ধরনের যানবাহন দাঁড়ানো ও যানবাহন থেকে নেমে সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে ছবি তোলা-হাঁটা সম্পূর্ণ নিষেধ।
শনিবার (২৫ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন। এর পরপরই শনিবার দিবাগত রাতেই পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে হুমড়ি খেয়ে পড়ে বিপুলসংখ্যক মোটরবাইক। এছাড়াও সেতু পারাপারের জন্য বাস, ছোট গাড়িসহ পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ভ্রমণ গ্রুপের বাস সেতু পার হওয়ার জন্য টোলপ্লাজার সামনে আসে। এতে রাত থেকে সেতুর দুই প্রান্তে গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা দেয়।
রোববার ভোর ৬টা থেকে সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হলে সেতু পাড়ি দেওয়ার সময় দিনভর ও রাতের বেলায় আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন বাইকাররা। প্রথম দিন থাকায় নিয়ম ভঙ্গ করে বেশিরভাগ মোটরযানের আরোহী ও চালকেরা ও ছোট গাড়ির অনেকেই সেতুর মাঝপথে নেমে সেলফি তোলা, টিকটক ভিডিও বানানো, হেঁটে বেড়ানোসহ নানা অনিয়ম করে। রাতে সেতুতে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটলে দুজন মারাত্মক আহত হন। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেলে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
শুধু বাইক নিয়ে চলল ফেরি!
পদ্মায় চলল ফেরি কুঞ্জলতা। কর্তৃপক্ষের জরুরি সিদ্ধান্তে শুধুমাত্র মোটরবাইক পারাপারের লক্ষ্যে সাময়িকভাবে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে শিমুলিয়া থেকে ফেরিটি ছাড়া হয়।
এদিকে সেতু পারাপারের নিয়ম মানাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন ও সেতু কর্তৃপক্ষ। কেউ যাতে গাড়ি থেকে সেতুতে না নামে ও ছবি না তোলে, সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে। সেতুর ওপর অনিয়ম থেকে বিরত থাকার জন্য করা হচ্ছে মাইকিং। নজরদারি রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের।
এর আগে রোববার সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হওয়ার প্রথম দিন সেতুতে মোটরবাইকের ব্যাপক আধিক্যতায় সেতুতে ঘটে নানা অনিয়ম ও দুর্ঘটনা। সেতুতে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় মোটরযানের চালক ও আরোহীসহ দুইজন। রাতেই সেতু বিভাগ তথ্য অধিদফতরের এক তথ্য বিবরণীতে পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ঘোষণা দেয়।
সোমবার সকাল থেকে সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপার বন্ধ হয়ে গেলে কিছু সংখ্যক বাইকার সেতুর টোলপ্লাজায় জড়ো হয়। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাইকারদের বুঝিয়ে ফেরি কুঞ্জলতায় পদ্মা পারাপার করা হয়।
বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ ও কাউন্টার স্টাফ রফিকুল ইসলাম জানান, জরুরি প্রয়োজনের কারণে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আপাতত সাময়িকভাকে শিমুলিয়া ৩নং ফেরিঘাট থেকে ১১৯টি মোটরসাইকেল নিয়ে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে কে-টাইপ ফেরি কুঞ্জলতা মাঝিকান্দি ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
এছাড়াও ফরিদপুর নামে আরও একটি ফেরি ঘাটেই উপস্থিত রয়েছে। পর্যাপ্ত মোটরযান থাকলে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী এটিও ছাড়া হতে পারে। তবে মাঝিকান্দি ঘাট থেকে বেলা সোয়া ১টা পর্যন্ত কোনো ফেরি ছাড়া হয়নি বলে তারা নিশ্চিত করেছেন।
পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব রক্ষার্থে ব্যবহারকারীদের জন্য কিছু নির্দেশনা গত ২৩ জুন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে। এতে বলা হয়েছে- পদ্মা সেতুর ওপর অনুমোদিত গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। পদ্মা সেতুর ওপর যে কোনো ধরনের যানবাহন দাঁড়ানো ও যানবাহন থেকে নেমে সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে ছবি তোলা-হাঁটা সম্পূর্ণ নিষেধ।
শনিবার (২৫ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন। এর পরপরই শনিবার দিবাগত রাতেই পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে হুমড়ি খেয়ে পড়ে বিপুলসংখ্যক মোটরবাইক। এছাড়াও সেতু পারাপারের জন্য বাস, ছোট গাড়িসহ পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ভ্রমণ গ্রুপের বাস সেতু পার হওয়ার জন্য টোলপ্লাজার সামনে আসে। এতে রাত থেকে সেতুর দুই প্রান্তে গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা দেয়।
রোববার ভোর ৬টা থেকে সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হলে সেতু পাড়ি দেওয়ার সময় দিনভর ও রাতের বেলায় আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন বাইকাররা। প্রথম দিন থাকায় নিয়ম ভঙ্গ করে বেশিরভাগ মোটরযানের আরোহী ও চালকেরা ও ছোট গাড়ির অনেকেই সেতুর মাঝপথে নেমে সেলফি তোলা, টিকটক ভিডিও বানানো, হেঁটে বেড়ানোসহ নানা অনিয়ম করে। রাতে সেতুতে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটলে দুজন মারাত্মক আহত হন। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেলে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।