মনোনয়ন পেয়েই শহীদ জিয়ার মাজার জিয়ারত
হবিগঞ্জে ফিরেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বাড়ি গেলেন জিকে গউছ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:০৬ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মনোনয়ন পেয়েই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউছ। এরপরই তিনি হবিগঞ্জে নিজ এলাকায় ফিরেন।
সন্ধ্যায় এলাকায় পৌঁছেই প্রথমে মা-বাবার কবর জিয়ারত করেছেন। রাতে তিনি ছুটে যান হবিগঞ্জ-৩ (সদর-লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জ) আসনে অপর দুই মনোনয়ন প্রত্যাশীর বাসায়। তাদের সহযোগিতা ও দোয়া চান।
মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও তাকে ধানের শীষ তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষকে জয়ী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তারা হলেন- জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা ড্যাব সভাপতি ডা. আহমুদুর রহমান আবদাল এবং জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. এনামুল হক সেলিম।
এ বিষয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাডভোকেট মো. এনামুল হক সেলিম বলেন, মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকারের সময় আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সবার ঐক্যবদ্ধতা, দেশ ও দলের স্বার্থে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করার কোনো বিকল্প নেই এ প্রতিশ্রুতি আমাদের সবার কাছ থেকে নিয়েছেন। আমাদের মধ্যে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা আছে কিন্তু প্রতিহিংসা নেই। বিশেষ করে হবিগঞ্জে। যেহেতু দল সিদ্ধান্ত দিয়েছে, তাই আমরা জেলার সব আসনে বিশেষ করে হবিগঞ্জ-৩ আসনে জাতীয়তাবাদী দলের প্রতীক ধানের শীষকে বিজয়ী করতে সর্বাত্মক চেষ্টা ও সহযোগিতা থাকবে। অতীতেও ছিল, বর্তমানেও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।
হবিগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউছ বলেন, আমরা বৃহত্তর রাজনৈতিক দলের কর্মী। আমাদের মধ্যে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা আছে কিন্তু কোনো প্রতিহিংসা নাই। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে নির্দেশনা দিয়েছেন সেই নির্দেশনা মেনে ধানের শীষকে বিজয়ী করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। সেজন্য আমরা ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যতবার ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে, ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে ততবারই বিএনপি সরকার গঠন করেছে। এবারও আমরা আশা করছি এই অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু ভোট হবে। মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাবেন। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমরা আশা করছি বিপুল ভোটের ব্যবধানে আমরা জয়ী হয়ে ২৪-এর যে মূল লক্ষ্য তা বাস্তবায়ন করতে পারব। এবারের নির্বাচনে আমি আশা করি জেলার ৪টি আসনই আমরা জয়ী হয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং জননেতা তারেক রহমানকে উপহার দিতে পারব।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ছাত্রদল, যুবদল হয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন জিকে গউছ। বর্তমানে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক। অল্প বয়সেই তিনি হবিগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান এবং পরবর্তীতে মেয়র নির্বাচিত হন। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে। বছর ঘুরতেই গণমানুষের নেতায় পরিণত হন তিনি। পলাতক শেখ হাসিনা সরকারের আমলে কারাগারে ছিলেন প্রায় ১ হাজার ৬শ দিন। কারাগারে থেকেই মেয়র পদে একবার জয়ীও হয়েছিলেন তিনি। ওই নির্বাচনে অধিকাংশ কেন্দ্রে তার এজেন্টও দিতে পারেননি। আর সেই থেকেই তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে উঠে।
২০১৮ সালে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনও করেছেন। এবারও তার ওপরই ভরসা রেখেছে বিএনপি। বছরের পর বছর ধরেই তিনি নির্বাচন কেন্দ্রিক এবং দলকে সুসংগঠিত করার জন্য কাজ করেছেন।
এ আসনে এবার আরও তিনজন মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন তারা হচ্ছেন- রাষ্ট্রপতির সাবেক উপদেষ্টা এম মুখলেছুর রহমান চৌধুরী, বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. এনামুল হক সেলিম ও ড্যাব সভাপতি ডা. আহমুদুর রহমান আবদাল।
