Logo
Logo
×

রাজনীতি

ভারতের কনসার্ন নিয়ে আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই না: হাসনাত আবদুল্লাহ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৭ পিএম

ভারতের কনসার্ন নিয়ে আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই না: হাসনাত আবদুল্লাহ

হাসনাত আবদুল্লাহ। ফাইল ছবি

ভারতের কনসার্ন নিয়ে আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে প্রথম শহীদ রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সাক্ষীর জবানবন্দি পেশ করার পর ট্রাইব্যুনালের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

হাসনাত বলেন, মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করার মধ্য দিয়ে, ব্যুরোক্রেসিকে নিয়ন্ত্রণ করার মধ্য দিয়ে, মিলিটারিকে নিয়ন্ত্রণ করার মধ্য দিয়ে, পাশের দেশ ভারতের কনসার্ন নিয়ে আমরা কোনো ক্ষমতায় যেতে চাই না।

আপনারা কি ক্ষমতায় যেতে চাচ্ছেন না? এমন প্রশ্নের জবাবে হাসনাত বলেন, ক্ষমতায় যেতে চাই। আমরা জনগণকে নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চাই। কোন আনহোলি নেক্সাসকে, ম্যানেজ করে আমরা কোনো কন্ট্রোলডভাবে ক্ষমতায় যেতে চাই না।

এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জনগণ যদি আমাদেরকে ম্যান্ডেট দেয়, জনগণকে যদি মনে করে আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার উপযোগী আমরা যেতে চাই।


জবানবন্দির বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই সারা বাংলাদেশে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন ছাত্র-জনতা। ওই দিন রংপুরে আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। চট্টগ্রামে ওয়াসিমকে হত্যা করে ছাত্রলীগ। একই দিন ছয়জন শিক্ষার্থী শহীদ হন। এর প্রতিক্রিয়া জানাতে ১৭ জুলাই আমরা গায়েবানা জানাজা করতে গেলে চাপ দেয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেদিন রাতেই আমাদের বাসা থেকে তুলে নিয়ে পদ্মায় নেওয়া হয়। কর্মসূচি প্রত্যাহারের জন্য আমাদের নানাভাবে বোঝানো হয়। কিন্তু আমরা মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক প্রত্যাখ্যান করি। এক ঘণ্টা পর আমাদের সামনে দিয়েই তিনজন মন্ত্রী বের হয়ে যান। অর্থাৎ আমরা কোনো বৈঠক করিনি।

তিনি আরও বলেন, ওই দিন রাতেই বৈঠক করাতে ব্যর্থ হয়ে আমাদের মৎস্য ভবনের সামনে সেফ হাউসে নেওয়া হয়। মৎস্য ভবন ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মধ্যে একটা ঘর আছে বাইরে থেকে পরিত্যক্ত মনে হয়। কিন্তু ভেতরে আধুনিক ব্যবস্থাপনা ছবি রয়েছে। যেটাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা এজেন্সির ভাষায় সেফ হাউস নামে ডাকা হয়। সেখানে আমাদের রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। চাপ প্রয়োগ করা হয়। পরিবারকে জিম্মি করা হয়। স্থানীয়ভাবে ছাত্রলীগ দিয়ে পরিবারকে হেনস্তা করা হয় এবং বৈঠকে বসার জন্য আমাদের চাপ প্রয়োগ করা হয়। সেদিন সকালে এজেন্সির একজন আমাদের হুমকি দেন যে, আমরা যেন বৈঠক করে সারা দেশের সামনে বলি আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছি। তাহলে আমাদের লাইফ সেটেল করে দেবে। তবে আমরা রাজি হইনি।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম