ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
আসন ভাগাভাগি নিয়ে মিত্রদের সঙ্গে এক ধরনের ‘টানাপোড়েন’ চলছে বিএনপির। এর মধ্যেই আগামীকাল বুধবার বৈঠক ডেকেছে মিত্ররা। রাজধানীর পল্টনে নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, গণঅধিকার পরিষদ, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, নেজামে ইসলামী পার্টি ও গণফোরামের শীর্ষ নেতারা অংশ নেবেন। এছাড়াও আরও দু-একটি দলের অংশগ্রহণের কথা রয়েছে।
বৈঠকের বিষয়টি যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন একটি জোট ও তিনটি দলের শীর্ষ নেতা। তবে তারা কখন বৈঠক করবেন তা বলতে রাজি হননি।
চলতি সপ্তাহে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার কথা রয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘এই সপ্তাহে তফশিল হয়ে যাবে।’
নির্বাচন সামনে রেখে গত ৩ নভেম্বর প্রথম পর্যায়ে ২৩৭ আসনে দলের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছিল বিএনপি। এর এক মাস পর গত ৪ ডিসেম্বর আরও ৩৬ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। সে হিসাবে মোট ২৭২ আসনে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে বিএনপি। এখন ফাঁকা রয়েছে আরও ২৮টি আসন। বিএনপি থেকে বলা হয়েছে, এই ফাঁকা আসনগুলোর বেশিরভাগ মূলত শরিকরাই নির্বাচন করবেন।
ফ্যাসিবাদবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের মিত্রদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির চাওয়া অনুযায়ী দল ও জোটের প্রার্থী তালিকা জমা দিলেও তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই ২৭২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তারা বিস্মিত, অনেকে ক্ষুব্ধও। দুই দফায় ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় অন্তত ছয়টি আসনে ‘অনিবন্ধিত’ মিত্ররা ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
তবে বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, মিত্রদের সঙ্গে কোনো ধরনের টানাপোড়েন চায় না বিএনপি। মিত্রদের যথাযথ মূল্যায়ন করবে দলটি। সেজন্য ঐক্য ঠিক রেখে এর সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বিএনপির ওই সূত্র জানিয়েছে।
