ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাকস্বাধীনতাবিরোধী: রিজভী
যুগান্তর রিপোর্ট
৩০ জানুয়ারি ২০১৮, ১৪:৪৫:৩৭ | অনলাইন সংস্করণ
বহুল আলোচিত আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা বাতিল করে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ খসড়াকে ইতিহাসের কালো আইন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমদে।
তিনি বলেন, বহুল আলোচিত নিপীড়নমূলক আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭সহ ৫টি ধারা বিলুপ্ত করে গতকাল সোমবার ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ এর খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। যা আরও একটি কালো আইন হিসেবে ইতিহাসে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এ আইনটি পাস হলে মানুষের বাকস্বাধীনতা বলে কিছুই থাকবে না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বলেও কিছু থাকবে না।
খসড়ায় জাতির পিতা, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডা, প্রচারণায় দেয়ার শাস্তি যাবজ্জীবন বা এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা রয়েছে।
এ বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির। তিনি বলেন, মানুষের বাকস্বাধীনতা হরণ করার জন্যই সরকার এ আইনটি করছে।
অনুমোদন পাওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ‘কম্পিউটার বা ডিজিটাল গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ’ সংক্রান্ত ৩২ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি বেআইনি প্রবেশের মাধ্যমে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থার কোনো ধরনের গোপনীয় বা অতি গোপনীয় তথ্য-উপাত্ত কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ধারণ, প্রেরণ বা সংরক্ষণ করেন বা সংরক্ষণে সহায়তা করেন তাহলে কম্পিউটার বা ডিজিটাল গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ বলে গণ্য হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শাস্তি অনধিক ১৪ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। আর এই অপরাধ যদি একই ব্যক্তি দ্বিতীয়বার করেন বা বারবার করেন তাহলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’
এ বিষয়টি নিয়ে রিজভী বলেন, ৫৭ ধারা বিলুপ্ত করা হলেও প্রস্তাবিত আইনের ৩২ ধারায় হয়রানিমূলক। এ আইনে বাকস্বাধীনতাকে অপরাধে পরিণত করা হয়েছে।
এ সময় নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংসদে পাস করা থেকে বিরত থাকার দাবি জানান রিজভী।
নির্বাচন কমিশেনর সমালোচনা করে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, কমিশন আওয়ামী সরকারের প্রদর্শিত পথে হেঁটে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে না রাখার ফলে নির্বাচনী মাঠ সমতল হবে না বলেও মনের করেন তিনি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাকস্বাধীনতাবিরোধী: রিজভী
বহুল আলোচিত আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা বাতিল করে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ খসড়াকে ইতিহাসের কালো আইন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমদে।
তিনি বলেন, বহুল আলোচিত নিপীড়নমূলক আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭সহ ৫টি ধারা বিলুপ্ত করে গতকাল সোমবার ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ এর খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। যা আরও একটি কালো আইন হিসেবে ইতিহাসে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এ আইনটি পাস হলে মানুষের বাকস্বাধীনতা বলে কিছুই থাকবে না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বলেও কিছু থাকবে না।
খসড়ায় জাতির পিতা, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডা, প্রচারণায় দেয়ার শাস্তি যাবজ্জীবন বা এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা রয়েছে।
এ বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির। তিনি বলেন, মানুষের বাকস্বাধীনতা হরণ করার জন্যই সরকার এ আইনটি করছে।
অনুমোদন পাওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ‘কম্পিউটার বা ডিজিটাল গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ’ সংক্রান্ত ৩২ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি বেআইনি প্রবেশের মাধ্যমে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থার কোনো ধরনের গোপনীয় বা অতি গোপনীয় তথ্য-উপাত্ত কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ধারণ, প্রেরণ বা সংরক্ষণ করেন বা সংরক্ষণে সহায়তা করেন তাহলে কম্পিউটার বা ডিজিটাল গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ বলে গণ্য হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শাস্তি অনধিক ১৪ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। আর এই অপরাধ যদি একই ব্যক্তি দ্বিতীয়বার করেন বা বারবার করেন তাহলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’
এ বিষয়টি নিয়ে রিজভী বলেন, ৫৭ ধারা বিলুপ্ত করা হলেও প্রস্তাবিত আইনের ৩২ ধারায় হয়রানিমূলক। এ আইনে বাকস্বাধীনতাকে অপরাধে পরিণত করা হয়েছে।
এ সময় নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংসদে পাস করা থেকে বিরত থাকার দাবি জানান রিজভী।
নির্বাচন কমিশেনর সমালোচনা করে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, কমিশন আওয়ামী সরকারের প্রদর্শিত পথে হেঁটে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে না রাখার ফলে নির্বাচনী মাঠ সমতল হবে না বলেও মনের করেন তিনি।