এখন কোনো কিছু প্রধানমন্ত্রীর বাইরে হয় না: রিজভী
যুগান্তর রিপোর্ট
২২ আগস্ট ২০২০, ১৭:২৫:১১ | অনলাইন সংস্করণ
এখন কোনো কিছু প্রধানমন্ত্রীর বাইরে হয় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘এখন কোনো কিছু প্রধানমন্ত্রীর বাইরে হয় না। বিচারিক প্রক্রিয়া, আইনি প্রক্রিয়া, মামলা দেওয়া, কাকে কোন মামলা দিতে হবে, কীভাবে ফাঁসাতে হবে, কীভাবে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস-বোমা হামলা, পোড়ানোর মামলা দিতে হবে, সবকিছুই একেবারে উপর থেকে আসে। সেভাবেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে, পুলিশ কাজ করে। ওইভাবেই বিচার হয়। এর বাইরে অন্য কোনো বিচার হয় না।’
শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় এবং সদ্যপ্রয়াত বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিলে এ তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের আয়োজনে অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আরও বলেন, ‘আমরা এমন একটি অবিচারের রাজ্যে বাস করছি, এখানে চলছে ভয়ংকর অবিচার। ন্যায়বিচার শুধু নিরুদ্দেশ নয়, ন্যায়বিচারের অর্থ কী, এটা আগামী দিনের ছাত্ররা গবেষণা করার সুযোগ পাবে না। কারণ, দেশে চলছে কর্তৃত্ববাদী শাসন, একদলীয় শাসন। অর্থাৎ, সরকার থেকে যা বলা হবে, সেভাবেই ইতিহাস রচনা করা হবে, সেভাবেই গবেষণা হবে, সেভাবেই লেখাপড়া করতে হবে। সরকারের বিধিনিষেধের মধ্যে গবেষণা করারও সুযোগ থাকে না। এটাকেই বলে দুঃশাসন।’
সরকারের দুর্নীতির নানা চিত্র তুলে ধরে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমরা আজ যদি আওয়ামী লীগকে একটা ঘর ধরি, সেই ঘরের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে বের হয় পাপুল, তাদের স্যুটকেস থেকে বের হয় সাহেদ, তাদের আলমারি থেকে বের হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা। সবকিছুই তো আওয়ামী লীগের ঘরের ভেতর থেকে বের হচ্ছে। ফরিদপুরের ছাত্রলীগের সভাপতি—তার যদি শত শত কোটি টাকা পাচার হয় বাংলাদেশ থেকে, তাহলে আর কী থাকতে পারে?’
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা তৎকালীন বিএনপি সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে আওয়ামী লীগের পরিকল্পিত বলে মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘বারবার এই হামলার দায় বিএনপির ওপর চাপানোর চেষ্টা চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলছেন, তাঁকে মেরে ফেলার টার্গেটেই গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি টার্গেটে থাকলে এলোপাতাড়ি গ্রেনেড ফুটল কেন? উনি টার্গেটে থাকলে হামলার সময় সেদিন নির্বিঘ্নে গাড়িতে উঠে গেলেন কীভাবে?’
রিজভী আরো বলেন, “গতকাল প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাকে মেরে ফেলার অনেকবারই চেষ্টা করা হয়েছে। একুশে আগস্ট হচ্ছে একটা বিরাট পরিকল্পনা, ভয়ংকর আক্রমণ। এর আগেও আমাকে অনেকবার আক্রমণ করা হয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রী একটু আধ্যাত্মিকভাবে বিষয়টা বলতে চেয়েছেন। সে সময় যদি এই হামলা সরকার পরিকল্পিত বিষয় থাকত, তাহলে একজনকেই টার্গেট করত। এলোপাতাড়ি চারদিকে গ্রেনেড ফুটেছে। উনি (শেখ হাসিনা) কিন্তু সেদিন নিরাপদে গাড়িতে উঠে গেলেন। এই যে, কারণ যে একটা আছে, এটি ছিল অন্যতম কারণ। এ থেকেই স্পষ্ট হয়, এই হামলা ছিল আওয়ামী লীগেরই পরিকল্পিত চক্রান্ত।”
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এখন কোনো কিছু প্রধানমন্ত্রীর বাইরে হয় না: রিজভী
এখন কোনো কিছু প্রধানমন্ত্রীর বাইরে হয় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘এখন কোনো কিছু প্রধানমন্ত্রীর বাইরে হয় না। বিচারিক প্রক্রিয়া, আইনি প্রক্রিয়া, মামলা দেওয়া, কাকে কোন মামলা দিতে হবে, কীভাবে ফাঁসাতে হবে, কীভাবে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস-বোমা হামলা, পোড়ানোর মামলা দিতে হবে, সবকিছুই একেবারে উপর থেকে আসে। সেভাবেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে, পুলিশ কাজ করে। ওইভাবেই বিচার হয়। এর বাইরে অন্য কোনো বিচার হয় না।’
শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় এবং সদ্যপ্রয়াত বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিলে এ তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের আয়োজনে অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আরও বলেন, ‘আমরা এমন একটি অবিচারের রাজ্যে বাস করছি, এখানে চলছে ভয়ংকর অবিচার। ন্যায়বিচার শুধু নিরুদ্দেশ নয়, ন্যায়বিচারের অর্থ কী, এটা আগামী দিনের ছাত্ররা গবেষণা করার সুযোগ পাবে না। কারণ, দেশে চলছে কর্তৃত্ববাদী শাসন, একদলীয় শাসন। অর্থাৎ, সরকার থেকে যা বলা হবে, সেভাবেই ইতিহাস রচনা করা হবে, সেভাবেই গবেষণা হবে, সেভাবেই লেখাপড়া করতে হবে। সরকারের বিধিনিষেধের মধ্যে গবেষণা করারও সুযোগ থাকে না। এটাকেই বলে দুঃশাসন।’
সরকারের দুর্নীতির নানা চিত্র তুলে ধরে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমরা আজ যদি আওয়ামী লীগকে একটা ঘর ধরি, সেই ঘরের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে বের হয় পাপুল, তাদের স্যুটকেস থেকে বের হয় সাহেদ, তাদের আলমারি থেকে বের হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা। সবকিছুই তো আওয়ামী লীগের ঘরের ভেতর থেকে বের হচ্ছে। ফরিদপুরের ছাত্রলীগের সভাপতি—তার যদি শত শত কোটি টাকা পাচার হয় বাংলাদেশ থেকে, তাহলে আর কী থাকতে পারে?’
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা তৎকালীন বিএনপি সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে আওয়ামী লীগের পরিকল্পিত বলে মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘বারবার এই হামলার দায় বিএনপির ওপর চাপানোর চেষ্টা চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলছেন, তাঁকে মেরে ফেলার টার্গেটেই গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি টার্গেটে থাকলে এলোপাতাড়ি গ্রেনেড ফুটল কেন? উনি টার্গেটে থাকলে হামলার সময় সেদিন নির্বিঘ্নে গাড়িতে উঠে গেলেন কীভাবে?’
রিজভী আরো বলেন, “গতকাল প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাকে মেরে ফেলার অনেকবারই চেষ্টা করা হয়েছে। একুশে আগস্ট হচ্ছে একটা বিরাট পরিকল্পনা, ভয়ংকর আক্রমণ। এর আগেও আমাকে অনেকবার আক্রমণ করা হয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রী একটু আধ্যাত্মিকভাবে বিষয়টা বলতে চেয়েছেন। সে সময় যদি এই হামলা সরকার পরিকল্পিত বিষয় থাকত, তাহলে একজনকেই টার্গেট করত। এলোপাতাড়ি চারদিকে গ্রেনেড ফুটেছে। উনি (শেখ হাসিনা) কিন্তু সেদিন নিরাপদে গাড়িতে উঠে গেলেন। এই যে, কারণ যে একটা আছে, এটি ছিল অন্যতম কারণ। এ থেকেই স্পষ্ট হয়, এই হামলা ছিল আওয়ামী লীগেরই পরিকল্পিত চক্রান্ত।”