খালেদা জিয়া রাজনীতির মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রভাব নিয়ে আছেন: ফখরুল
যুগান্তর রিপোর্ট
১৩ নভেম্বর ২০২০, ১৬:০৭:৫৯ | অনলাইন সংস্করণ
খালেদা জিয়া রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আমরা মনে করি যে, উনি (খালেদা জিয়া) অ্যাকটিভ আছেন মানসিকভাবে। উনি রাজনীতির মধ্যে কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রভাব নিয়ে আছেন। নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়া থেকে কখনও চলে যাননি এবং যাবেনও না।
শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া যে অস্তিত্ব দেশের মানুষের মধ্যে এটা অত্যন্ত গভীরে। দেশনেত্রীর জন্য এখনও গ্রামের অনেকে রোজা রাখে যে, তিনি সুস্থ হয়ে তিনি যেন বেরিয়ে আসেন। আমরা মনে করি যে, উনি রাজনীতিতে আছেন এবং থাকবেন অবশ্যই উনি অ্যাকটিভ হবেন।
তিনি বলেন, এই সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করে রেখেছে। এটা কোনো মতেই এটা গ্রহণযোগ্য না। তাকে জামিন পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে না, সুচিকিতসা পর্যন্ত তিনি নিতে পারছেন না।
সরকার খালেদা জিয়াকে ভয় পায় মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সারাক্ষন ধরে আমি যেটা মনে করি খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে সমস্যা হবে সেজন্য তাকে ভয় পায় বলে আটকিয়ে রাখার ব্যবস্থা করা। গুলশানে নিজের বাসায় খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল আছে। আমি বিশ্বাস করি তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। তার চিকিৎসার সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাহেব যে বলেছেন, বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য অন্তরায়। আসলে প্রধান অন্তরায় তো তারা। ১৯৭৫ সালে বাকশাল তৈরি করে গণতন্ত্রকে কবর তো দিয়েছিলেন তারা। দেয়ার ইজ নো ডেমোক্রেসি। তার আগের থেকে ১৯৭২ সালে তারা যে, সংবিধান তৈরি করেছিলো সেই সংবিধান তারাই পরিবর্তন করেছেন, বিশেষ ক্ষমতা আইন, জরুরি অবস্থা, বাকশাল পরপর তিনটা করে মানু্ষের সব অধিকার তারা কেডে নিয়েছে-এটা রিয়েলিটি।”
‘উনারা ক্ষমতায় আসার পর কী করলেন? তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে বিধান ছিল সেটিকে বাতিল করলেন, একেকটি আইন তৈরি করেছে সেগুলোর একটিও গণতন্ত্রের পক্ষের আইন না, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ অন্যান্য যেসব আইন আছে…। জনগণের যে কথা বলার অধিকার তাকে হরণ করেছে সরকার।’
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
খালেদা জিয়া রাজনীতির মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রভাব নিয়ে আছেন: ফখরুল
খালেদা জিয়া রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আমরা মনে করি যে, উনি (খালেদা জিয়া) অ্যাকটিভ আছেন মানসিকভাবে। উনি রাজনীতির মধ্যে কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রভাব নিয়ে আছেন। নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়া থেকে কখনও চলে যাননি এবং যাবেনও না।
শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া যে অস্তিত্ব দেশের মানুষের মধ্যে এটা অত্যন্ত গভীরে। দেশনেত্রীর জন্য এখনও গ্রামের অনেকে রোজা রাখে যে, তিনি সুস্থ হয়ে তিনি যেন বেরিয়ে আসেন। আমরা মনে করি যে, উনি রাজনীতিতে আছেন এবং থাকবেন অবশ্যই উনি অ্যাকটিভ হবেন।
তিনি বলেন, এই সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করে রেখেছে। এটা কোনো মতেই এটা গ্রহণযোগ্য না। তাকে জামিন পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে না, সুচিকিতসা পর্যন্ত তিনি নিতে পারছেন না।
সরকার খালেদা জিয়াকে ভয় পায় মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সারাক্ষন ধরে আমি যেটা মনে করি খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে সমস্যা হবে সেজন্য তাকে ভয় পায় বলে আটকিয়ে রাখার ব্যবস্থা করা। গুলশানে নিজের বাসায় খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল আছে। আমি বিশ্বাস করি তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। তার চিকিৎসার সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাহেব যে বলেছেন, বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য অন্তরায়। আসলে প্রধান অন্তরায় তো তারা। ১৯৭৫ সালে বাকশাল তৈরি করে গণতন্ত্রকে কবর তো দিয়েছিলেন তারা। দেয়ার ইজ নো ডেমোক্রেসি। তার আগের থেকে ১৯৭২ সালে তারা যে, সংবিধান তৈরি করেছিলো সেই সংবিধান তারাই পরিবর্তন করেছেন, বিশেষ ক্ষমতা আইন, জরুরি অবস্থা, বাকশাল পরপর তিনটা করে মানু্ষের সব অধিকার তারা কেডে নিয়েছে-এটা রিয়েলিটি।”
‘উনারা ক্ষমতায় আসার পর কী করলেন? তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে বিধান ছিল সেটিকে বাতিল করলেন, একেকটি আইন তৈরি করেছে সেগুলোর একটিও গণতন্ত্রের পক্ষের আইন না, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ অন্যান্য যেসব আইন আছে…। জনগণের যে কথা বলার অধিকার তাকে হরণ করেছে সরকার।’