আসাদুজ্জামান নূর হাসপাতালে
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বাকের ভাইখ্যাত অভিনেতা ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কোভিড-১৯ ধরা পড়ার পর তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত আছেন, কাশি-জ্বর ছাড়া অন্য কোনো উপসর্গ তার নেই।
করোনা পজিটিভ রিপোর্ট বৃহস্পতিবার রাতে হাতে পান আসাদুজ্জামান নূর। এর পর তিনি বাসায়ই আইসোলেশন শুরু করেন। পরে বয়স ও অন্যান্য রোগ বিবেচনায় নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সাধারণ কাশি, সর্দি এবং হালকা জ্বর ছাড়া অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা নেই তার।
১৯৪৬ সালের ৩১ অক্টোবর নীলফামারী জেলার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আসাদুজ্জামান নূর। তিনি পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
আসাদুজ্জামান নূর নীলফামারী-২ আসন থেকে ২০০১, ২০০৮, ২০১৩ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দশম সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
৭৪ বছর বয়সী আসাদুজ্জামান নূর একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি।
‘বাকের ভাই’খ্যাত এই অভিনেতা ১৯৭২ সাল থেকে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন। এ পর্যন্ত দলের ১৫টি নাটকে ৬ শতাধিক বারেরও বেশি অভিনয় করেছেন তিনি; নির্দেশনা দিয়েছেন ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’ নাটকটি। তার অভিনীত টিভি নাটক ‘আজ ররিবার’, ‘কোথাও কেউ নেই’-এর ‘বাকের ভাই’, ‘এই সব দিনরাত্রি’র ‘শফিক’, ‘অয়োময়’ নাটকের ‘ছোট মির্জা’, ‘সবুজ ছায়া’র ‘ডাক্তার’ চরিত্রগুলো আজও মনে রেখেছেন দর্শক। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো– ‘শঙ্খনীল কারাগার’ (১৯৯২) ও ‘আগুনের পরশমণি’ (১৯৯৪)।
আসাদুজ্জামান নূর ১৯৬৩ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দিয়ে রাজনীতিতে আসেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। দেশ স্বাধীনের পর যোগ দেন কমিউনিস্ট পার্টিতে। ১৯৯৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে তিনি আবারও প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
তিনি বর্তমানে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
আসাদুজ্জামান নূর হাসপাতালে
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বাকের ভাইখ্যাত অভিনেতা ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কোভিড-১৯ ধরা পড়ার পর তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত আছেন, কাশি-জ্বর ছাড়া অন্য কোনো উপসর্গ তার নেই।
করোনা পজিটিভ রিপোর্ট বৃহস্পতিবার রাতে হাতে পান আসাদুজ্জামান নূর। এর পর তিনি বাসায়ই আইসোলেশন শুরু করেন। পরে বয়স ও অন্যান্য রোগ বিবেচনায় নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সাধারণ কাশি, সর্দি এবং হালকা জ্বর ছাড়া অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা নেই তার।
১৯৪৬ সালের ৩১ অক্টোবর নীলফামারী জেলার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আসাদুজ্জামান নূর। তিনি পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
আসাদুজ্জামান নূর নীলফামারী-২ আসন থেকে ২০০১, ২০০৮, ২০১৩ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দশম সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
৭৪ বছর বয়সী আসাদুজ্জামান নূর একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি।
‘বাকের ভাই’খ্যাত এই অভিনেতা ১৯৭২ সাল থেকে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন। এ পর্যন্ত দলের ১৫টি নাটকে ৬ শতাধিক বারেরও বেশি অভিনয় করেছেন তিনি; নির্দেশনা দিয়েছেন ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’ নাটকটি। তার অভিনীত টিভি নাটক ‘আজ ররিবার’, ‘কোথাও কেউ নেই’-এর ‘বাকের ভাই’, ‘এই সব দিনরাত্রি’র ‘শফিক’, ‘অয়োময়’ নাটকের ‘ছোট মির্জা’, ‘সবুজ ছায়া’র ‘ডাক্তার’ চরিত্রগুলো আজও মনে রেখেছেন দর্শক। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো– ‘শঙ্খনীল কারাগার’ (১৯৯২) ও ‘আগুনের পরশমণি’ (১৯৯৪)।
আসাদুজ্জামান নূর ১৯৬৩ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দিয়ে রাজনীতিতে আসেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। দেশ স্বাধীনের পর যোগ দেন কমিউনিস্ট পার্টিতে। ১৯৯৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে তিনি আবারও প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
তিনি বর্তমানে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।