পল্লীবন্ধুর অবদান নতুন প্রজন্মের দুয়ারে পৌঁছে দিন: সালমা ইসলাম এমপি
যুগান্তর প্রতিবেদন
১৪ জানুয়ারি ২০২১, ১৫:৪৯:২৭ | অনলাইন সংস্করণ

দেশের জন্য সাবেক রাষ্ট্রপতি ও পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কাজগুলো বর্তমান প্রজন্মের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের দৈনিক যুগান্তর ভবনে জাতীয় মহিলা পার্টির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির ঢাকা জেলার নেতাদের সঙ্গে এক পরিচিতি ও মতবিনিময়সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
জাতীয় মহিলা পার্টির আহ্বায়ক সালমা ইসলাম বলেন, ৯ বছরের শাসনকালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশের জন্য যেসব অবদান রেখে গেছেন, তা বলে শেষ করা যাবে না। '৮৮-এর বন্যায় তিনি সাঁতরিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছিলেন, ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছিলেন। নারী নির্যাতন রোধে পারিবারিক আইন প্রণয়ন করেছেন। বিশেষ করে ঢাকা জেলায় এরশাদের অবদান অবিস্মরণীয়। ডিএনডি বাঁধ, পান্থপথ, বিজয় সরণি, প্রগতি সরণি, সায়েদাবাদ ও মহাখালীর টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড সবই তার আমলে করা। জাতীয় মহিলা পার্টির নেতাকর্মীদের এসব বিষয় জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে নারীরা রাজনীতিতে যুক্ত হতে চান না। অথচ রাজনীতি মহান। আমাদের প্রিয় রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সা.) রাজনীতি করেছেন। রাজনীতির মাধ্যমেই মানুষকে ভালোবাসা যায়, সৃষ্টির সেরা জীবের সেবা করা যায়। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জীবন চরিত দেখে আপনারা বিষয়টি বুঝতে পারবেন। তারা মানুষকে কতটা ভালোবেসে গেছেন। মানুষকে যারা ভালোবাসে, সহযোগিতা করে মহান আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন। আর যার মানুষকে মূল্যায়ন করে না, তাদের নামাজও কবুল হয় না। সেই শিক্ষা নিয়েই জাতীয় পার্টি কাজ করে যাচ্ছে।
জনগণকে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পার্টির কো-চেয়ারম্যান বলেন, এ দলে মাদককাণ্ডের ছড়াছড়ি নেই, সন্ত্রাসী, মারামারি, খুনোখুনি টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজিরও স্থান নেই। জাতীয় পার্টি আদর্শ পার্টি। নিখুঁত এ পার্টিতে যোগ দিয়ে আপনারা নিজেদের ধন্য মনে করতে পারেন।
জাতীয় মহিলা পার্টির ঢাকা জেলার নেতাদের উদ্দেশে সালমা ইসলাম বলেন, করোনাকালেও আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদের এ উপস্থিতি দেখে আমি অভিভূত। আগামী দেড় মাসের মধ্যে আপনারা যার যার থানা থেকে সুসংবদ্ধ কমিটি গঠন করবেন। কমিটির কর্মীরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভালো সব কাজের কথা মানুষকে জানাবেন। দল গোছাবেন। জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করবেন। জাতীয় মহিলা পার্টি শক্তিশালী হলে চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের হাত শক্ত হবে। তার হাত শক্ত হলে জাতীয় পার্টি শক্তিশালী হবে। আমি মনে করি, জাতীয় মহিলা পার্টিই পারবে জাতীয় পার্টির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ফিরিয়ে আনতে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মহিলা পার্টির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব হেনা খান পন্নি, মহিলা পার্টির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শারমীন পারভিন লিজা, হাসনা হেনা, মোমেনা বেগম, জেসমীন নূর প্রিয়াংকা, আসমা আক্তার রুমি, মিনি খান, নাজনীনা আহমেদ নিনা, সীমানা আমির, কুমিল্লা উত্তরের সভাপতি, ফেরদৗসি বকুল প্রমূখ। নবাবগঞ্জ, দোহার, কেরানীগঞ্জ, সাভার ও ধামরাই থানার নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিয়ময়সভায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে জাতীয় মহিলা পার্টির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব হেনা খান বলেন, দেশের প্রায় ৫০ শতাংশই এখন নারী। অথচ রাজনীতিতে নারীরা সেভাবে এগিয়ে আসছে না। এই জাতীয় মহিলা পার্টি গঠনের পর রাজনীতিতে নারীদের অগ্রগামী করতে বদ্ধপরিকর আমরা। জাতীয় পার্টির কাছে দেশের নারীরা ঋণী। কারণ স্ত্রীর অসম্মতিতে স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করলে তার ১৪ বছরের সাজার আইন এরশাদই করেছেন। নারী নির্যাতন ঠেকাতে এরশাদের অবদান অনস্বীকার্য। তাই জাতীয় মহিলা পার্টির কর্মীদের প্রতি বিনীত অনুরোধ থাকবে– এলাকায় ঘরে ঘরে গিয়ে নারীদের জাতীয় পার্টিতে যোগ দিতে আহ্বান করুন। দলকে শক্তিশালী করুন।
এ সময় নেতাকর্মীরা জাতীয় মহিলা পার্টির আহ্বায়ক সালমা ইসলাম ও সদস্য সচিব হেনা খান পন্নিকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। এ সময়নেতাকর্মীদের সম্মতিতে নবাবগঞ্জ থানার জাতীয় মহিলা পার্টির সাবেক সভাপতি রেশমী হোসেন আজাদকে ঢাকা জেলা মহিলা পার্টির আহ্বায়ক নির্বাচিত করা হয়।
রেশমী হোসেন আজাদ বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জাতীয় পার্টিতে যে নক্ষত্র উপহার দিয়েছেন, তিনি হলেন অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম। মাঠে-ঘাটে তার কাজ, জনসেবা, উদ্যোগ দেখে নারীরা রাজনীতিতে আগ্রহী হচ্ছেন। আমিও তাকে দেখেই জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেছি। সালমা ইসলাম রাজপ্রাসাদে থাকতে পারতেন। কিন্তু তিনি মানুষকে ভালোবেসে রাজপথে নেমেছেন। কমিটির সদস্যরা তার মতোই নেত্রী হতে চান।
এর আগে ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় মহিলা পার্টির আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেন পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পল্লীবন্ধুর অবদান নতুন প্রজন্মের দুয়ারে পৌঁছে দিন: সালমা ইসলাম এমপি

দেশের জন্য সাবেক রাষ্ট্রপতি ও পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কাজগুলো বর্তমান প্রজন্মের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের দৈনিক যুগান্তর ভবনে জাতীয় মহিলা পার্টির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির ঢাকা জেলার নেতাদের সঙ্গে এক পরিচিতি ও মতবিনিময়সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
জাতীয় মহিলা পার্টির আহ্বায়ক সালমা ইসলাম বলেন, ৯ বছরের শাসনকালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশের জন্য যেসব অবদান রেখে গেছেন, তা বলে শেষ করা যাবে না। '৮৮-এর বন্যায় তিনি সাঁতরিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছিলেন, ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছিলেন। নারী নির্যাতন রোধে পারিবারিক আইন প্রণয়ন করেছেন। বিশেষ করে ঢাকা জেলায় এরশাদের অবদান অবিস্মরণীয়। ডিএনডি বাঁধ, পান্থপথ, বিজয় সরণি, প্রগতি সরণি, সায়েদাবাদ ও মহাখালীর টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড সবই তার আমলে করা। জাতীয় মহিলা পার্টির নেতাকর্মীদের এসব বিষয় জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে নারীরা রাজনীতিতে যুক্ত হতে চান না। অথচ রাজনীতি মহান। আমাদের প্রিয় রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সা.) রাজনীতি করেছেন। রাজনীতির মাধ্যমেই মানুষকে ভালোবাসা যায়, সৃষ্টির সেরা জীবের সেবা করা যায়। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জীবন চরিত দেখে আপনারা বিষয়টি বুঝতে পারবেন। তারা মানুষকে কতটা ভালোবেসে গেছেন। মানুষকে যারা ভালোবাসে, সহযোগিতা করে মহান আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন। আর যার মানুষকে মূল্যায়ন করে না, তাদের নামাজও কবুল হয় না। সেই শিক্ষা নিয়েই জাতীয় পার্টি কাজ করে যাচ্ছে।
জনগণকে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পার্টির কো-চেয়ারম্যান বলেন, এ দলে মাদককাণ্ডের ছড়াছড়ি নেই, সন্ত্রাসী, মারামারি, খুনোখুনি টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজিরও স্থান নেই। জাতীয় পার্টি আদর্শ পার্টি। নিখুঁত এ পার্টিতে যোগ দিয়ে আপনারা নিজেদের ধন্য মনে করতে পারেন।
জাতীয় মহিলা পার্টির ঢাকা জেলার নেতাদের উদ্দেশে সালমা ইসলাম বলেন, করোনাকালেও আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদের এ উপস্থিতি দেখে আমি অভিভূত। আগামী দেড় মাসের মধ্যে আপনারা যার যার থানা থেকে সুসংবদ্ধ কমিটি গঠন করবেন। কমিটির কর্মীরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভালো সব কাজের কথা মানুষকে জানাবেন। দল গোছাবেন। জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করবেন। জাতীয় মহিলা পার্টি শক্তিশালী হলে চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের হাত শক্ত হবে। তার হাত শক্ত হলে জাতীয় পার্টি শক্তিশালী হবে। আমি মনে করি, জাতীয় মহিলা পার্টিই পারবে জাতীয় পার্টির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ফিরিয়ে আনতে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মহিলা পার্টির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব হেনা খান পন্নি, মহিলা পার্টির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শারমীন পারভিন লিজা, হাসনা হেনা, মোমেনা বেগম, জেসমীন নূর প্রিয়াংকা, আসমা আক্তার রুমি, মিনি খান, নাজনীনা আহমেদ নিনা, সীমানা আমির, কুমিল্লা উত্তরের সভাপতি, ফেরদৗসি বকুল প্রমূখ। নবাবগঞ্জ, দোহার, কেরানীগঞ্জ, সাভার ও ধামরাই থানার নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিয়ময়সভায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে জাতীয় মহিলা পার্টির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব হেনা খান বলেন, দেশের প্রায় ৫০ শতাংশই এখন নারী। অথচ রাজনীতিতে নারীরা সেভাবে এগিয়ে আসছে না। এই জাতীয় মহিলা পার্টি গঠনের পর রাজনীতিতে নারীদের অগ্রগামী করতে বদ্ধপরিকর আমরা। জাতীয় পার্টির কাছে দেশের নারীরা ঋণী। কারণ স্ত্রীর অসম্মতিতে স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করলে তার ১৪ বছরের সাজার আইন এরশাদই করেছেন। নারী নির্যাতন ঠেকাতে এরশাদের অবদান অনস্বীকার্য। তাই জাতীয় মহিলা পার্টির কর্মীদের প্রতি বিনীত অনুরোধ থাকবে– এলাকায় ঘরে ঘরে গিয়ে নারীদের জাতীয় পার্টিতে যোগ দিতে আহ্বান করুন। দলকে শক্তিশালী করুন।
এ সময় নেতাকর্মীরা জাতীয় মহিলা পার্টির আহ্বায়ক সালমা ইসলাম ও সদস্য সচিব হেনা খান পন্নিকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। এ সময় নেতাকর্মীদের সম্মতিতে নবাবগঞ্জ থানার জাতীয় মহিলা পার্টির সাবেক সভাপতি রেশমী হোসেন আজাদকে ঢাকা জেলা মহিলা পার্টির আহ্বায়ক নির্বাচিত করা হয়।
রেশমী হোসেন আজাদ বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জাতীয় পার্টিতে যে নক্ষত্র উপহার দিয়েছেন, তিনি হলেন অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম। মাঠে-ঘাটে তার কাজ, জনসেবা, উদ্যোগ দেখে নারীরা রাজনীতিতে আগ্রহী হচ্ছেন। আমিও তাকে দেখেই জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেছি। সালমা ইসলাম রাজপ্রাসাদে থাকতে পারতেন। কিন্তু তিনি মানুষকে ভালোবেসে রাজপথে নেমেছেন। কমিটির সদস্যরা তার মতোই নেত্রী হতে চান।
এর আগে ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় মহিলা পার্টির আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেন পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।