'কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ হল্যান্ড থেকে আলুবীজ এনে সফল হতে পারেননি'
ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি
২৭ জানুয়ারি ২০২১, ১৮:১৬:০৩ | অনলাইন সংস্করণ
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল্যান্ড থেকে আলুবীজ নিয়ে এসেছিলেন। সেই বীজ এনে কুষ্টিয়ায় উনি চেষ্টা করেছিলেন বাংলাদেশে আলুর প্রজনন শুরু করার জন্য। দুঃখজনকভাবে সত্য, উনি সফল হতে পারেননি।
মন্ত্রী বলেন, তখন এমন প্রতিষ্ঠান ছিল না, কৃষিবিজ্ঞানী ছিল না। আজকে আমরা বাংলাদেশে দেখছি, এক বিঘা জমিতে ১০০ মণ আলু হতে পারে। যেটি আগে দেশি জাত দিয়ে ছয়-সাত মণও হতো না। বর্তমানে বছরে এক কোটি টনের বেশি উন্নত জাতের আলু উৎপাদন হয়।
বুধবার দুপুরে নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) বীজ আলু উৎপাদন খামার পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে আলুর চাহিদা রয়েছে ৬০-৭০ লাখ টনের মতো। দেশে উৎপাদিত আলুতে পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় বিদেশে এর চাহিদা কম। সেজন্য বিদেশে চাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে রপ্তানি ও শিল্পে ব্যবহারযোগ্য আলুর আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কৃষি মন্ত্রণালয় সে লক্ষ্যে নিরলস কাজ করছে।
মন্ত্রী এদিন রপ্তানি ও শিল্পে ব্যবহারযোগ্য আলুর প্লট, আলু ফসলের মিউজিয়াম, ড্রাগন ও খেজুর বাগান প্রভৃতি পরিদর্শন করেন। এছাড়া পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার তিস্তাপাড়ের কাজুবাদাম, মিষ্টি আলু, কফি চাষ, প্রসেসিং ও কৃষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা, বারির বীজ বর্ধন খামার, গম ও ভুট্টা বীজ উৎপাদন খামার পরিদর্শন করেন।
এ সময় কৃষি সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, বিএডিসির চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, বারির মহাপরিচালক নাজিরুল ইসলাম, গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. এছরাইল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
'কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ হল্যান্ড থেকে আলুবীজ এনে সফল হতে পারেননি'
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল্যান্ড থেকে আলুবীজ নিয়ে এসেছিলেন। সেই বীজ এনে কুষ্টিয়ায় উনি চেষ্টা করেছিলেন বাংলাদেশে আলুর প্রজনন শুরু করার জন্য। দুঃখজনকভাবে সত্য, উনি সফল হতে পারেননি।
মন্ত্রী বলেন, তখন এমন প্রতিষ্ঠান ছিল না, কৃষিবিজ্ঞানী ছিল না। আজকে আমরা বাংলাদেশে দেখছি, এক বিঘা জমিতে ১০০ মণ আলু হতে পারে। যেটি আগে দেশি জাত দিয়ে ছয়-সাত মণও হতো না। বর্তমানে বছরে এক কোটি টনের বেশি উন্নত জাতের আলু উৎপাদন হয়।
বুধবার দুপুরে নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) বীজ আলু উৎপাদন খামার পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে আলুর চাহিদা রয়েছে ৬০-৭০ লাখ টনের মতো। দেশে উৎপাদিত আলুতে পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় বিদেশে এর চাহিদা কম। সেজন্য বিদেশে চাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে রপ্তানি ও শিল্পে ব্যবহারযোগ্য আলুর আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কৃষি মন্ত্রণালয় সে লক্ষ্যে নিরলস কাজ করছে।
মন্ত্রী এদিন রপ্তানি ও শিল্পে ব্যবহারযোগ্য আলুর প্লট, আলু ফসলের মিউজিয়াম, ড্রাগন ও খেজুর বাগান প্রভৃতি পরিদর্শন করেন। এছাড়া পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার তিস্তাপাড়ের কাজুবাদাম, মিষ্টি আলু, কফি চাষ, প্রসেসিং ও কৃষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা, বারির বীজ বর্ধন খামার, গম ও ভুট্টা বীজ উৎপাদন খামার পরিদর্শন করেন।
এ সময় কৃষি সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, বিএডিসির চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, বারির মহাপরিচালক নাজিরুল ইসলাম, গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. এছরাইল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।