যেকোনো মূল্যে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: ইনু
যুগান্তর প্রতিবেদন
১৮ অক্টোবর ২০২১, ১৯:৩৬:৩৫ | অনলাইন সংস্করণ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, হিন্দুদের নিরাপত্তা, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা, রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র রক্ষা ও অসাম্প্রদায়িকতা বজায় রাখার প্রশ্নে কোনো ধরনের আপস বা দরকষাকষি চলবে না। যেকোনো মূল্যে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সারা দেশে পূর্ব ঘোষণার অংশ অনুযায়ী ঢাকা মহানগর জাসদের উদ্যোগে সোমবার সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্যকালে হাসানুল হক ইনু এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোনো হিন্দু পুজামণ্ডপে কোরআন শরিফ রেখে নিজেদের ধর্মের অধর্ম করবে না। পুজামণ্ডপে কোরআন শরিফ রাখা হিন্দুদের ওপর হামলার উছিলা তৈরির একটি সাজানো ও সুপরিকল্পিত ঘটনা।
হাসানুল হক ইনু বলেন, হিন্দুদের ওপর হামলার উছিলা তৈরির জন্য যারা মণ্ডপে কোরআন শরিফ রেখেছিল তারাই কোরআন শরিফের অবমাননা করেছে। কোরআন শরিফকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার, কোরআন শরিফকে হিন্দুদের ওপর হামলার উছিলা হিসেবে ব্যবহার করাই কোরআন শরিফের সবচেয়ে বড় অবমাননা।
তিনি কঠোর হস্তে হিন্দুদের ওপর হামলাকারীদের দমন করতে সরকারকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, যে কোনো মূল্যে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
জাসদ সভাপতি বলেন, যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি, শান্তি সহ্য করছে না তারাই সুপরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও অশান্তি তৈরির জন্য হিন্দুদের ওপর হামলা করে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর অপচেষ্টা করছে। তারাই আগুন লাগাচ্ছে, তারাই অতীতে আগুন সন্ত্রাস করেছে, তারাই আগুন যুদ্ধ করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা করতে দেওয়া হবে না। হিন্দুদের নিরাপত্তা, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা, রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র রক্ষা ও অসাম্প্রদায়িকতা বজায় রাখার প্রশ্নে কোনো ধরনের আপস দরকষাকষি চলবে না।
ইনু বলেন, ধর্মান্ধ মৌলবাদী, জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী ও তাদের রাজনৈতিক পার্টনাররা বাংলাদেশকে তলেবানি রাষ্ট্র বানানোর যতই দিবাস্বপ্ন দেখুক না কেন, বাংলাদেশকে তালিবানি রাষ্ট্র বানানোর রাজনীতি প্রতিহত করা হবে।
তিনি বলেন, হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব প্রশাসনের ওপর ছেড়ে না দিয়ে, হাতগুটিয়ে বসে না থেকে, অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক সামাজিক কর্মী ও শান্তি প্রিয় জনগণকে মাঠে নেমে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি জাসদের নেতা-কর্মীদের ১৪ দলসহ সকল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক-সামাজিক শক্তিকে নিয়ে পাড়া-মহল্লায় সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
ঢাকা মহানগর জাসদের সমন্বয়ক মীর হোসাইন আখতারে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোহসীন, রোকনুজ্জামান রোকন, ওবায়দুর রহমান চুন্নু, শ্রমিক জোটের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মহিবুর রহমান মিহির, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (হা-ন) সভাপতি আহসান হাবীব শামীম প্রমুখ।
মানববন্ধন ও সমাবেশ শেষে জাসদের নেতা-কর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এলাকার সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
যেকোনো মূল্যে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: ইনু
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, হিন্দুদের নিরাপত্তা, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা, রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র রক্ষা ও অসাম্প্রদায়িকতা বজায় রাখার প্রশ্নে কোনো ধরনের আপস বা দরকষাকষি চলবে না। যেকোনো মূল্যে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সারা দেশে পূর্ব ঘোষণার অংশ অনুযায়ী ঢাকা মহানগর জাসদের উদ্যোগে সোমবার সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্যকালে হাসানুল হক ইনু এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোনো হিন্দু পুজামণ্ডপে কোরআন শরিফ রেখে নিজেদের ধর্মের অধর্ম করবে না। পুজামণ্ডপে কোরআন শরিফ রাখা হিন্দুদের ওপর হামলার উছিলা তৈরির একটি সাজানো ও সুপরিকল্পিত ঘটনা।
হাসানুল হক ইনু বলেন, হিন্দুদের ওপর হামলার উছিলা তৈরির জন্য যারা মণ্ডপে কোরআন শরিফ রেখেছিল তারাই কোরআন শরিফের অবমাননা করেছে। কোরআন শরিফকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার, কোরআন শরিফকে হিন্দুদের ওপর হামলার উছিলা হিসেবে ব্যবহার করাই কোরআন শরিফের সবচেয়ে বড় অবমাননা।
তিনি কঠোর হস্তে হিন্দুদের ওপর হামলাকারীদের দমন করতে সরকারকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, যে কোনো মূল্যে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
জাসদ সভাপতি বলেন, যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি, শান্তি সহ্য করছে না তারাই সুপরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও অশান্তি তৈরির জন্য হিন্দুদের ওপর হামলা করে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর অপচেষ্টা করছে। তারাই আগুন লাগাচ্ছে, তারাই অতীতে আগুন সন্ত্রাস করেছে, তারাই আগুন যুদ্ধ করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা করতে দেওয়া হবে না। হিন্দুদের নিরাপত্তা, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা, রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র রক্ষা ও অসাম্প্রদায়িকতা বজায় রাখার প্রশ্নে কোনো ধরনের আপস দরকষাকষি চলবে না।
ইনু বলেন, ধর্মান্ধ মৌলবাদী, জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী ও তাদের রাজনৈতিক পার্টনাররা বাংলাদেশকে তলেবানি রাষ্ট্র বানানোর যতই দিবাস্বপ্ন দেখুক না কেন, বাংলাদেশকে তালিবানি রাষ্ট্র বানানোর রাজনীতি প্রতিহত করা হবে।
তিনি বলেন, হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব প্রশাসনের ওপর ছেড়ে না দিয়ে, হাতগুটিয়ে বসে না থেকে, অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক সামাজিক কর্মী ও শান্তি প্রিয় জনগণকে মাঠে নেমে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি জাসদের নেতা-কর্মীদের ১৪ দলসহ সকল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক-সামাজিক শক্তিকে নিয়ে পাড়া-মহল্লায় সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
ঢাকা মহানগর জাসদের সমন্বয়ক মীর হোসাইন আখতারে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোহসীন, রোকনুজ্জামান রোকন, ওবায়দুর রহমান চুন্নু, শ্রমিক জোটের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মহিবুর রহমান মিহির, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (হা-ন) সভাপতি আহসান হাবীব শামীম প্রমুখ।
মানববন্ধন ও সমাবেশ শেষে জাসদের নেতা-কর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এলাকার সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করেন।