‘বিএনপি শেষ সম্বল খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করছে’
যুগান্তর প্রতিবেদন
২৮ নভেম্বর ২০২১, ০০:৩০:০৩ | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি বিএনপি চায় না, তারেক জিয়া চায় না। তাই তারা এখন শেষ সম্বল ‘খালেদা জিয়ার অসুস্থতা’ নিয়ে রাজনীতি করে মানুষের সহানুভূতি আদায় করার চেষ্টা করছে।
শনিবার বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের প্রজেকশন হলে জেলহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় এসএম কামাল হোসেন এসব কথা বলেন।
শহীদ এম মনসুর আলী স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাজীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি তানভীর শাকিল জয় এমপি প্রমুখ।
এসএম কামাল বলেন, হঠাৎ করে বিএনপি খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে কেন মাঠে নামল? খালেদা জিয়া তো ২০১৮ সালে জেলখানায় ঢুকেছে, সেদিন হাইকোর্টের আপিল বিভাগে আজকের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ছয় সদস্যের অ্যাপীলেড ডিভিশনে খালেদা জিয়ার বড় বড় আইনজীবীরা আবেদন করেছিল তার জামিনের জন্য। কিন্তু হাইকোর্টের আপিল বিভাগ তিনটি কারণে খালেদা জিয়ার মুক্তি দেননি।
এসএম কামাল বলেন, এরপর বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কোনো যৌক্তিক আন্দোলন গড়ে তোলেন নাই। তাহলে আমি যদি প্রশ্ন করি, বেগম জিয়ার মুক্তি বিএনপি চায় না, তারেক জিয়া চায় না। যা কিছু করেছেন যে মানবিকতা দেখিয়েছেন আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করেছেন, যেটা ওনার করার কথা না। কারণ খালেদা জিয়া; যিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, আজকের এই অসুস্থ খালেদা জিয়া নন, সুস্থ খালেদা জিয়া। তিনি আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যে আচরণ করেছেন, তাতে আজকের প্রধানমন্ত্রীর খালেদা জিয়াকে কোনো রকমের স্পেস দেওয়ার কথা না।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, যেদিনটিতে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়, যে দিনটিতে শেখ হাসিনা শেখ রেহানা ডুকরে ডুকরে কাঁদেন।১৫ আগস্ট প্রতিবছর বাঙালি জাতি এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষেরা কাঁদে, মানুষের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়; সেই দিনটিতে নিজের ভুয়া জন্মদিন পালন করেন, কেক কেটে আনন্দ উল্লাসে নিজের জন্মদিন পালম করেন খালেদা জিয়া। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক হয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে কারাগারের অভ্যন্তরে দেখভালের জন্য তার কাজের বুয়াকেও থাকার অনুমতি দিয়েছেন।
‘২০০৪ সালে তার পুত্র তারেক জিয়া ১৫ আগস্টের খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে বৈঠক করে, পরামর্শ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। তখন খালেদা জিয়া সংসদেও এ নিয়ে আমাদের কাউকে কথা বলতে দেননি। আজকে বিএনপি খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে মানুষের সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছে। কারণ তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। ওরা কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছে না। কারণ জনগণ আর ওদের কথা বিশ্বাস করে না। কারণ ওরা যখন ক্ষমতায় ছিল বাংলাদেশে ছিল ক্ষুধা-দারিদ্র্য দুর্ভিক্ষ সন্ত্রাস, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদের বাংলাদেশ। ওদের আমলে ওরা মানুষকে বিদ্যুৎ দিতে পারে নাই। কৃষকের সার দিতে পারেন নাই। এই কারণে তাদের কথা আর জনগণ বিশ্বাস করে না। তাই ওরা এখন শেষ সম্বল ‘খালেদা জিয়ার অসুস্থতা’ নিয়ে রাজনীতি করে মানুষের সহানুভূতি আদায় করার চেষ্টা করছে।’
আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক আরও বলেন, জাতীয় চার নেতার খুনিদের দল হচ্ছে বিএনপি। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দল হচ্ছে বিএনপি। যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্ঠপোষকতার দল হচ্ছে বিএনপি। সেই বিএনপিকে বাংলাদেশের মাটিতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে এটি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সফল হতে দেবে না।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
‘বিএনপি শেষ সম্বল খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করছে’
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি বিএনপি চায় না, তারেক জিয়া চায় না। তাই তারা এখন শেষ সম্বল ‘খালেদা জিয়ার অসুস্থতা’ নিয়ে রাজনীতি করে মানুষের সহানুভূতি আদায় করার চেষ্টা করছে।
শনিবার বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের প্রজেকশন হলে জেলহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় এসএম কামাল হোসেন এসব কথা বলেন।
শহীদ এম মনসুর আলী স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাজীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি তানভীর শাকিল জয় এমপি প্রমুখ।
এসএম কামাল বলেন, হঠাৎ করে বিএনপি খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে কেন মাঠে নামল? খালেদা জিয়া তো ২০১৮ সালে জেলখানায় ঢুকেছে, সেদিন হাইকোর্টের আপিল বিভাগে আজকের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ছয় সদস্যের অ্যাপীলেড ডিভিশনে খালেদা জিয়ার বড় বড় আইনজীবীরা আবেদন করেছিল তার জামিনের জন্য। কিন্তু হাইকোর্টের আপিল বিভাগ তিনটি কারণে খালেদা জিয়ার মুক্তি দেননি।
এসএম কামাল বলেন, এরপর বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কোনো যৌক্তিক আন্দোলন গড়ে তোলেন নাই। তাহলে আমি যদি প্রশ্ন করি, বেগম জিয়ার মুক্তি বিএনপি চায় না, তারেক জিয়া চায় না। যা কিছু করেছেন যে মানবিকতা দেখিয়েছেন আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করেছেন, যেটা ওনার করার কথা না। কারণ খালেদা জিয়া; যিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, আজকের এই অসুস্থ খালেদা জিয়া নন, সুস্থ খালেদা জিয়া। তিনি আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যে আচরণ করেছেন, তাতে আজকের প্রধানমন্ত্রীর খালেদা জিয়াকে কোনো রকমের স্পেস দেওয়ার কথা না।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, যেদিনটিতে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়, যে দিনটিতে শেখ হাসিনা শেখ রেহানা ডুকরে ডুকরে কাঁদেন।১৫ আগস্ট প্রতিবছর বাঙালি জাতি এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষেরা কাঁদে, মানুষের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়; সেই দিনটিতে নিজের ভুয়া জন্মদিন পালন করেন, কেক কেটে আনন্দ উল্লাসে নিজের জন্মদিন পালম করেন খালেদা জিয়া। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক হয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে কারাগারের অভ্যন্তরে দেখভালের জন্য তার কাজের বুয়াকেও থাকার অনুমতি দিয়েছেন।
‘২০০৪ সালে তার পুত্র তারেক জিয়া ১৫ আগস্টের খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে বৈঠক করে, পরামর্শ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। তখন খালেদা জিয়া সংসদেও এ নিয়ে আমাদের কাউকে কথা বলতে দেননি। আজকে বিএনপি খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে মানুষের সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছে। কারণ তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। ওরা কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছে না। কারণ জনগণ আর ওদের কথা বিশ্বাস করে না। কারণ ওরা যখন ক্ষমতায় ছিল বাংলাদেশে ছিল ক্ষুধা-দারিদ্র্য দুর্ভিক্ষ সন্ত্রাস, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদের বাংলাদেশ। ওদের আমলে ওরা মানুষকে বিদ্যুৎ দিতে পারে নাই। কৃষকের সার দিতে পারেন নাই। এই কারণে তাদের কথা আর জনগণ বিশ্বাস করে না। তাই ওরা এখন শেষ সম্বল ‘খালেদা জিয়ার অসুস্থতা’ নিয়ে রাজনীতি করে মানুষের সহানুভূতি আদায় করার চেষ্টা করছে।’
আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক আরও বলেন, জাতীয় চার নেতার খুনিদের দল হচ্ছে বিএনপি। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দল হচ্ছে বিএনপি। যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্ঠপোষকতার দল হচ্ছে বিএনপি। সেই বিএনপিকে বাংলাদেশের মাটিতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে এটি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সফল হতে দেবে না।