‘চায়ের দোকানিও বলেন আইভীকে ভোট দিলে চা খাওয়াবো’
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
১৩ জানুয়ারি ২০২২, ০২:০৭:১৭ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রচারণা চালাতে বুধবার বন্দরের কয়েকটি ওয়ার্ডে যান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা।
সেখানে আচরণ বিধি ভঙ্গ করেই বক্তব্য রাখেন আড়াইহাজারের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু।
স্থানীয় একটি স্কুল প্রাঙ্গণে আয়োজিত সভায় নজরুল ইসলাম বাবু এমপি বলেন, বন্দরের রাস্তাঘাট অলিগলি বলছে নৌকা নৌকা। এই বন্দরের দিকে তাকালে শুধু দেখা যায় আইভীর উন্নয়ন। কোন এমপি মন্ত্রী এই উন্নয়ন করেননি, করেছেন আইভী। বন্দরের যত উন্নয়ন তার সবই করেছেন আইভী।
তিনি বলেন, বন্দরের মানুষ বলেছেন আমাকে, আমরা যারা লাঙ্গলে ভোট দিয়েছিলাম তারা কিছুই পাইনি, লাঙ্গলের লোকজন কিছুই দেয়নি। আজকে ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেও তারা বলে আইভীর নৌকায় ভোট দেব। চায়ের দোকানের দোকানীও বলেন আইভীকে ভোট দিলে চা খাওয়াবো।
তিনি আরও বলেন, আপনারা ১৬ জানুয়ারি আইভীকে নৌকায় ভোট দিলে আরও অনেক উন্নয়ন হবে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, এই নির্বাচনের ফলাফল কি হবে তা নানা গোয়েন্দা সংস্থা ও মানুষের মুখে মুখে ঘুরে ফিরছে। এই তথ্যে বিরোধী প্রার্থীর হৃদকম্পন শুরু হয়ে গেছে। তার পরাজয় নিশ্চিত এটা তিনিও জেনে গেছেন। কিন্তু ১৬ তারিখ সকালে হাতি প্রতীকের প্রার্থী সকালে বলবেন এখন পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে, ভোটাররা ভোট দিতে পারছে। ১২টার পর থেকেই বলতে শুরু করবেন নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নাই। মানুষ ভোট দিতে পারছে না। বিকাল ৫টার পরই বলবে এই নির্বাচনের ফলাফল আমি প্রত্যাখ্যান করছি। কিন্তু পরিবেশ অবাধ সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ হবে এবং সেই নির্বাচনে সবাই নৌকায় ভোট দিয়ে আইভীকে জয়ী করবে।
অপর প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তার সালাম পৌঁছে দিতে এসেছি।
তিনি বলেন, আমি আইভীকে মনোনয়ন দিয়েছি তিনি উন্নয়ন করেছেন। সেই আইভীকে আবার মনোনয়ন দিয়েছি, আইভী জয়ী হলে নারায়ণগঞ্জের সকল উন্নয়নের দায়িত্ব আমি নিব। তৈমুর আলম একবার বলেন তিনি বিএনপির প্রার্থী, একবার বলেন জনতার প্রার্থী। উনি আসলে সেটাই জনগণ জানে না, তাকে কিভাবে মানুষ ভোট দিবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
‘চায়ের দোকানিও বলেন আইভীকে ভোট দিলে চা খাওয়াবো’
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রচারণা চালাতে বুধবার বন্দরের কয়েকটি ওয়ার্ডে যান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা।
সেখানে আচরণ বিধি ভঙ্গ করেই বক্তব্য রাখেন আড়াইহাজারের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু।
স্থানীয় একটি স্কুল প্রাঙ্গণে আয়োজিত সভায় নজরুল ইসলাম বাবু এমপি বলেন, বন্দরের রাস্তাঘাট অলিগলি বলছে নৌকা নৌকা। এই বন্দরের দিকে তাকালে শুধু দেখা যায় আইভীর উন্নয়ন। কোন এমপি মন্ত্রী এই উন্নয়ন করেননি, করেছেন আইভী। বন্দরের যত উন্নয়ন তার সবই করেছেন আইভী।
তিনি বলেন, বন্দরের মানুষ বলেছেন আমাকে, আমরা যারা লাঙ্গলে ভোট দিয়েছিলাম তারা কিছুই পাইনি, লাঙ্গলের লোকজন কিছুই দেয়নি। আজকে ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেও তারা বলে আইভীর নৌকায় ভোট দেব। চায়ের দোকানের দোকানীও বলেন আইভীকে ভোট দিলে চা খাওয়াবো।
তিনি আরও বলেন, আপনারা ১৬ জানুয়ারি আইভীকে নৌকায় ভোট দিলে আরও অনেক উন্নয়ন হবে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, এই নির্বাচনের ফলাফল কি হবে তা নানা গোয়েন্দা সংস্থা ও মানুষের মুখে মুখে ঘুরে ফিরছে। এই তথ্যে বিরোধী প্রার্থীর হৃদকম্পন শুরু হয়ে গেছে। তার পরাজয় নিশ্চিত এটা তিনিও জেনে গেছেন। কিন্তু ১৬ তারিখ সকালে হাতি প্রতীকের প্রার্থী সকালে বলবেন এখন পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে, ভোটাররা ভোট দিতে পারছে। ১২টার পর থেকেই বলতে শুরু করবেন নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নাই। মানুষ ভোট দিতে পারছে না। বিকাল ৫টার পরই বলবে এই নির্বাচনের ফলাফল আমি প্রত্যাখ্যান করছি। কিন্তু পরিবেশ অবাধ সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ হবে এবং সেই নির্বাচনে সবাই নৌকায় ভোট দিয়ে আইভীকে জয়ী করবে।
অপর প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তার সালাম পৌঁছে দিতে এসেছি।
তিনি বলেন, আমি আইভীকে মনোনয়ন দিয়েছি তিনি উন্নয়ন করেছেন। সেই আইভীকে আবার মনোনয়ন দিয়েছি, আইভী জয়ী হলে নারায়ণগঞ্জের সকল উন্নয়নের দায়িত্ব আমি নিব। তৈমুর আলম একবার বলেন তিনি বিএনপির প্রার্থী, একবার বলেন জনতার প্রার্থী। উনি আসলে সেটাই জনগণ জানে না, তাকে কিভাবে মানুষ ভোট দিবে।