‘বাবারা তো মেয়েকে জিতিয়ে দেয়’ (ভিডিও)
‘বাবারা তো মেয়েকে জিতিয়ে দেয়’ বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের পর পর তিন বারের নির্বাচিত মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী। রোববার নির্বাচনে প্রাথমিক ফলাফলে বিজয়ের পর স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের উদ্দেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আপনার কাকার উদ্দেশে কিছু বলবেন; তিনি তো অনেক ভোট পেয়েছেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের পর পর তিন বারের নির্বাচিত মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী বলেন, হ্যাঁ কাকা অনেক ভোট পেয়েছেন। কাকাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। তাকে বলতে চাচ্ছি- তার মেয়েই জিতেছেন। মেয়ে তো জিতবে। বাবারা তো সব সময় মেয়েদেরই জিতিয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, তিনি যেহেতু আমার চাচা, তিনিও নিশ্চয় খুশি হয়েছেন- চুনকার মেয়ে জিতেছে; উনারই মেয়ে জিতেছে। আমি তাকে নিয়েই কাজ করবো। তার যে পরিকল্পনা আছে; আশা করি তিনি আমাকে সহযোগিতা করবেন।
নাসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ রোববার সকাল ৮টা থেকে ২৭টি ওয়ার্ডের ১৯২টি কেন্দ্রে নাসিকের ভোটগ্রহণ শুরু হয়; একটানা চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সকালে ভোটকেন্দ্রগুলোতে নারী ভোটারের সংখ্যাই বেশি চোখে পড়ে। ভোটের মাঠে মেয়র পদে ছয়, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ৩৪ এবং সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৪৫ জনসহ মোট ১৮৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
২০১১ সালের ৫ মে প্রতিষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর এ নিয়ে তৃতীয়বার নির্বাচন হতে যাচ্ছে। সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচনে তৎকালীন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভী এক লাখ ৮০ হাজার ৪৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
ওই নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তে ভোট থেকে সরে দাঁড়ান অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। ওই নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৭০ শতাংশ।
২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসাবে সেলিনা হায়াত আইভী ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬১১ ভোটে আবার নির্বাচিত হন। সেবার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সাখাওয়াত হোসেন পান ৯৬ হাজার ৪৪ ভোট। ওই সময়ে ভোট পড়েছিল ৬২ শতাংশ। তবে এবার ব্যতিক্রমী একটি নির্বাচন দেখছেন নারায়ণগঞ্জবাসী।
এ নির্বাচনে হেভিওয়েট দুই প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভী ও অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার নির্বাচনী কোনো ইশতেহার ঘোষণা করেননি। তারা প্রচারের সময়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে মৌখিক নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
‘বাবারা তো মেয়েকে জিতিয়ে দেয়’ (ভিডিও)
‘বাবারা তো মেয়েকে জিতিয়ে দেয়’ বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের পর পর তিন বারের নির্বাচিত মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী। রোববার নির্বাচনে প্রাথমিক ফলাফলে বিজয়ের পর স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের উদ্দেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আপনার কাকার উদ্দেশে কিছু বলবেন; তিনি তো অনেক ভোট পেয়েছেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের পর পর তিন বারের নির্বাচিত মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী বলেন, হ্যাঁ কাকা অনেক ভোট পেয়েছেন। কাকাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। তাকে বলতে চাচ্ছি- তার মেয়েই জিতেছেন। মেয়ে তো জিতবে। বাবারা তো সব সময় মেয়েদেরই জিতিয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, তিনি যেহেতু আমার চাচা, তিনিও নিশ্চয় খুশি হয়েছেন- চুনকার মেয়ে জিতেছে; উনারই মেয়ে জিতেছে। আমি তাকে নিয়েই কাজ করবো। তার যে পরিকল্পনা আছে; আশা করি তিনি আমাকে সহযোগিতা করবেন।
নাসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ রোববার সকাল ৮টা থেকে ২৭টি ওয়ার্ডের ১৯২টি কেন্দ্রে নাসিকের ভোটগ্রহণ শুরু হয়; একটানা চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সকালে ভোটকেন্দ্রগুলোতে নারী ভোটারের সংখ্যাই বেশি চোখে পড়ে। ভোটের মাঠে মেয়র পদে ছয়, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ৩৪ এবং সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৪৫ জনসহ মোট ১৮৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
২০১১ সালের ৫ মে প্রতিষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর এ নিয়ে তৃতীয়বার নির্বাচন হতে যাচ্ছে। সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচনে তৎকালীন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভী এক লাখ ৮০ হাজার ৪৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
ওই নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তে ভোট থেকে সরে দাঁড়ান অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। ওই নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৭০ শতাংশ।
২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসাবে সেলিনা হায়াত আইভী ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬১১ ভোটে আবার নির্বাচিত হন। সেবার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সাখাওয়াত হোসেন পান ৯৬ হাজার ৪৪ ভোট। ওই সময়ে ভোট পড়েছিল ৬২ শতাংশ। তবে এবার ব্যতিক্রমী একটি নির্বাচন দেখছেন নারায়ণগঞ্জবাসী।
এ নির্বাচনে হেভিওয়েট দুই প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভী ও অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার নির্বাচনী কোনো ইশতেহার ঘোষণা করেননি। তারা প্রচারের সময়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে মৌখিক নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।