যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপি-জামায়াত ৮টি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন
২৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৪:৫৫:৫৩ | অনলাইন সংস্করণ
সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপি-জামায়াত আটটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। এই লবিস্ট নিয়োগে কত টাকা ব্যয় করা হয়েছে সেই তথ্যও দিয়েছেন তিনি।
বুধবার সংসদে ৩০০ বিধিতে দেওয়া বিবৃতিতে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে জামায়াত একটি ফার্ম নিয়োগ করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্য। এ জন্য তারা দেড় লাখ ডলার দেয়। বিচার বন্ধে তারা আরেকটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছিল। আর যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে প্রভাবিত করার জন্য পিস অ্যান্ড জাস্টিস নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৩২ হাজার ডলার দিয়ে নিয়োগ করে।
বিএনপি বিদেশি লবির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ২৭ লাখ ডলার প্রতি বছর, আর প্রতি মাসে রিটেইনার ফি এক লাখ ২০ হাজার ডলার ব্যয় করেছে। এই তথ্যগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
একে মোমেন আরও বলেন, বিএনপি ২০১৭ সাল পর্যন্ত চারটি এবং ২০১৯ সালে একটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে। এ ছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে জামায়াত-বিএনপি তিনটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ সে দেশের আইনে বৈধ প্রক্রিয়া। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কোন্নয়নে লবিস্ট নিয়োগ দিয়ে থাকে। কিন্তু লবিস্ট নিয়োগের উদ্দেশ্য কী সেটি হলো মুখ্য বিষয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপি-জামায়াত ৮টি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপি-জামায়াত আটটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। এই লবিস্ট নিয়োগে কত টাকা ব্যয় করা হয়েছে সেই তথ্যও দিয়েছেন তিনি।
বুধবার সংসদে ৩০০ বিধিতে দেওয়া বিবৃতিতে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে জামায়াত একটি ফার্ম নিয়োগ করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্য। এ জন্য তারা দেড় লাখ ডলার দেয়। বিচার বন্ধে তারা আরেকটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছিল। আর যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে প্রভাবিত করার জন্য পিস অ্যান্ড জাস্টিস নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৩২ হাজার ডলার দিয়ে নিয়োগ করে।
বিএনপি বিদেশি লবির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ২৭ লাখ ডলার প্রতি বছর, আর প্রতি মাসে রিটেইনার ফি এক লাখ ২০ হাজার ডলার ব্যয় করেছে। এই তথ্যগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
একে মোমেন আরও বলেন, বিএনপি ২০১৭ সাল পর্যন্ত চারটি এবং ২০১৯ সালে একটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে। এ ছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে জামায়াত-বিএনপি তিনটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ সে দেশের আইনে বৈধ প্রক্রিয়া। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কোন্নয়নে লবিস্ট নিয়োগ দিয়ে থাকে। কিন্তু লবিস্ট নিয়োগের উদ্দেশ্য কী সেটি হলো মুখ্য বিষয়।