মৌলভীবাজারে যুবলীগের সভাপতি-সম্পাদক পদে ১৯ নেতার লড়াই
৫ বছর পর নতুন কমিটির আভাস
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
২৩ মে ২০২২, ১০:৩৭:৫৯ | অনলাইন সংস্করণ
সাংগঠনিক কার্যক্রমকে গতিশীল করতে মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তে নড়েচড়ে বসেছেন ক্ষমতাসীন দলের পদপ্রত্যাশীরা।
শোনা যাচ্ছে, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী ১৯ নেতাকর্মী ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে সভাপতি পদে ৯ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১০ জন রয়েছেন।
সভাপতি পদে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক পান্না দত্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রুমেল আহমদ, সহসভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী ফাহিম, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সেলিম হক, সহসভাপতি মুজিবুর রহমান মুজিব, সদস্য মোবাশ্বির আহমেদ ও সিতার আহমদ, যুবলীগ নেতা আব্দুল মতিন।
সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুমেশ দাশ যীশু, সাংগঠনিক সম্পাদক হোসেন মো. ওয়াহিদ সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক গৌছ উদ্দিন নিক্সন, প্রচার সম্পাদক হাবিবুর রহমান রাজিব, অর্থ সম্পাদক সন্দীপ দাস, উপদপ্তর সম্পাদক তুষার আহমদ, সহসম্পাদক সাদমান সাকিব চৌধুরী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদ্দুজ্জামান রনি, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রনি ও সৈয়দ নাজমুল প্রমুখ।
গত ১৩ মে কেন্দ্রীয় যুবলীগ মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের জীবন বৃত্তান্ত আহ্বান করে। এদিকে এই নির্দেশনার পর পরই নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা পদ পাওয়ার জন্য ইতোমধ্যে কেন্দ্রে লবিং শুরু করেছেন। দোয়া ও আশীর্বাদ নেওয়ার জন্য ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করছেন। দলের একাধিক নেতা বলেন, দলের ত্যাগী ও দুর্দিনের নেতাদের এবার মূল্যায়ন করা না হলে মেনে নেওয়া যাবে না।
সভাপতি পদপ্রত্যাশী ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন বলেন, আমাদের দায়িত্বকালের বড় একটা সময় করোনা মহামারি ছিল। এ সময় সাংগঠনিক ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি এবং আগামীতেও ধারা অব্যাহত থাকবে। দায়িত্বপালনকালীন সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয় এমন কোনো কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম না। নতুন দায়িত্ব পেলে সংগঠনকে গুছিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করব।
জেলা যুবলীগের সভাপতি নাহিদ হোসেন বলেন, অনেকেই কেন্দ্রে বায়োডাটা জমা দিয়েছেন। আমরাও সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের আলোকেই কমিটি হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৪ মে মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে সভাপতি হিসেবে নাহিদ আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন নির্বাচিত করার দুই বছর পর ১০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
৫ বছর পর নতুন কমিটির আভাস
মৌলভীবাজারে যুবলীগের সভাপতি-সম্পাদক পদে ১৯ নেতার লড়াই
সাংগঠনিক কার্যক্রমকে গতিশীল করতে মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তে নড়েচড়ে বসেছেন ক্ষমতাসীন দলের পদপ্রত্যাশীরা।
শোনা যাচ্ছে, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী ১৯ নেতাকর্মী ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে সভাপতি পদে ৯ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১০ জন রয়েছেন।
সভাপতি পদে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক পান্না দত্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রুমেল আহমদ, সহসভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী ফাহিম, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সেলিম হক, সহসভাপতি মুজিবুর রহমান মুজিব, সদস্য মোবাশ্বির আহমেদ ও সিতার আহমদ, যুবলীগ নেতা আব্দুল মতিন।
সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুমেশ দাশ যীশু, সাংগঠনিক সম্পাদক হোসেন মো. ওয়াহিদ সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক গৌছ উদ্দিন নিক্সন, প্রচার সম্পাদক হাবিবুর রহমান রাজিব, অর্থ সম্পাদক সন্দীপ দাস, উপদপ্তর সম্পাদক তুষার আহমদ, সহসম্পাদক সাদমান সাকিব চৌধুরী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদ্দুজ্জামান রনি, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রনি ও সৈয়দ নাজমুল প্রমুখ।
গত ১৩ মে কেন্দ্রীয় যুবলীগ মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের জীবন বৃত্তান্ত আহ্বান করে। এদিকে এই নির্দেশনার পর পরই নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা পদ পাওয়ার জন্য ইতোমধ্যে কেন্দ্রে লবিং শুরু করেছেন। দোয়া ও আশীর্বাদ নেওয়ার জন্য ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করছেন। দলের একাধিক নেতা বলেন, দলের ত্যাগী ও দুর্দিনের নেতাদের এবার মূল্যায়ন করা না হলে মেনে নেওয়া যাবে না।
সভাপতি পদপ্রত্যাশী ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন বলেন, আমাদের দায়িত্বকালের বড় একটা সময় করোনা মহামারি ছিল। এ সময় সাংগঠনিক ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি এবং আগামীতেও ধারা অব্যাহত থাকবে। দায়িত্বপালনকালীন সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয় এমন কোনো কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম না। নতুন দায়িত্ব পেলে সংগঠনকে গুছিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করব।
জেলা যুবলীগের সভাপতি নাহিদ হোসেন বলেন, অনেকেই কেন্দ্রে বায়োডাটা জমা দিয়েছেন। আমরাও সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের আলোকেই কমিটি হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৪ মে মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে সভাপতি হিসেবে নাহিদ আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন নির্বাচিত করার দুই বছর পর ১০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল।