এই রক্তের মূল্য দিতে হবে: গয়েশ্বর
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশের জন্য, জনগণের জন্য জাতীয়তাবাদী আদর্শের নেতাকর্মীরা মৃত্যুকেও ভয় করে না। অবৈধ সরকার কিছুদিন পর পর গ্যাস, তেল, বিদ্যুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়াচ্ছে। জনগণের দাবি আদায় করতে গিয়ে শহিদ হয়েছেন আব্দুর রহিম ও নূরে আলম। জনগণের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন তাদের আমরা শহিদী মর্যাদা দেই।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভে ভোলায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমকে হত্যাসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে গুলিবিদ্ধ আহত করার প্রতিবাদে বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর পুলিশকে উদ্দেশ করে বলেন, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় আপনাদের পেট চলে। আপনাদের ট্যাক্সের টাকায় জনগণের পেট চলে না। আপনাদের অস্ত্র দেওয়া হয়েছে জনগণের নিরাপত্তার জন্য, মানুষের বুকের উপর অস্ত্র ঠেকানোর জন্য নয়। পাকিস্তানিরা কিন্তু অস্ত্র ঠেকিয়ে রেহাই পায়নি। শহিদের রক্ত বৃথা যায় না, এ রক্তের মূল্য দিতে হবে।
লোডশেডিং বিষয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ২০০৮ সালে শতভাগ বিদ্যুৎ ঘোষণা দিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৮ ঘণ্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে। ২৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কুইক রেন্টালের নামে টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। লুটপাট করতে করতে একটা রাষ্ট্রের যে টাকা রিজার্ভ থাকা দরকার তা আমাদের দেশে এখন আর নেই। রাষ্ট্রের রিজার্ভ নেই তার জবাব দিতে হবে।
তিনি বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যতীত বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, যতই নির্যাতন করা হোক না কেন আমাদের আন্দোলন চলবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে একেক জন একেক সময় ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে সর্বশেষ আমাদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। ১০ টাকার চালের পরিবর্তে ৭০ টাকায় চাল খাওয়ানো হচ্ছে। এ সরকারকে ডিসেম্বরে বাংলাদেশ থেকে বিদায় করা হবে।
বিকাল ৪টা থেকে শুরু হওয়া এ জনসভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, মিডিয়া সেল আহবায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরীন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান ও মাহবুবুল হক নান্নু, মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক, সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির জাহিদ, জেলা দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান নান্টু, সদস্য সচিব আকতার হোসেন মেবুলসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা বক্তৃতা করেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই রক্তের মূল্য দিতে হবে: গয়েশ্বর
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশের জন্য, জনগণের জন্য জাতীয়তাবাদী আদর্শের নেতাকর্মীরা মৃত্যুকেও ভয় করে না। অবৈধ সরকার কিছুদিন পর পর গ্যাস, তেল, বিদ্যুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়াচ্ছে। জনগণের দাবি আদায় করতে গিয়ে শহিদ হয়েছেন আব্দুর রহিম ও নূরে আলম। জনগণের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন তাদের আমরা শহিদী মর্যাদা দেই।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভে ভোলায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমকে হত্যাসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে গুলিবিদ্ধ আহত করার প্রতিবাদে বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর পুলিশকে উদ্দেশ করে বলেন, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় আপনাদের পেট চলে। আপনাদের ট্যাক্সের টাকায় জনগণের পেট চলে না। আপনাদের অস্ত্র দেওয়া হয়েছে জনগণের নিরাপত্তার জন্য, মানুষের বুকের উপর অস্ত্র ঠেকানোর জন্য নয়। পাকিস্তানিরা কিন্তু অস্ত্র ঠেকিয়ে রেহাই পায়নি। শহিদের রক্ত বৃথা যায় না, এ রক্তের মূল্য দিতে হবে।
লোডশেডিং বিষয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ২০০৮ সালে শতভাগ বিদ্যুৎ ঘোষণা দিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৮ ঘণ্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে। ২৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কুইক রেন্টালের নামে টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। লুটপাট করতে করতে একটা রাষ্ট্রের যে টাকা রিজার্ভ থাকা দরকার তা আমাদের দেশে এখন আর নেই। রাষ্ট্রের রিজার্ভ নেই তার জবাব দিতে হবে।
তিনি বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যতীত বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, যতই নির্যাতন করা হোক না কেন আমাদের আন্দোলন চলবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে একেক জন একেক সময় ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে সর্বশেষ আমাদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। ১০ টাকার চালের পরিবর্তে ৭০ টাকায় চাল খাওয়ানো হচ্ছে। এ সরকারকে ডিসেম্বরে বাংলাদেশ থেকে বিদায় করা হবে।
বিকাল ৪টা থেকে শুরু হওয়া এ জনসভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, মিডিয়া সেল আহবায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরীন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান ও মাহবুবুল হক নান্নু, মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক, সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির জাহিদ, জেলা দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান নান্টু, সদস্য সচিব আকতার হোসেন মেবুলসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা বক্তৃতা করেন।