আদালতপাড়ার ঘটনা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে: রিজভী
যুগান্তর প্রতিবেদন
২১ নভেম্বর ২০২২, ১৭:৫৪:২৮ | অনলাইন সংস্করণ
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রোববার পুরান ঢাকার আদালতপাড়ায় জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। একজন জঙ্গি হাতকড়া, পায়ে বেরি পরা অবস্থায় পুলিশি বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে মোটরসাইকেলে পালিয়ে গেল- এটাকে মানুষ ভিন্নভাবে দেখছে, নাটক মনে করছে। এটা ওবায়দুল কাদেরদের খেলার অংশ কিনা? জঙ্গি ধরার নাম করে ১০ ডিসেম্বরের আগে বিএনপি নেতাদের বাড়িতে চিরুনি অভিযান হবে কিনা, নিপীড়ন নির্যাতনের দিকে নেবে কিনা- সেই সব আলামতগুলো এসব ঘটনাগুলোর মধ্য দিয়ে ফুটে উঠেছে। এসব নাটক বা তামাশা কিনা- সরকারের ঘনিষ্ঠদের বক্তব্যের মধ্যদিয়ে প্রমাণও পাচ্ছি।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের উদ্যোগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, সম্প্রতি পুলিশের সাবেক আইজি শহীদুল ইসলাম তার পেশাসহ জীবনের নানা ঘটনা নিয়ে একটি বই লিখেছেন। সেখানে একটি জায়গায় তিনি বলেছেন, শ্যামলীতে আমাদের সঙ্গে জঙ্গিদের যুদ্ধ হলো, জঙ্গি দমন করার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলাম, প্রধানমন্ত্রী বললেন, এতো তাড়াতাড়ি নাটক শেষ করার কী দরকার ছিল। ‘সুতরাং গতকাল রোববার ঢাকা জেলা আদালতের ঘটনাকে সরকারের লোকজনই তো বলছে- এটা তামাশা। এটা ওবায়দুল কাদেরদের খেলার অংশ। এ খেলা যে কত বিপজ্জনক, কত ভয়ঙ্কর ও কত নিষ্ঠুরতার পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেন, খেলা হবে। এটা কোনো রাজনীতির ভাষা হতে পারে না। এটা জাতীয় পর্যায়ের কোনো নেতার কথাও হতে পারে না। এটা পাড়ার গুণ্ডা-পাণ্ডার কথা। একটা দলের সাধারণ সম্পাদক একটি গভীর জায়গা থেকে এ কথা বলেন। তার আলামত নানা দিক থেকে নানাভাবে ফুটে উঠছে। এ খেলা মরণখেলা, এ খেলা ভয়ঙ্কর চক্রান্তের খেলা। সেই খেলার কথাই ওবায়দুল কাদের সাহেবরা বলছেন।
তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এমন- একটা লাশ দাফন করতে না করতেই আরেকটা লাশ দাফনের প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। এরকম একটি দুঃসময়ে আমাদের নেতা তারেক রহমানের জন্মদিন। এ দিনটি আড়ম্বরপূর্ণ, জাঁকজমকপূর্ণ করা যাবে না, কেক কাটা যাবে না- এ নির্দেশনা তিনি আমাদের সবাইকে দিয়েছেন। এটাই তো একজন দেশনেতার দৃষ্টিসীমা।
রিজভী বলেন, এ ভয়াল সময়ের মধ্যে আনন্দ প্রকাশ করা যায় না। গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়া গৃহবন্দি। ভালো ও জনপ্রিয় মানুষগুলো নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। দেশের জনপ্রিয় ও ভালো মানুষগুলো কারাগারে; আর গুণ্ডা-পাণ্ডা, চোর-ডাকাতরা বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থীকে হত্যা করে- এরা বাইরে দাপট খাটাচ্ছে। গোটা সমাজ ও রাষ্ট্র শঙ্কার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতায় থাকায় গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন রিজভী।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
আদালতপাড়ার ঘটনা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রোববার পুরান ঢাকার আদালতপাড়ায় জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। একজন জঙ্গি হাতকড়া, পায়ে বেরি পরা অবস্থায় পুলিশি বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে মোটরসাইকেলে পালিয়ে গেল- এটাকে মানুষ ভিন্নভাবে দেখছে, নাটক মনে করছে। এটা ওবায়দুল কাদেরদের খেলার অংশ কিনা? জঙ্গি ধরার নাম করে ১০ ডিসেম্বরের আগে বিএনপি নেতাদের বাড়িতে চিরুনি অভিযান হবে কিনা, নিপীড়ন নির্যাতনের দিকে নেবে কিনা- সেই সব আলামতগুলো এসব ঘটনাগুলোর মধ্য দিয়ে ফুটে উঠেছে। এসব নাটক বা তামাশা কিনা- সরকারের ঘনিষ্ঠদের বক্তব্যের মধ্যদিয়ে প্রমাণও পাচ্ছি।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের উদ্যোগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, সম্প্রতি পুলিশের সাবেক আইজি শহীদুল ইসলাম তার পেশাসহ জীবনের নানা ঘটনা নিয়ে একটি বই লিখেছেন। সেখানে একটি জায়গায় তিনি বলেছেন, শ্যামলীতে আমাদের সঙ্গে জঙ্গিদের যুদ্ধ হলো, জঙ্গি দমন করার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলাম, প্রধানমন্ত্রী বললেন, এতো তাড়াতাড়ি নাটক শেষ করার কী দরকার ছিল। ‘সুতরাং গতকাল রোববার ঢাকা জেলা আদালতের ঘটনাকে সরকারের লোকজনই তো বলছে- এটা তামাশা। এটা ওবায়দুল কাদেরদের খেলার অংশ। এ খেলা যে কত বিপজ্জনক, কত ভয়ঙ্কর ও কত নিষ্ঠুরতার পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেন, খেলা হবে। এটা কোনো রাজনীতির ভাষা হতে পারে না। এটা জাতীয় পর্যায়ের কোনো নেতার কথাও হতে পারে না। এটা পাড়ার গুণ্ডা-পাণ্ডার কথা। একটা দলের সাধারণ সম্পাদক একটি গভীর জায়গা থেকে এ কথা বলেন। তার আলামত নানা দিক থেকে নানাভাবে ফুটে উঠছে। এ খেলা মরণখেলা, এ খেলা ভয়ঙ্কর চক্রান্তের খেলা। সেই খেলার কথাই ওবায়দুল কাদের সাহেবরা বলছেন।
তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এমন- একটা লাশ দাফন করতে না করতেই আরেকটা লাশ দাফনের প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। এরকম একটি দুঃসময়ে আমাদের নেতা তারেক রহমানের জন্মদিন। এ দিনটি আড়ম্বরপূর্ণ, জাঁকজমকপূর্ণ করা যাবে না, কেক কাটা যাবে না- এ নির্দেশনা তিনি আমাদের সবাইকে দিয়েছেন। এটাই তো একজন দেশনেতার দৃষ্টিসীমা।
রিজভী বলেন, এ ভয়াল সময়ের মধ্যে আনন্দ প্রকাশ করা যায় না। গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়া গৃহবন্দি। ভালো ও জনপ্রিয় মানুষগুলো নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। দেশের জনপ্রিয় ও ভালো মানুষগুলো কারাগারে; আর গুণ্ডা-পাণ্ডা, চোর-ডাকাতরা বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থীকে হত্যা করে- এরা বাইরে দাপট খাটাচ্ছে। গোটা সমাজ ও রাষ্ট্র শঙ্কার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতায় থাকায় গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন রিজভী।