ঢাকার সমাবেশ থেকে সরকার পতনের কর্মসূচি ঘোষণা: ড. মোশাররফ
যুগান্তর প্রতিবেদন
২৮ নভেম্বর ২০২২, ২২:২৬:৩৫ | অনলাইন সংস্করণ
ঢাকায় ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের অনুমতি নিয়ে সরকারের টানাপোড়ন চললেও ‘নয়া পল্টনেই’ অনুমতি পাবে বলে আশাবাদী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকার সমাবেশ থেকে বর্তমান সরকার পতনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আয়োজন করে সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ রিসার্চ সেন্টার (এসএওয়াইআরসি)।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক সাইফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক কূটনীতিক সাকিব আলী, এসএওয়াইআরসির চেয়ারম্যান সুমন হক।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশের গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের ভোটের অধিকারের জন্য আন্দোলন করছি। আজকে তারা ভালো মানুষ সাজছে। মনে হয় প্রধানমন্ত্রীর ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকায় কিছু আছড় লেগেছে। নাহলে এত ভালো মানুষ আজ কী করে হয়ে গেল। গতকাল (রোববার) তিনি বলেছেন- ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে কোনো বাধা দেওয়া হবে না। কোনো পরিবহন ধর্মঘট দেওয়া হবে না। কিছুই দেওয়া হবে না।
এই সরকারের সময় শেষ উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, যত দ্রুত শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে এখান থেকে তারা চলে যাবে অথবা মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে দেশে থাকবে, ততই ভালো। তা না হলে জনগণ প্রস্তুত হচ্ছে। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এ সরকারের পতনের বার্তা বিএনপি আটটি সমাবেশে দিয়েছে। ১০ ডিসেম্বর আমাদের সমাবেশ থেকে এ সরকারের বিদায়ের কর্মসূচি ঘোষণা করব।
মোশাররফ বলেন, ১০ তারিখ (১০ ডিসেম্বর) আমরা সমাবেশ করব ঢাকায়। আপনারা দেখেছেন কত রকমের কথা। সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন, আমাদের সমাবেশ বিশ্ব এজতেমা টঙ্গীতে পাঠিয়ে দেবেন, অন্যরা বলছেন পূর্বাচলে পাঠাবেন। তারপর সেদিন দেখলাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন যে, না ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উনারা করুক। আমি সেদিন মন্তব্য করেছি, মন্ত্রীরা যখন আমাদের পূর্বাচলে পাঠিয়ে দেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পর্যন্ত এসেছেন। আমার মনে হয় তারা আমাদের যে দাবি আমাদের অফিসের সামনে পল্টন পর্যন্ত আসবেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ঢাকার সমাবেশ থেকে সরকার পতনের কর্মসূচি ঘোষণা: ড. মোশাররফ
ঢাকায় ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের অনুমতি নিয়ে সরকারের টানাপোড়ন চললেও ‘নয়া পল্টনেই’ অনুমতি পাবে বলে আশাবাদী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকার সমাবেশ থেকে বর্তমান সরকার পতনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আয়োজন করে সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ রিসার্চ সেন্টার (এসএওয়াইআরসি)।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক সাইফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক কূটনীতিক সাকিব আলী, এসএওয়াইআরসির চেয়ারম্যান সুমন হক।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশের গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের ভোটের অধিকারের জন্য আন্দোলন করছি। আজকে তারা ভালো মানুষ সাজছে। মনে হয় প্রধানমন্ত্রীর ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকায় কিছু আছড় লেগেছে। নাহলে এত ভালো মানুষ আজ কী করে হয়ে গেল। গতকাল (রোববার) তিনি বলেছেন- ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে কোনো বাধা দেওয়া হবে না। কোনো পরিবহন ধর্মঘট দেওয়া হবে না। কিছুই দেওয়া হবে না।
এই সরকারের সময় শেষ উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, যত দ্রুত শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে এখান থেকে তারা চলে যাবে অথবা মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে দেশে থাকবে, ততই ভালো। তা না হলে জনগণ প্রস্তুত হচ্ছে। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এ সরকারের পতনের বার্তা বিএনপি আটটি সমাবেশে দিয়েছে। ১০ ডিসেম্বর আমাদের সমাবেশ থেকে এ সরকারের বিদায়ের কর্মসূচি ঘোষণা করব।
মোশাররফ বলেন, ১০ তারিখ (১০ ডিসেম্বর) আমরা সমাবেশ করব ঢাকায়। আপনারা দেখেছেন কত রকমের কথা। সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন, আমাদের সমাবেশ বিশ্ব এজতেমা টঙ্গীতে পাঠিয়ে দেবেন, অন্যরা বলছেন পূর্বাচলে পাঠাবেন। তারপর সেদিন দেখলাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন যে, না ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উনারা করুক। আমি সেদিন মন্তব্য করেছি, মন্ত্রীরা যখন আমাদের পূর্বাচলে পাঠিয়ে দেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পর্যন্ত এসেছেন। আমার মনে হয় তারা আমাদের যে দাবি আমাদের অফিসের সামনে পল্টন পর্যন্ত আসবেন।