আর সহ্য করা যায় না: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপির চলমান আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের তৈরি থাকার আহবান জানিয়ে বলেছেন, প্রস্তুত হয়ে যান- যে হাত দিয়ে আগুন দেবে, যাকে আগুন দিবে, কোথাও আগুন দিবে- সেই হাত পুড়িয়ে দিতে হবে। আর সহ্য করা যায় না।
তিনি বলেন, বিএনপি ১৩ বছর ধরে মিথ্যাচার করছে। ক্ষমতার জন্য জঙ্গিদের মাঠে নামিয়েছে। সাবধান সতর্ক হতে হবে। নগরে, পাড়ায়, মহল্লায়, শহরে, গ্রামে, থানায়, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় শহীদ দারোগ আলী পার্কে আয়োজিত শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা গঠন করব।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশ আজ গভীর সংকটে নিমজ্জিত। আজ আমাদের মাতৃভূমি, আমাদের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে। ৭৫-এর ষড়যন্ত্র আবারো চলছে বাংলার মাটিতে। আপনাদের প্রস্তুত হতে হবে, আপনাদের তৈরি থাকতে হবে। আমরা কে কি করব আমাদের নেত্রী ইতোমধ্যেই নির্দেশনা দিয়েছেন।
বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাংবাদিকসহ যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সেসবের বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, সেই বিএনপি আবারো হারানো ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন ফিরে পেতে বাংলার মাটিতে আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আন্দোলনের নামে নাশকতা করছে। আন্দোলনের নামে আজকে পুলিশের ওপর হামলা করছে এবং বিআরটিসির বাস পুড়িয়ে দিয়েছে। বিএনপিকে বিশ্বাস করা যায় না।
খেলা হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, খেলা হবেই। খেলা হবে বিএনপির বিরুদ্ধে। খেলা হবে দুঃশাসন আর লুটপাটের বিরুদ্ধে। খেলা হবে ভোট চোরের বিরুদ্ধে। দেয়ালে আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে। এখন প্রতিরোধ করতে হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক এমপির সভাপতিত্বে ওই সম্মেলন জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আব্দুর রাজ্জাক।
সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং।
এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরুফ আক্তার পপি, শেরপুর-৩ আসনের এমপি প্রকৌশলী একেএম ফজলুল হক চানসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতাদের আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এর আগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট পেশ করেন বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল। সম্মেলনে প্রয়াত নেতাকর্মীদের নামে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।
ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে দ্বিতীয় অধিবেশনে আগের কমিটি বিলুপ্ত করে হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপিকে সভাপতি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালকে ১নং সহ-সভাপতি এবং ছানুয়ার হোসেন ছানুকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা দেন সাধারণ সম্পাদক ওয়ায়দুল কাদের।
সম্মেলনে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে যোগদান করেন। সম্মেলনস্থল শহীদ দারোগ আলী পৌরপার্ক কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। সম্মেলন পরিণত হয় বিশাল জনসমাবেশে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
আর সহ্য করা যায় না: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপির চলমান আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের তৈরি থাকার আহবান জানিয়ে বলেছেন, প্রস্তুত হয়ে যান- যে হাত দিয়ে আগুন দেবে, যাকে আগুন দিবে, কোথাও আগুন দিবে- সেই হাত পুড়িয়ে দিতে হবে। আর সহ্য করা যায় না।
তিনি বলেন, বিএনপি ১৩ বছর ধরে মিথ্যাচার করছে। ক্ষমতার জন্য জঙ্গিদের মাঠে নামিয়েছে। সাবধান সতর্ক হতে হবে। নগরে, পাড়ায়, মহল্লায়, শহরে, গ্রামে, থানায়, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় শহীদ দারোগ আলী পার্কে আয়োজিত শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা গঠন করব।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশ আজ গভীর সংকটে নিমজ্জিত। আজ আমাদের মাতৃভূমি, আমাদের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে। ৭৫-এর ষড়যন্ত্র আবারো চলছে বাংলার মাটিতে। আপনাদের প্রস্তুত হতে হবে, আপনাদের তৈরি থাকতে হবে। আমরা কে কি করব আমাদের নেত্রী ইতোমধ্যেই নির্দেশনা দিয়েছেন।
বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাংবাদিকসহ যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সেসবের বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, সেই বিএনপি আবারো হারানো ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন ফিরে পেতে বাংলার মাটিতে আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আন্দোলনের নামে নাশকতা করছে। আন্দোলনের নামে আজকে পুলিশের ওপর হামলা করছে এবং বিআরটিসির বাস পুড়িয়ে দিয়েছে। বিএনপিকে বিশ্বাস করা যায় না।
খেলা হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, খেলা হবেই। খেলা হবে বিএনপির বিরুদ্ধে। খেলা হবে দুঃশাসন আর লুটপাটের বিরুদ্ধে। খেলা হবে ভোট চোরের বিরুদ্ধে। দেয়ালে আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে। এখন প্রতিরোধ করতে হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক এমপির সভাপতিত্বে ওই সম্মেলন জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আব্দুর রাজ্জাক।
সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং।
এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরুফ আক্তার পপি, শেরপুর-৩ আসনের এমপি প্রকৌশলী একেএম ফজলুল হক চানসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতাদের আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এর আগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট পেশ করেন বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল। সম্মেলনে প্রয়াত নেতাকর্মীদের নামে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।
ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে দ্বিতীয় অধিবেশনে আগের কমিটি বিলুপ্ত করে হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপিকে সভাপতি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালকে ১নং সহ-সভাপতি এবং ছানুয়ার হোসেন ছানুকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা দেন সাধারণ সম্পাদক ওয়ায়দুল কাদের।
সম্মেলনে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে যোগদান করেন। সম্মেলনস্থল শহীদ দারোগ আলী পৌরপার্ক কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। সম্মেলন পরিণত হয় বিশাল জনসমাবেশে।