সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানিতে রাষ্ট্র নির্বিকার: জেএসডি
যুগান্তর প্রতিবেদন
২০ মার্চ ২০২৩, ১৯:৫২:২২ | অনলাইন সংস্করণ
সরকারের অবহেলাজনিত কারণে সড়ক নৈরাজ্যে প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষের মৃত্যু ঘটলেও রাষ্ট্রের নির্লিপ্ততা এবং অগ্রহণযোগ্য সিস্টেমের সমালোচনা করেছেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।
তারা বলেছেন, সরকার যদি লাইসেন্সবিহীন অদক্ষ চালক এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করতো তাহলে অসংখ্য মানুষের প্রাণ যেতো না।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জেএসডির এই দুই নেতা বলেন, প্রতিদিন দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, কত পরিবারের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যাচ্ছে এবং কত সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে তারপরও সরকার দুর্ঘটনা রোধে ন্যূনতম কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বরং লাইসেন্সবিহীন চালক ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি প্রতিনিয়ত পুলিশ বা সড়ক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চোখের সামনে দিয়ে চলাচল করছে এবং ফলতঃ প্রতিনিয়ত মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এতে সড়ক নিরাপদ করতে সরকারের কোনো আগ্রহ নেই শুধু তারই প্রমাণ হয় না বরং সরকারের অস্তিত্ব সন্দিহান হয়ে পড়ে।
জেএসডি নেতারা বলেন, গত ১৫ বছর ধরে একনাগাড়ে ক্ষমতা থাকার পরও সরকার লাইসেন্সবিহীন চালক এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করার ন্যূনতম কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। বরং সড়ক পরিবহনের নৈরাজ্যকেই প্রশ্রয় দিয়েছে। ফলে সড়কে বাণিজ্য হচ্ছে কিন্তু সড়ক নিরাপদ হচ্ছে না।
মানুষ হত্যা অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয় বিবৃতিতে
১। সড়ক পরিকল্পনায়, নকশায়, রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচালনা ও তদারকিতে অতি দ্রুত শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে।
২। অনুমোদনবিহীন চালক এবং ফিটনেস বিহীন গাড়ি চলাচলে দায়ীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
৩। চালকের লাইসেন্স এবং ফিটনেস দেওয়ার প্রক্রিয়া দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে।
৪) ১৫-১৬ লাখ দক্ষ চালকের ঘাটতি রেখে নতুন গাড়ি অনুমোদনের মতো সর্বনাশা পদক্ষেপ সাময়িকভাবে বন্ধ করতে হবে। স্বঘোষিত চালক সৃষ্টিকে কঠোরভাবে দমন করতে হবে।
বছরে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু এবং ১৫ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে সরকারের অবহেলা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানিতে রাষ্ট্র নির্বিকার: জেএসডি
সরকারের অবহেলাজনিত কারণে সড়ক নৈরাজ্যে প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষের মৃত্যু ঘটলেও রাষ্ট্রের নির্লিপ্ততা এবং অগ্রহণযোগ্য সিস্টেমের সমালোচনা করেছেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।
তারা বলেছেন, সরকার যদি লাইসেন্সবিহীন অদক্ষ চালক এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করতো তাহলে অসংখ্য মানুষের প্রাণ যেতো না।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জেএসডির এই দুই নেতা বলেন, প্রতিদিন দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, কত পরিবারের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যাচ্ছে এবং কত সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে তারপরও সরকার দুর্ঘটনা রোধে ন্যূনতম কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বরং লাইসেন্সবিহীন চালক ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি প্রতিনিয়ত পুলিশ বা সড়ক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চোখের সামনে দিয়ে চলাচল করছে এবং ফলতঃ প্রতিনিয়ত মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এতে সড়ক নিরাপদ করতে সরকারের কোনো আগ্রহ নেই শুধু তারই প্রমাণ হয় না বরং সরকারের অস্তিত্ব সন্দিহান হয়ে পড়ে।
জেএসডি নেতারা বলেন, গত ১৫ বছর ধরে একনাগাড়ে ক্ষমতা থাকার পরও সরকার লাইসেন্সবিহীন চালক এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করার ন্যূনতম কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। বরং সড়ক পরিবহনের নৈরাজ্যকেই প্রশ্রয় দিয়েছে। ফলে সড়কে বাণিজ্য হচ্ছে কিন্তু সড়ক নিরাপদ হচ্ছে না।
মানুষ হত্যা অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয় বিবৃতিতে
১। সড়ক পরিকল্পনায়, নকশায়, রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচালনা ও তদারকিতে অতি দ্রুত শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে।
২। অনুমোদনবিহীন চালক এবং ফিটনেস বিহীন গাড়ি চলাচলে দায়ীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
৩। চালকের লাইসেন্স এবং ফিটনেস দেওয়ার প্রক্রিয়া দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে।
৪) ১৫-১৬ লাখ দক্ষ চালকের ঘাটতি রেখে নতুন গাড়ি অনুমোদনের মতো সর্বনাশা পদক্ষেপ সাময়িকভাবে বন্ধ করতে হবে। স্বঘোষিত চালক সৃষ্টিকে কঠোরভাবে দমন করতে হবে।
বছরে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু এবং ১৫ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে সরকারের অবহেলা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।