অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় যেতে চাওয়া রাষ্ট্রদ্রোহিতা: মন্ত্রী
অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় যেতে চাওয়া রাষ্ট্রদ্রোহিতা বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে বাংলাদেশ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অ্যাসোসিয়েশনের ১১তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, অসাংবিধানিক উপায়ে যারা ক্ষমতায় আসতে চায় তারা সংবিধানের ৭ (ক) অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করতে চায়। এ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করা মানে রাষ্ট্রদ্রোহিতা। দেশে সংবিধানের বিকল্প কোনো আইন নেই। নির্বাচনের জন্য দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধান আছে। সংবিধানে লেখা আছে নির্বাচন কিভাবে হবে। নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনকে যত সহায়তা দেওয়া দরকার সেটা সরকারপ্রধান করবে। দেশের সংবিধান পরিপন্থি কোনো প্রক্রিয়ায় যাওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি আরো বলেন, যারা অন্য কোনো উপায়ে পেছনের গলি থেকে আসতে চান, বিদেশ থেকে কে কী বলে সেটা নিয়ে আপ্লুত থাকতে চান- তাদের এসব করে লাভ নেই। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এখানকার রাজনীতি নির্ধারণ হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেজাউল করিম আরও বলেন, খাবারের একটি বড় অংশ মাছ, মাংস, দুধ ও ডিমের যোগান দেয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত। প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ করে এ খাত। পোল্ট্রি, ডেইরি ও মৎস্য খাতে উদ্যোক্তা তৈরি হওয়ায় বেকারত্ব দূর হচ্ছে। এ খাতের বিকাশের কারণে গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হচ্ছে। এ খাত রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ তৈরি করছে। এভাবে দেশের উন্নয়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিটি খাত একযোগে কাজ করছে। অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি পেশাজীবীরাসহ এ খাত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা জিডিপির প্রবৃদ্ধিসহ দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে, কৃষিবিদদের উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষিতে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে। শেখ হাসিনা না থাকলে কৃষিতে আবার কেউ ভর্তুকি দিয়ে চালু রাখবে না। অথচ বিএনপি সরকারের সময়ে কৃষকদের হাহাকার ছিল। কৃষি-চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। অনেক কৃষি জমি, পুকুর, খালবিল, নদীনালা, হাওড় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। কারণ সরকারের কোনো সহযোগিতা, পৃষ্ঠপোষকতা, প্রণোদনা ছিল না। বঙ্গবন্ধু কন্যা আসার পর কৃষির সবক্ষেত্রে তিনি সহযোগিতা করেছেন।
বাংলাদেশ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ও ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ডা. রেয়াজুল হক ও এসিআই এগ্রোবিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফ এইচ আনসারী।
প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছাজেদা আখতার। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ড. অসীম কুমার দাস।
‘ভিশন ২০৪১ অ্যান্ড রোডম্যাপ ফর ক্রিয়েটিং ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স লাইভস্টক ইন বাংলাদেশ: রোল অব অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি প্রফেশনাল' শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক ড. শরীফ আহমেদ চৌধুরী।
অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় যেতে চাওয়া রাষ্ট্রদ্রোহিতা: মন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন
২৭ মে ২০২৩, ২১:২৮:৪৫ | অনলাইন সংস্করণ
অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় যেতে চাওয়া রাষ্ট্রদ্রোহিতা বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে বাংলাদেশ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অ্যাসোসিয়েশনের ১১তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, অসাংবিধানিক উপায়ে যারা ক্ষমতায় আসতে চায় তারা সংবিধানের ৭ (ক) অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করতে চায়। এ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করা মানে রাষ্ট্রদ্রোহিতা। দেশে সংবিধানের বিকল্প কোনো আইন নেই। নির্বাচনের জন্য দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধান আছে। সংবিধানে লেখা আছে নির্বাচন কিভাবে হবে। নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনকে যত সহায়তা দেওয়া দরকার সেটা সরকারপ্রধান করবে। দেশের সংবিধান পরিপন্থি কোনো প্রক্রিয়ায় যাওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি আরো বলেন, যারা অন্য কোনো উপায়ে পেছনের গলি থেকে আসতে চান, বিদেশ থেকে কে কী বলে সেটা নিয়ে আপ্লুত থাকতে চান- তাদের এসব করে লাভ নেই। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এখানকার রাজনীতি নির্ধারণ হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেজাউল করিম আরও বলেন, খাবারের একটি বড় অংশ মাছ, মাংস, দুধ ও ডিমের যোগান দেয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত। প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ করে এ খাত। পোল্ট্রি, ডেইরি ও মৎস্য খাতে উদ্যোক্তা তৈরি হওয়ায় বেকারত্ব দূর হচ্ছে। এ খাতের বিকাশের কারণে গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হচ্ছে। এ খাত রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ তৈরি করছে। এভাবে দেশের উন্নয়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিটি খাত একযোগে কাজ করছে। অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি পেশাজীবীরাসহ এ খাত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা জিডিপির প্রবৃদ্ধিসহ দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে, কৃষিবিদদের উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষিতে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে। শেখ হাসিনা না থাকলে কৃষিতে আবার কেউ ভর্তুকি দিয়ে চালু রাখবে না। অথচ বিএনপি সরকারের সময়ে কৃষকদের হাহাকার ছিল। কৃষি-চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। অনেক কৃষি জমি, পুকুর, খালবিল, নদীনালা, হাওড় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। কারণ সরকারের কোনো সহযোগিতা, পৃষ্ঠপোষকতা, প্রণোদনা ছিল না। বঙ্গবন্ধু কন্যা আসার পর কৃষির সবক্ষেত্রে তিনি সহযোগিতা করেছেন।
বাংলাদেশ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ও ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ডা. রেয়াজুল হক ও এসিআই এগ্রোবিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফ এইচ আনসারী।
প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছাজেদা আখতার। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ড. অসীম কুমার দাস।
‘ভিশন ২০৪১ অ্যান্ড রোডম্যাপ ফর ক্রিয়েটিং ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স লাইভস্টক ইন বাংলাদেশ: রোল অব অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি প্রফেশনাল' শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক ড. শরীফ আহমেদ চৌধুরী।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023