খায়ের আবদুল্লাহর অনুসারী কাউন্সিলরকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার

 যুগান্তর প্রতিবেদন 
০৫ জুন ২০২৩, ০২:২৩ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও মিথ্যাচারের অভিযোগে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও মেয়রপ্রার্থী খায়ের আবদুল্লাহ অনুসারী কাউন্সিলর প্রার্থী শরীফ মো. আনিছুর রহমানকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। রোববার দিবাগত রাত পৌনে ১টায় নগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হেমায়েত উদ্দিন সেরনিয়াবাত স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর আনিছুর রহমান এবারও কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ১০ জন কাউন্সিলরদের মধ্যে অন্যতম। 

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রক্রিয়ার শুরু থেকেই এই ১০ কাউন্সিলর আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাতের পক্ষে অবস্থান নেন। তারা মেয়র পদে খায়ের আবদুল্লাহর পক্ষে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছিলেন।

নগর আওয়ামী লীগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, শরীফ মো. আনিছুর রহমানকে সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এবং মিথ্যা কথা প্রচার করায় বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যপদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।

বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস গতকাল রাত পৌনে ১২টার দিকে তার ফেসবুক পোস্টে এই বহিষ্কারের বিষয়ে জানান। সেখানে তিনিও সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ও মিথ্যাচারের বিষয়টি উল্লেখ করেন।

বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস সোমবার জানান, আনিছুর রহমান দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় সদস্যপদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি দলের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন। এ জন্য তার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে শরীফ মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমি সত্য বলায় আমাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা যে ১০ জন কাউন্সিলর মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর পক্ষ ত্যাগ করেছিলাম, সেই ১০টি ওয়ার্ডেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী করা হয়েছে আমাদের জব্দ করার জন্য। এখন আপনারা বোঝেন, এরা নির্বাচন করার টাকা পায় কোথায়?’
 

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন